কমাশিসা: জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করেছে ভারত। স্থানীয় পুলিশ, প্যারামিলিটারি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা জেলায় জেলায় যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। এতে দুইদিনে পাকিস্তানভিত্তিক ৪ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এ অবস্থায় কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করায় অঞ্চলটিতে শান্তি ফিরে এসেছে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১০০ দিনেও কাশ্মীর পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় পাকিস্তানকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কাশ্মীরি নেতারা।
এখনও পুরোপুরি শীত না এলেও শ্বেতশুভ্র বরফে ঢাকা পড়েছে কাশ্মীরের রাজপথ। বহু পাহাড়ি এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। শ্রীনগর শহরেও থমকে গেছে জনজীবন। স্থানীরা বলছেন, তুষারপাতের কারণে বিদ্যুৎ না থাকলেও কর্তৃপক্ষের এ দিকে নজর নেই।
স্থানীয়রা বলছে, তিনদিন ধরে আমরা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দিন কাটাচ্ছি। সবদিক থেকেই পিছিয়ে পড়ছি, কাশ্মীরিদের জীবন এখন অন্ধকারাচ্ছন্ন।
এ অবস্থায় কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে। এতে মঙ্গলবারও দুই অস্ত্রধারী নিহত হয়েছেন।
সেনা সদস্যরা বলছে, নিহতরা পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তারা এখানে অবস্থান করছিল। অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
৫ আগস্ট অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর ১০০ দিন পার হয় মঙ্গলবার। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় কাশ্মীরি নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি বলেন, পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হতো। তিনি ইসলামাবাদকে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করারও আহ্বান জানান।
তবে কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ বলছে, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, ইতোমধ্যে মিনি বাস চলাচল করছে, সেই সঙ্গে বুধবার থেকে পুরোদমে চলবে অভ্যন্তরীণ রুটের ট্রেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার, সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে, অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। এক পরিসংখ্যান দিয়ে মোদি সরকার জানায়, ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের চৌঠা আগষ্ঠ পর্যন্ত ৭০ হাজার ৯৬০টি হামলার ঘটনায় ৪১ হাজার ৮৬১ জন নিহত হয়েছেন। তবে ৫ আগস্টের পর বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। যদিও সীমান্তে বহুবার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।