খতিব তাজুল ইসলাম:
প্রসঙ্গ মুবাইল জব্দ করা পরে পুড়িয়ে ফেলা!
সুস্যাল মিডিয়ায় আলোচনা বেশ জমে উঠেছে। তবে বিষয়টা এখন এক প্রকার রেষারেষিতে চলেগেছে। কে কার মতকে উপরে উঠাবেন, কারটা নামাবেন নীচে। কেউ বলছেন চমৎকার কেউ বলছেন বাজে কাজ। আমি বলছি স্মার্ট আইডা না সেটা।
প্রথমে বলি হাটহাজারি মাদরাসাকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত। কারণ কর্তৃপক্ষ যা করেছে তাদের নিজস্ব আইনের প্রয়োগ ঘটিয়েছে মাত্র। আমরা যারা একমত নই বা ভাবছি বিষয়টা নিয়ে হাটহাজারি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা দরকার, সেখানে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। তাদের দোষারোপটা এভাবে মিডিয়ায় ডাইরেক্ট যদি আমরা করি সেটা ইনসাফের খেলাপ হবে। অতএব কে কেন কিভাবে পুড়িয়েছেন সে কথা এখন এখানে নেই। আলোচনাটা হবে শুধু সামগ্রিক মুবাইল ব্যবহার ও জব্দ করা নিয়ে।
১.
অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের হাতে মুবাইল থাকা গুরুতর বিষয়। একটি মুবাইলের সাথে কতটি বিষয় জড়িত? অর্থ সময় ও স্বাস্থ্যের ঝুকি। পনের বছরের নীচের কিশোর কিশোরি মুবাইল ইউজ করতে চায় কেন? বাবা মায়ের সাথে যোগাযোগ, বিনোদন, বন্ধুর সাথে কথোপকথন। না, এই বয়সে একক মুবাইলের মালিক হওয়া মানে নেশাগ্রস্ত হয়েপড়া। জীবনকে ঝুকির দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া। দশ বছরের নীচে তো বলবো মুবাইল টাচ করাই হারাম। সেখানে রেডিয়েশন আছে। চোখের সমস্যা শুরু হবে। বিদ্যুতের দুর্ঘটনাও হতে পারে। যা সে সামাল দিতে অক্ষম। অল্প বয়সে সুস্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ মানে নষ্টের সবক আরম্ভ করা। বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনের সাথে পিতা মাতার মুবাইল দিয়ে প্রয়োজনের কথা বলুক। দশ বছর বয়সের আগে একক মুবাইল সম্পুর্ণ রূপে নিষিদ্ধ করে রাখা উচিত। হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনেকে এমন কিছু মুবাইল দেন যা দিয়ে কারো সাথে কন্টাক্ট করা যায়না। শুধু কল রিসিভ হয়। কল লিস্ট থাকে। তাই পরে দেখা যায় যে সে কার সাথে কথা বলেছে? পিতা মাতারা যাস্ট যোগাযোগের জন্য এই ব্যবস্থা রাখেন। কিন্তু বাংলাদেশের মত গরীব অনুন্নত দেশে এমন ব্যবস্থা তো এতটা সহজ নয়। তাই না দেয়া উত্তম। মেট্টিকের আগে ১০মের আগ পর্যন্ত এভাবে টাইট করে রাখতে হবে। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজের স্টাডির প্রয়োজনে সুস্যাল মিডিয়ার দরকার পড়ে। তারা ঘরের নেট ব্যবহার করে কিংবা স্কুল ও লাইব্রেরির নেট ব্যবহার করে কম্পিউটার বা স্টাডির প্রয়োজন মেটায়। বাংলাদেশের অবস্থা কেমন আমরা ভাল করেই জানি। তাই তাদের নেট ব্যবহারের সময় সামনে থেকে করানো উচিত। কলেজ ভার্সিটিতে গেলে তো সে অনেক বড় হয়ে গেল না? তবুও ভাল মন্দ নিয়ে সব সময় তাদের অবহিতে করে রাখা ভাল। আমি তো এখনো আমার সন্তানদের ফেইসবুকের মত এমন কোন সুস্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট খুলার পারমিশন দেইনি। অথচ তাদের একজন ভার্সিটি একজন কালেজের কাছাকাছি।
২.
দ্বায় শুধু কি শিক্ষার্থীদের বেলায়?
