আব্দুল কারীম, লন্ডন :
সময়ের আলোচিত একটি নাম প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান।
তিনি সৌদি আরবের যুবরাজ ।
ছোট বেলায় তার পিতা
[ যিনি বর্তমান সৌদি বাদশাহ ] অনেক আবেগ আর ভালবাসা নিয়ে পুত্রের নাম নবীজী সা. এর নামের সাথে মিল রেখে মুহাম্মাদ রেখেছেন ।
বাদশাহ সালমান নিজেও একজন হাফেজে কোরআন ।
নিজের সন্তানকেও দ্বীনী পড়া লেখা করিয়েছেন ।
প্রিন্স মুহাম্মাদের পাশ্চত্য কোন সার্টিফিকেট নেই, তিনি কাবা শরীফের ইমাম সাহেবদের নিকট পড়া লেখা করেছেন ।
ছোট বেলা থেকেই তিনি দেশ জাতী ও বিশ্ব মুসলীম উম্মাহ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতেন ।
তিনিই সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে আছেন ।
তিনি বাদশাহ সালমানের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও নিয়োজিত আছেন ।
তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সৌদি আরবের ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা পূণরুদ্ধারে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
এরই ধারাবাহিকতায় ইখওয়ানুল মুসলিমীন, ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন হামাস, তুরস্কের আশাজাগানিয়া নেতা ও মুসলীম উম্মাহর গর্ব প্রেসিডেন্ট এরদোগান সহ বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা হয়েছে ।
এবং হামাস প্রধান খালেদ মাশআল সহ সংগ্রামী ব্যক্তিদের সাথে গুরুত্বপুর্ণ বৈঠক করা হয় ।
আর এ সকল মতবিনিময় ও বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রিন্স মুহাম্মাদ ।
তিনি আরবীয় খান্দানে এক ভীন্ন চিন্তার মানব হিসাবে খ্যাত ।
তার সর্বদা একটাই চিন্তা, তা হল বিশ্ব মুসলীমের হারানো গৌরব ফের আদায় করা ।
বর্তমান বাদশাহর আমলে সৌদী নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে । আর এ সব কিছুই সাধিত হয়েছে যুবরাজ মুহাম্মাদের পরামর্শে ।
কারন, তার চেতনা একেবারেই স্বচ্ছ ।
হারাম শরীফের ইমাম সাহেবগন ছোটবেলা থেকে তাকে আপোষহীনতার শিক্ষাই দিয়েছেন ।
তিনিই সৌদির শত্রু মিত্র নির্ধারন করে দিয়েছেন ।
বর্তমান সৌদি জনগন আশার প্রহর গুনছেন, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যত নেতৃত্ব হিসেবে সৌদীর বুকে আশার প্রদীপ জ্বালাবেন যুবরাজ ‘মু হা ম্মা দ ‘।
তার পরামর্শেই ইরানী হিংসুক শিয়াদের হাত থেকে ইয়ামানকে বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে ইয়ামানে বিমান হামলা করে সৌদী ।
সৌদীতে এরকম সাহসী ও সংগ্রামী ব্যাক্তির অস্তিত্বের জন্যই শীয়াগোষ্ঠী ও ইহুদীরা সবচে আতঙ্কে আছে প্রিন্স মুহাম্মাদকে নিয়ে ।
তাই তাকে ফাসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে মিনা ট্রাজেডী ঘটানো হয় ।
এবং যুবরাজের ইমেজ ধ্বংসের অপচেষ্টা করা হয় ।
আজ সৌদী মিডিয়া এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ।
এবং ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রকারী ইরানীদের হুশিয়ার জানানো হয়েছে ।
এবং আরো জানা গেছে, সৌদি সরকার ঘটনার তদন্ত করতে বজ্রকঠিন শপথ নিয়েছেন ।
এবং শত শত সিসি ক্যামেরার চূলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ।
অপরাধীদের কড়া শিক্ষা দেয়া হবে ।
শীর্ষ নিউজ জানিয়েছে, হাজীদের মৃত্যুর ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র ।
মুসলীম উম্মাহর হৃদস্পন্দন মক্কাকে কলুষিত করতেই এই অপচেষ্টা করা হয়েছে ।
এবং ভবিষ্যত সৌদীর শক্তীশালী নেতৃত্বের অবসান ঘটানোর জন্যই একাজ করেছে শত্রুরা ।
জানা গেছে, সৌদী আরব শুধু মাত্র হাজীদের সম্মানে হজের সময় যে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও ব্যবস্হাপনা করে থাকে,
তা দিয়ে ৫০ টি ফুটবল বিশ্বকাপ একবারেই আয়োজন করা যাবে অনায়াসেই । এত নিরাপত্তার পর ও এই অনাকাঙ্খি ত ঘটনা রহস্যময় ইতিহাস হয়েই থাকবে । বিশ্ব জনমত সে কথাই বলে ।
এরপর ও সৌদী আরবকে কলঙ্কিত করতে ও মুসলীম বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । আর এতে নাটের গুরু হিসেবে কাজ করছে ইহুদী, খৃষ্টানদের সাথে হাত মিলানো শীয়াগোষ্ঠী ।
আমরা আশাবাদী, সৌদীর আগামী তরুন প্রজন্ম ও নব্য তুর্কীরা ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল ষড়যন্ত্রকে ধুলিৎসাত করে দিবে ইনশাআল্লাহ ।
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও গোয়েন্দা রিপোর্টে আশা করা যায়, নতুন আরেকটি ইসলামী বিপ্লবের অপেক্ষায় দুনিয়া ।
আর সেটা হয়তো আসবে আরবের ভূমি থেকেই ।
যার সহযোগী থাকবে নব্য তরুন তুর্কীরা ।
যার সমর্থনে থাকবে হাজার মাইল দূরে, বিশ্বের প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমাদের মত নবী প্রেমিক ঈমানদ্বীপ্ত তৌহিদী ছাত্র জনতা ।
আর সেই আন্দোলনে ইসলামী দুনিয়ার নেতৃত্ব চলে যেতে পারে আজকের যুবরাজ মুহাম্মাদ এর হাতে । তার চেহারার গভীর ছাপ সে কথারই প্রতিনিধিত্ব করে ।
তার চেহারার মাঝে লুকিয়ে আছে বিজয়ের অভিপ্রায় ।
বিজয় মুসলমানদের পদচুম্বন করবে ।
যুবরাজ মুহাম্মাদের নেতৃত্বেই আসতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে অন্যধরনের এক পরিবর্তন । যা হয়তো পাশ্চত্য দুনিয়াকে নাড়িয়ে দিবে ।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক পরিসংখান সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে আমাদের ।
সেই আশার আলোর সোনালী প্রভাতের অপেক্ষায়…