পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, সারা বিশ্বের মুসলমানদের শীর্ষতম ধর্মীয় তীর্থস্থান সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনা নগরী। এ দুটি নগরীতে অবস্থিত ইসলামি স্থাপনা যদি কোনো কারণে হুমকিতে পড়ে তা রক্ষায় বাংলাদেশ সৈন্য পাঠাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফর উপলক্ষে বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সম্প্রতি সৌদি আরবের নেতৃত্বে হওয়া ৩৪টি মুসলিম দেশের সামরিক জোটে বাংলাদেশের অবস্থান-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লিখিত মন্তব্য করেন।
এ সময় নব্বই দশকে তৎকালীন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে কুয়েত আক্রমণের উদাহরণ দিয়ে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এর আগেও আমরা সৌদি আরবে সেনা পাঠিয়েছি। কিন্তু সেটা যুদ্ধের জন্য নয়। যুদ্ধের কারণে পবিত্র মক্কা ও মদিনা নগরী যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সৈন্য পাঠানো হয়েছিল।
সামরিক জোটের প্রয়োজনে যদি সৌদি আরব বাংলাদেশের কাছে সৈন্য চায় তখন বাংলাদেশ কী করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ জোটে বাধ্যবাধকতার কোনো নিয়ম নেই। কেউ যদি কারও প্রস্তাবে সাড়া দেন সেটা সেই দেশের বিষয়। বাংলাদেশ এমন প্রস্তাবে সাড়া দেবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাব আসলে পরে সেটা বলা যাবে।
সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর লক্ষ্যে পাঁচ দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ দেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে ওমরা হজ পালন করবেন তিনি।
আগামী শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে ঢাকা থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে রওনা হয়ে এদিন সন্ধ্যায় জেদ্দা পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সফরকালে সরকার ও বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিনিধিদল থাকবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ সে দেশের নেতৃত্বে আসার পর শেখ হাসিনার এটাই প্রথম সফর। বাদশাহসহ সে দেশের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৭ জুন বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
সৌজন্যে : দৈনিক কালের কণ্ঠ