বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ১২:২৪
Home / কওমি অঙ্গন / কমাশিসার ২১ দফা

কমাশিসার ২১ দফা

কমাশিসা ডেস্ক:

১. একক কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাস্তবায়ন করুন।

২. আধুনিক শিক্ষার সাথে সমন্বয় সাধন করে পুর্ণাঙ্গ ইসলামি শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন করুন।

৩. ইবতেদাইয়াহ ও মুতাওয়াসসিতা তথা প্রাইমারি ও নিম্নমাধ্যমিক বিভাগ, ১০ম পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসের সাথে সামঞ্জস্য করে তৈরি করুন। ১০ম তথা জিসিএসি‘র পর উচ্চ্যমাধ্যমিক থেকে কওমি মাদরাসার জন্য নিজস্ব সিলেবাস ফলো করুন।

৪. আধুনিক আরবি ভাষাশিক্ষা ব্যবস্থা চালু করুন। আরব দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। বাংলা ও ইংরেজির গুরুত্ব দিন।

৫. মানসিক ও শারিরিক টর্চারমুক্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে পাঠদান ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ইসলামি তাহযিব তামাদ্দুনে আগ্রহী করে গড়ে তুলুন। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও দায়িত্ব অনুধাবনে সচেতনতা সৃষ্টি করুন।

৬. শতভাগ টি. সি. ব্যবাস্থা চালু করুন। ১০মের পর অকৃতকার্য কোন শিক্ষার্থীকে উপরের শ্রেণীতে ভর্তী বন্ধ করুন।

৭. নোটপ্রথা বন্ধের জন্য নোটের প্রতি অনুতসাহি করত: শিক্ষক দ্বারস্থের পথ সুগম করুন। ক্লাসের পাঠ ক্লাসেই শিখান। প্রতিটি আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি লিপিব্ধ করে নোটিশ বোরডে লাগান। নিয়মিত বিধিবিধান আপডেট করে রাখুন।

৮. প্রতিটি মাদরাসায় গবেষণা বিভাগ চালু করত: শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুযোগ তৈরি করে আধুনিক প্রয়োজনীয় বই-পুস্তক রচনা ও প্রকাশনা ব্যবস্থার পাশাপাশি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি বা কুতুবখানা কমপিউটার লেবসহ স্থাপন করুন।

৯. শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি ও আবশ্যকিয়। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দিন।

১০. পাড়ায় পাড়ায় নয়; জেলা ভিত্তিক মানসম্মত একটি করে টাইটেল মাদরাসা কায়েম করুন। তদুপরি যুগোপযোগী আধুনিক ইবতেদাইয়া মক্তব বা প্রাইমারি মাদরাসা গ্রামে গ্রামে প্রতিষ্ঠা করুন।

১১. এলোমেলো ভাবে ক্লাস খোলা বন্ধ করুন। বোরডের সাথে ঐক্যমতের ভিত্তিতে ক্লাসের স্তরবিন্যাস ও নামকরণ করুন। কওমি মাদরাসার জোনাল অফিস থেকে বা বিধিসম্মত বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে পরবরতি ক্লাস চালু করুন।

১২. মক্তব ও মুতাওয়াসসিতা তথা প্রাইমারি ও নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে আবাসিক ব্যবস্থা বন্ধ করুন। স্থানীয় ছেলে মেয়েদের আকৃষ্ট করুন। অভিভাবক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তাদের সাথে নিয়মিত অভিভাবক বৈঠক করুন।

১৩. মুহতামি, শিক্ষাসচিবগণ বহিরবিশ্বে শিক্ষা সফর করুন। প্রয়োজনে বিভাগীয় দায়িত্বশীলগণও দেশের নামি-দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভিজিট করে অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করুন।

১৪. মাদরাসা মাদরাসায় বন্ধুত্বের সেতু বন্ধন তৈরি ও মজবুত করুন। প্রতিটি মাদরাসার শিক্ষক, স্টাফ ও শিক্ষার্থীগণ অন্য মাদরাসার সাথে শিক্ষা সংস্কৃতিসহ নানান গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে আদান প্রদান মতবিনিময় ও শেয়ার করুন।

১৫. উদার মনোভাব রাখা খুবই জরুরি। অপরের উন্নতিকে নিজের উন্নতির মত দেখুন। মেধাবীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য মদিনা আজহার দেওবন্দ মলেশিয়া করাচি অক্সফোর্ড হাভার্ডসহ বিশ্বের বা দেশের যে কোন ভারসিটিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা থাকা উচিত।

১৬. মান সম্মত বেতন ভাতার ব্যবস্থা করুন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারিদের যথাযথ মুল্যায়ন করুন। পেনশন স্কিম চালুর পাশাপাশি কওমি কল্যান ট্রাস্ট কায়েম করে কওমি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করুন। প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে করুন।

১৭. কর্মময় জীবনের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করুন। কারিগরি প্রশিক্ষণসহ আত্যাবশকীয় জরুরি ও জবীন এবং সমাজ কেন্দ্রিক বিজ্ঞান সম্মত প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করুন। উচ্চমাধ্যমিক ক্লাস হতে শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম কাজের অনুমিত দিন। কাজের প্রশিক্ষণ চালু করুন। ১৬ বছর বয়স থেকে কাজ করে খাওয়ার মানসিকতা তৈরি করে দিন।

১৮. শরিরচর্চা খেলাধুলা প্যারেডসহ স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য সকল প্রকার যায়েজ বিনোদনের আয়োজন করুন। সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে জোরালো ভুমিকা রাখুন। কেন্টিনসহ প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এসবের ব্যবস্থা করুন।

১৯. গথবাধা বিষয়ের দারস নয়; বিষয় ভিত্তিক সেমিস্টার পদ্ধতির অনুসরন করুন। বইর বোজা না চাপিয়ে হাতে কলমে শিখানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

২০. আসাবিইয়্যাত বা স্বজনপ্রীতির ভিত্তিতে নয়; মেধা যোগ্যতা ও তাকওয়ার ভিত্তিতে মুহতামিম, নাজিম, পরিচালক, শিক্ষক, বিভাগীয় দায়িত্বশীলসহ যে কোন স্টাফ নিয়োগ দিন। যে কোন নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র ও সনদপত্র অভিজ্ঞতাপত্র সিভি আইডকার্ডসহ যাবতীয় আবশ্যকীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন। বিধিবিধান নিয়ম নীতি পালন করে নিয়োগ দিন। ইন্টারভিড নিন।

২১. শুধু যাকাত ফিতরা কাফ্ফরা নয়; নিজের অরজিত সম্পদ থেকে মুসলমানরা যাতে ইসলামি শিক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করে সেমতে তাদের উদ্বুদ্ধ করুন। এরূপ মানসিকতা তৈরিতে অবদান রাখুন। প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীন আয়ের উতসও তৈরি করা খুবই জরুরি।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

পুলিশি নির্যাতনে হত্যার বিচার চাইবেন কার কাছে?

ডক্টর তুহিন মালিক: (১) মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে যুবককে রাতভর নির্যাতন ...