মিয়ানমার সরকার বলেছে, তাদের দেশে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য কিছুটা ‘টাইম ও স্পেস’ দরকার। অর্থাৎ তাদের অতিরিক্ত সময় চাই, স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য কিছুটা বাড়তি পরিসরও চাই।
মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বিভাগের উপপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল ম্যিইন্ট ন্যু বলেছেন, রাখাইন প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যে ব্যাপক উদ্বেগ সে বিষয়ে মিয়ানমার সরকার সম্পূর্ণ অবহিত। তারা সেখানে দোষীদের শাস্তি দিতে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতেও দায়বদ্ধ । কিন্তু সেই সঙ্গেই এর জন্য দাবি করেন বাড়তি সময়।
মিয়ানমার সরকার কি তাহলে সত্যিই এখন এই সংকটের অবসান করতে চাইছে, না কি এটা স্রেফ কালক্ষেপণের কৌশল?
লন্ডনে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের নেতা নুরুল ইসলামের মতে, ‘মিয়ানমার সরকার সংকটের অবসান চাইছে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
তাঁর ভাষ্যমতে ‘মিয়ানমার অতিরিক্ত সময় চাইছে আরও মানুষ মারার জন্য। সমাধানের জন্য সময় চাইছে এটা আমরা বিশ্বাস করি না’।
‘তারা যদি সত্যিকার অর্থে সমাধান চাইতো তারা আন্তর্জাতিক তদন্ত দল রাখাইনে প্রবেশ করতে দিতো। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কাউকে এখন পর্যন্ত প্রবেশ করতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। দুনিয়াতো জানে না সেখানে কী হচ্ছে। নিরপেক্ষ কেউ যদি সেখানে না ঢুকতে পারে তাহলে কিভাবে আমরা বিশ্বাস করবো?’
মিয়ানমারকে কোনও সময় দেয়া উচিত নয় বলে মনে করেন নুরুল ইসলাম।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরিভিত্তিতে আরও বেশি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এখনও রাখাইন প্রদেশে অত্যাচার নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ করেন রোহিঙ্গা নেতা। রাখাইনে মানবিক পরিস্থিত সংকটজনক উল্লেখ করে জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
-বিবিসি বাংলা