না, মুবাইল বা ডিভাইস যাই হউক সবকিছুতে বড়দেরও দ্বায় আছে। অনবরত এইসব ডিভাইস ব্যবহারের ফলে চোখ ও মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়। এমনকি অনেকের শ্রবণ শক্তিও হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা আছে। তাই বড়রাও এসব ব্যবহারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। অনবরত মুবাইল ব্যবহার করবেন না। পারত পক্ষে কানের সাথে রেখে কথা বলবেন না। এয়ার ফোন বা লাউডস স্পিকার ব্যবহার করুন। আমার পরিচিত কয়েক জনের কান ও ব্রেইন ইন্জুরির সমস্যা দেখা দিয়েছে অধিক মুবাইল ব্যবহারের কারণে। বর্তমানে বৃটেনের স্কুল গুলোতে মুবাইল নিষিদ্ধ করা হবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। কারণ মুবাইল এক ধরেনের আশক্তি। যা শিশু কিশোর যুবক বৃদ্ধ্য সকলকে করে কুপুকাত। অতএব মুবাইল বা অন্য ডিভাইসের ব্যবহার সকলে সীমিত ভাবে করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এমনকি প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলীও নিয়ম নীতির ভিতর থেকে মুবাইল ব্যবহার করবেন। কেউই আইনের উর্ধে নন। অভিভাবকগণ যদি অধিক সচেতন না হন তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক সকল উদ্যোগ বুমেরাং হয়ে দেখা দিবে। তাই পিতা মাতা বা বড়দের কর্তব্য ও সতর্কতা সাবধানতা অবলম্বন প্রথম কাজ।
মুবাইল পিসি লাপটপ বাস্ট মেরে এপর্যন্ত কত হাজার মানুষের জীবন নষ্ট হয়েছে তা আমরা কি কম জানি। ঘর পুড়েছে, মানুষ পুড়েছে, সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। তাই জান ও মালের হেফাজতের জন্য চাই সুচিন্তিত ডিভাইস ব্যবহার ও তার অনুসরণ।
৩.
এবার আসি প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ে। প্রাইমারিতে প্রশ্নই আসেনা মুবাইল ব্যবহারের। মাধ্যমিকে দেয়ার পক্ষপাতি নই। তবে ক্লাস এইট হলে যোগাযোগের প্রচন্ড প্রয়োজন অনুভব হলে একমুখি মুবাইল শুধু হাতে দিতে পারেন। কেবলমাত্র অভিভাবকের সাথে যোগাযোগের জন্য। কলেজ পর্যায়ে তাদের কিছুটা স্বাধীনতার দরকার আছে। বিশ্ব সম্পর্কে জানা ও বোঝার প্রয়োজন আছে। তাই মুবাইল থাকবে সাথে যে প্রতিষ্ঠানে যে রুল আছে তা সে মেনে চলতে বাধ্য। বড় ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিশ্চয় মুবাইল ব্যবহারে নীতিমালা বলে দিবেন। যারা আবাসিক বা বোর্ডিংএ থাকে তাদের উপর আইনের প্রয়োগ হয় বেশি। অনুরোধ থাকবে যেন এমন ভাবে বন্দী না করি যাতে তারা লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু করা প্রয়োজন বোধ করে। শিশু কিশোরদের আইন যুবকদের উপর চাপিয়ে দেয়া অযৌক্তিক। সমস্যা হলো আমাদের দ্বীনী মাদরাসায় শিশু কিশোর যুবক বৃদ্ধ্য সকলেই এক কাতারে। তাই কর্তৃপক্ষ বয়সোনুপাতে আইনের প্রয়োগ ঘটাবেন তা আমরা কামনা করি। আসলে ডিজিটাল মিডিয়ার সুবিধা সিকিভাগ বাংলাদেশ পাচ্ছে কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যাক যুগ থেকে যেমন কেউ আলাদা হয়ে গুহায় বসবাস করতে পারে না, তাকে মাঠে ঘাটে ময়দানে যেতে হবে। দেশ বিদেশ সফর করতে হবে। তাই গর্তের ভিতর যেন নিজেকে আবিষ্কার না করি।
৪.
