অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুল কবীর : এই ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসাটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক চিকিৎসার সময় যদি ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা হয়, তাহলে পুরোপুরি যেই চিকিৎসা সেটা করার পর অনেক মানুষই ভালো হয়ে যায়। তাই যখনই ওপেন ফ্রাকচার কোথাও হয়, সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় যে থাকবে, যে সেন্টারে যাবে, তারা কোনো অবস্থাতেই যেন ক্ষত স্থানকে সেলাই করে বন্ধ না করে দেয়। এটা আমাদের একটি প্রবণতা যে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে কিছু তো একটা করতে হবে, মানুষকে দেখাতে হবে, রোগীর লোকজনকে দেখাতে হবে যে আমরা কিছু করেছি। তাই তাড়াতাড়ি তারা ওই জায়গাকে সেলাই করে বন্ধ করে দিয়ে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। এটিই হলো একবারে ক্ষতিকর জিনিস।
যেটা করতে হবে হাড্ডিটা বের হয়ে আসার পরে, শুধু পানি দিয়ে সমস্ত হাড্ডিকে পরিষ্কার করতে হবে। জায়গাটাকে পরিষ্কার করতে হবে। যদি সাধারণ স্যালাইন পাওয়া যায়, সেটি দিয়ে পরিষ্কার করে, তারপর হাড্ডিটা মাংস বা চামড়ার ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই চামড়ায় সেলাই দেওয়া যাবে না।
এখন বলতে পারেন রক্তক্ষরণ হচ্ছে তখন কী করব? রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য প্রেসার ব্যান্ডিজ দিতে হবে। তবে চামড়া সেলাই করে সংক্রমণকে আরো ডেকে নিয়ে আসবেন না। ক্ষতটাকে বন্ধ করা যাবে না। ক্ষতটা সব সময় খোলা থাকবে। আপনি প্রেসার ব্যান্ডিজ দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ করেন। যেকোনো একটা কাঠ দিয়ে বা যেকোনো কিছু দিয়ে পায়ের ভাঙা হাড়ের নড়াচড়া বন্ধ করেন। তারপর সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে যথাস্থানে পাঠিয়ে দেন। এটিই হবে সবচেয়ে উত্তম কাজ।
সৌজন্যে : এনটিভি অনলাইন