শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সন্ধ্যা ৬:৩১
Home / অনুসন্ধান / মুসলমান সমাজে বেড়েউঠা এক মানব সন্তানের করুন কাহিনী !

মুসলমান সমাজে বেড়েউঠা এক মানব সন্তানের করুন কাহিনী !

কুকুরের দুধ পানে বেড়ে উঠে এক মানব সন্তান!

এই শিশুটির দিকে তাকালে বুঝতে অসুবিধা হয়না মুসলমানরা আজ কত অধঃপতনে নেমে এসেছে !

dog milk drink human childআব্দুল হাই মাসুম:: চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার দলদলী ইউনিয়নের পঞ্চানন্দপুর গ্রামের লাল চাঁনের ছেলে সেলিমের উপর মাত্র ছয় মাস বয়সে নিয়তি বেঁকে বসে। তার বাবার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মায়ের। বজরাটেক সবজা স্কুল পাড়া গ্রামের দরিদ্র নানার বাড়িতে তাকে নিয়ে মা চলে আসে। এর মধ্যে মায়ের বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র। মাকে নিয়ে তার স্বামী চলে যায় চট্টগ্রামে। নানা অয- আর অবহেলায় বেড়ে উঠা শুরু তার। দরিদ্র নানা ভ্যান চালিয়ে কোন রকম অভাবি সংসার চালায়। প্রয়োজনীয় খাবার টুকুও সেলিমের ভাগ্যে জুটে না। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সেলিম যখন চলতে শুরু করলো তখন থেকে এ বাড়ি ওবাড়ি গিয়ে নিজের খাবারের চেষ্টা চালাতে থাকে। ধীরে ধীরে গোন্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও হাঁটবাজারে তার ঠিকানা খুঁজে নেয়। ক্ষুধা মিটাতে হাটবাজারে থাকা কুকুরের ওলানে মুখ দিয়ে কুকুরের দুধ খেয়ে শিশু সেলিম নিজের জীবন বাঁচাতে সংগ্রামী হয়ে উঠে। সে প্রতি নিয়ত কুকুরের দুধ খেতে থাকে। কুকুরও তার অন্য সন্তানের মত করে দুধ খাওয়াতে থাকে তাকে। এতে কেউ খুব মজা পায় কেউ বা অদ্ভূত তাকিয়ে রহস্য খুঁজে। কিন্তু দু’মুঠো খাবার দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। হঠাৎ উপজেলার মেডিকেল মোড়ে এ প্রতিবেদক এক দোকানে চা খেতে বসলে কোথা থেকে সেলিম দৌড়ে এসে দু’টাকার আবদার করে বসে। এমন সময় পাশের অনেকেই বলে উঠে সে কুকুরের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে। ঘটনাটি প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিলো না। কিন্তু পরণে ঘটনা দরিদ্র শিশু সেলিমকে জিজ্ঞেস করতেই অকোপটে সত্যতা স্বীকার করলো। দরিদ্র নানা নিজ সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেলেও তেমন খোঁজ রাখার সাধ্যি হয়ে উঠেনি। আর আধা পাগল বাবা লালচাঁন ছেলে কোখায় কি করে সেটাও ভাবেনি কোনদিন। মায়ের ভালোবাসা, বাবার আদর আর নানার সংসারের অভাব অনটন ঠেলে দিয়েছে বর্তমান আট বছর বয়সী সেলিমকে কঠিন পরীায়। এখন সেলিমের অবলম্বন এলাকার মা কুকুরগুলো। মানুষের কাছে হাত পেতে পয়সা চাইলে কুকুরের দুধ খাই বলে অনেকেই তিরস্কার করে পাশ থেকে তাড়িয়ে দেয়। দরিদ্র সেলিমের পাশে অবলম্বন হয়ে যদি কুকুর দাঁড়াতে পারে তবে বিশ্বের কোথাও কি হৃদয়বান ব্যক্তি নাই তার পাশে দাঁড়ানোর। এ দিকে কুকুরের দুধ খাওয়া শিশুটির কোন শারীরিক বা মানুষিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে কি না ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: মশিউর রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পাগল কুকুর জলাতংক জীবানু বহন করে। সে সব কুকুরের দুধ খেলে সমস্যা হওয়ার কথা কিন্তু শিশুটি যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত কুকুরের দুধ খেয়েও কোন তি হয়নি ফলে ঐ সব কুকুর জলাতংক জীবানুকারী ছিলো না। এখন আর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা নয় বলে জানা যায়। মানুষ মানুষের জন্য একটু সহানুভূতি কি সেলিম পেতে পারে না ও মানুষ!

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...