আইনের প্রয়োগ! একটা কাহিনী দিয়ে কথাটা শুরু করি। মোল্লা ওমর যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন গোটা আফগানিস্তানে শয়ে শয়ে টিভি সেট ভাংগার হিড়িক পড়ে গিয়েছিলো তখন। রাষ্ট্রীয় ভাবে তাদের বাধ্য করা হয়েছিলো। সাথে সাথে গোটা বিশ্বব্যাপী শুরুহলো হৈ চৈ! দেখেছো তালেবান কতটা জংগী? কতটা মুর্খ? কতটা বর্বর? কতটা ফানাটিক? কতটা চরমপন্থী? কতটা নিষ্টুর? তালেবান চায় বিশ্ব সমাজকে অন্ধকার যুগের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে? মোটামুটি তখন তারা টিভি ভাংগা দেখিয়ে ভাল মার্কেট জমিয়ে ফেলেছিলো। ঠিক তদ্রুপ আইএস ও বুকুহারামকে দিয়ে কুফর এমন কিছু কাজ করিয়ে ফলাও করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছিলো যাতে মানুষের অন্তরে ইসলামের প্রতি অসম্মান বোধ জাগ্রত হয়।
বুঝতে হবে আমরা এ পৃথিবীতে একা না। আমাদের দোস্ত দুশমন আছে প্রচুর। ঘরে বাহিরে ক্যামেরা নিয়ে তৈরি হয়ে আছে ইসলামের খুঁত ধরতে। তাই তারা যখন কোন ইস্যু পাবে তখন হৈ হৈ রৈ রৈ শুরু করে দিবে।
আমাদের সরকারি স্কুল গুলো চরিত্র বিনষ্টের কারখানা যদি বলি তাহলে কম বলবো। এমন কি অমুসলিম দেশের চেয়েও পরিস্থিতি খারাপ। অমুসলিম দেশে তারা তাদের ফ্রি মিক্সিংকে জায়েজ মনে করে। কিন্তু অপ্রাপ্তদের সাথে কেউ প্রাপ্ত বয়স্কের আচরণ করলে মহা খবর আছে। প্রাপ্ত বয়স্করাও আইনের ভিতর থেকে যা করার করতে হবে। কিন্তু আমাদের স্কুলগুলো কি আজ নিরাপদ? না, যেমন ভাল শিক্ষা পাচ্ছেনা তেমনি ভাল আচরণ টুকুও শিখছে না। শিশু কিশোর কিশোরিরা অহরহ যৌন হয়রানির শিকার। তার সুষ্টু কোন বিচার নাই। সেখানে আইনের প্রয়োগ কতটুকু হচ্ছে বা শিক্ষার্থীরা কতটুকু নিরাপদ থাকছে এই প্রশ্ন অকেজ? সরকারি স্কুল কলেজের চেয়ে প্রাইভেট স্কুল কলেজেগুলোতে শোনা যায় কিছুটা কড়াকড়ি আছে। তবে মুবাইল নামক ঘাতক অস্ত্র থেকে স্কুল ও মাধ্যমিকের শিশু কিশোররা কতটুকু মাহফুজ আছে তা আল্লাহ‘ই ভাল জানেন। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আর কিই বা বলি।
অপরদিকে আমাদের দ্বীনী প্রতিষ্ঠানে বলা যায় কড়াকড়িটা বেশ মজবুত। ছাত্ররা অন্তত উসতাজদের সম্মান করে। তবে এখানের বড় একটি সমস্যা হলো শিশু কিশোর যুবক বৃদ্ধ্য সকলের অবস্থান একই জায়গায়। যে কারণে শিশু কিশোরদের উপর আরোপিত আইনের ধকল বড়দের উপর দিয়েও যায়। তাই আমাদের এখানে একটা সমন্বিত ও সুচিন্তিত আইন কানুনের দরকার প্রকট। বাহিরের ছাত্র যারা তারা যে নেটের সুবিধা ভোগ করে সেটা বোর্ডিংগের ছাত্ররা পায়না বিধায় চলে লুকোচুরি খেলা। তারপরও বলবো পরিষ্কার করে মুবাইল ব্যবহার বিধিমালা নোটিশ টাংগিয়ে দেয়া। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জরুরি। আর তা যেন হয় যৌক্তিক ভাবে।
৫.
আইন ভংগ হলে করণীয় কি?
