মুহাম্মদ মাহবুবুল হক : রমজানে রোজা অবস্থায় অনেক সময় ঔষধ খাওয়া বা সেবন করার প্রয়োজন দেখা দেয় । নাক, কান, চোখে ড্রপ ব্যবহার করতে হয় । রোজাদার ব্যক্তির মুখ, কান, নাক, গুহ্যদ্বার, যোনিদ্বার ও পেঠের ক্ষতস্থানে ঔষধ ব্যবহার করলে যদি তা পাকস্থলি অথবা মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। কান ও নাকে ড্রপ ব্যবহার করলে যেহেতু ড্রপের ফোটা মস্তিষ্ক পর্যন্ত চলে যায়, তাই রোজা নষ্ট হয়ে যায়।
অবশ্যই অসাবধানতায় কানে পানি ঢুকে গেলে রোজার কোন ক্ষতি হয় না । তবে স্বেচ্ছায় কানে পানি ঢুকালে রোজা নষ্ট হওয়া না হওয়া নিয়ে ফকিহদের মতানৈক্য রয়েছে। প্রণিধানযোগ্য কথা হলো, রোজা নষ্ট হবে না।
সর্তকতার দাবি হলো, রোজা বহাল থাকবে না । চোখে ড্রপ বা সুরমা ব্যবহার করলে রোজা ভঙ্গ হয় না । কেননা চোখের সাথে পাকস্থলি ও মস্তিষ্কের কোন সংযোগ নেই। চোখে মলম বা ড্রপ ব্যবহারের ফলে যদি কন্ঠনালিতে ও থুথুতে স্বাদ অনুভূত হয়,তবুও রোজার কোন সমস্যা হবে না ।
ঊল্লেখ্য যে, বর্তমান সময়ের প্রখ্যাত আলেম মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন ‘ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা ’নামক গ্রন্থে লেখেছেন-মস্তিস্ক ও কানে ঔষধ ব্যবহার করলে রোজার কোন ক্ষতি হয় না। কারণ গবষেণায় দেখা গেছে মস্তিষ্ক ও কান থেকে গলা পর্যন্ত সরাসরি কোন ছিদ্র পথ নেই। পূর্বযুগের ফেকাহর কিতাবাদিতে মস্তিষ্ক ও কান থেকে গলা পর্যন্ত ছিদ্র পথ আছে ধারণা করে রোজা ভঙ্গের হুকুম দেয়া হয়েছিল।
সূত্র : বাদায়েউস সানায়ে৯৩/২,মারাকিল ফালাহ:১৩৩,ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়াহ ১৭/২আহছানুল ফাতাওয়া৪২১/৪
সৌজনে : আওয়ার ইসলাম২৪.কম