শিশু কিশোরদের হাতে মুবাইল থাকতেই পারেনা। তাই সিজ তো হবেই। যতক্ষণ না তার অভিভাবকের সাথে মোলাকাত হয়েছে মুবাইল বা ডিভাইস অবশ্যই জব্দ করে রাখা হবে। আইন বার বার ভংগ হলে বহিষ্কার করে দিবেন। এমন কেন্সার রেখে কোন লাভ নেই। বড় বড় ছাত্র যারা পনের বছরের উপরে। যুবক এখন। তাদেরকে মুবাইল বা ডিভাইস ব্যবহারের নীতিমালা বুঝিয়ে দিন। কোন কোন আইনের ভিতর সে তা বহন ও ব্যবহার করতে পারবে তা তাকে জানিয়ে দেয়া। ছোট শিশু কিশোর আর যুবকদের আইন কখনো সমান হতে পারেনা। যারা নিয়ম ভাংবে তাদের ৩য় সতর্কবাণীর সময় মুবাইল বা ডিভাইস সিজ করে নিন। সিজ করার পর দুটা শর্ত দিতে পারেন যে, সে বড় আকারের জরিমানা পরিশোধ করে পুণরায় মুবাইল পাবে। তবে আবার একই কাজ করলে বহিষ্কার নিশ্চিত। কারণ একটা যুবক যখন কিছুতেই হার মানছে না তার মুবাইল আটকিয়ে কোন লাভ নেই। সে হয়তো অন্যভাবে মুবাইল আরেকটি ম্যানেজ করে নিবে। তাই নাম কেটে দেয়াই হলো উত্তম কাজ। কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য তো এইনা যে ওরা আইন ভংগ করুক আর আমরা মুবাইল নিতে থাকবো। মুবাইল জব্দ হতে হতে লাওয়ারিস বস্তা যখন হয়ে উঠে তখন করণীয় হলো তার আগে যাদের মুবাইল জব্দ করা হবে তাদের স্বাক্ষর গ্রহন এই মর্মে যে সে মুবাইল ও ডিভাইসের আইন ভংগ করলে তা সিজ হবে এবং ফেরত দেয়া হবেনা। ফেরত নিতে হলে বড় আকারের জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। তখন পরিত্যক্ত মুবাইল গুলো প্রতিষ্ঠানের জনকল্যাণ মুলক কাজে ব্যবহার করার জন্য মুবাইল কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়া যেতে পারে। মোবাইল নষ্টের আগে জানা দরকার একটা যুবকের তার কন্টাক্ট সিম সহ কোন ডকুমেন্ট আছে কিনা। তাই তাকে সেই সুযোগ দেয়া যাতে সে তার জরুরি জিনিস গুলো উদ্ধার করে নিয়ে যেতে পারে। মুবাইল সিজের পর কতদিন স্টকে রাখা হবে তাও জানিয়ে দেয়া ভাল। এভাবে আরো অন্য কোন উত্তম পন্থায় বিষয়টি ডিল হতে পারে।
প্রশ্ন হলো মুবাইল পুড়িয়ে ফেলার বিষয় নিয়ে! মুবাইলের মাঝে কিছু দামী জিনিস থাকে। থাকে বডি কভার সহ কিছু পার্টস পুণর ব্যবহার যোগ্য। ব্যাটারিতে আছে মারাত্মাক এসিড। উন্নত বিশ্বে যে কোন ব্যাটারি ফেলার স্পেশাল জায়গা রাখা থাকে। এমনকি সাধারণ বিনে তা ফেলা দন্ডনীয় অপরাধ। কারণ ব্যাটারির বিষাক্ত রাসায়নিক তরল পদার্থ মাটির জন্য মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। আর লোহা গলে কখনো মাটি হয়ে যায়না। তেমনি প্লাস্টিকও সমান কথা। কারণ একটি প্রতিষ্ঠান যখন শত শত মুবাইল জ্বালাবে তারপরে তা তো জ্বলে নিঃশেষ হয়ে যাবেনা। সেই আবর্জনা ফেলেবে কোথায়? বিশেষ করে দ্বীনী প্রতিষ্ঠান তো আদর্শের আইকন। ছাত্রদের লেখাপড়ার জীবন রক্ষার্থে এখন তা জ্বালিয়ে ড্রেইনে ফেলে প্রতিবেশি ও জাতির জন্য আরেক মুশকিলাতের জন্ম দেয়া কি সঠিক কাজ? তা সুস্থ মস্তিষ্ক কখনো মেনে নিতে পারেনা। সম্পদ ধংস করার ফতোয়া নাইবা দিলাম; পরিবেশ দুষণ মাটির উর্বরতা নষ্ট, কেন্সারের মত বিভিন্ন ভাইরাসের প্রসার, নালা নদীতে মাছ ও কিট পতঙ্গের জন্য সমস্যা সৃষ্টি সহ আরো অজানা যে সংকট সামনে তৈরি হচ্ছে সে কথা আমাদের জানা থাকা জরুরি নয় কি?
লন্ডন ৭ই মার্চ ২০১৮