লন্ডন প্রতিনিধি : বর্তমান বাংলাদেশের সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্ম হীনতার দিকে দেশের মানুষদেরকে বাদ্য করছে। দেশের সম্মানিত স্থান সুপ্রিমকোর্ট ও জাতীয় ঈদগাহের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে দেশের মানুষেরদেরকে মূর্তি পুজারীর দিকে দাবিত করছে যা একত্ববাদের সঙ্গে সাংঘর্সিক। তিনি সরকারকে ইনসাফের প্রতিক দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করে সুপ্রিমকোর্টের সামন থেকে মূর্তি অপসরণ করার আহবান জানান।
তিনি আর বলেন, সরকার দেশের মানুষকে দুঃখে হাসতে বাদ্য করছে, কারণ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তঁদের উপর নেমে আশে পুলিশি নির্যাতন। তিনি হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপর হায়রানী মুলক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারী পরওয়ানা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহবান জানান।
খেলাফত মজলিস লন্ডন মহানগরীর বার্ষিক মজলিসে শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপরুক্ত বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচীব ও যুক্তরাজ্যের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ।
গত ৭ মার্চ ২০১৭ ইস্ট লন্ডনস্থ আলহুদা সেন্টারে মহানগর সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আহাদের পরিচালনায় শুরার প্রথম অধিবেশনে দারসে হাদিস পেশ করেন শাখার সহ সভাপতি হাফিজ মাওলানা এনামুল হক।
সভার সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম প্রথম অধিবেশনে শুরার সকল সদস্যদের উপস্থিতে গত বছরের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন। পরে রিপোর্টের উপর মন্তব্য প্রতিবেদন এবং বিদায়ী বক্তব্য প্রদান করে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালহের নিকট মহানগর শাখার দায়িত্ব হস্থান্তর করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহের আদেশে সহকারী নির্বাচন কমিশনার যুক্তরাজ্যের সহ সাধারণ মাওলানা শাহ মিজানুল হকের পরিচালনায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দ্বিথীয় অধিবেশন শুরু হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, খেলাফত মজলিস লন্ডন মহানগরীর ২০১৭-২০১৮ সেশনের নির্বাচনের পূর্বে মহানগরীর সাবেক সভাপতি মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আহাদকে যুক্তরাজ্য শাখায় তাঁদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরে মহানগরীর দায়িত্বশীল নির্বাচন বা নিয়োগের জন্য সংবিধানের নিয়মনীতি বর্ণনা করেন এবং উপস্থিত মজলিসে শুরার সদস্যদের গোপন ব্যালেটের মাধ্যমে মহানগরীর ২০১৭-২০১৮ সেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করেন।
উপস্তিত শুরার সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে মহানগরীর সভাপতি নির্বাচিত হন হাফিজ মাওলানা এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন মাওলানা আনিসুর রাহমান।
নিম্নে শাখার নির্বাচিত ৩১ সদস্য কমিটি, সভাপতি হাফিজ মাওলানা এনামুল হক, সহ সভাপতি হাফিজ মাওলানা সাদিকুর রাহমান, সহ সভাপতি মাওলানা ফজলুর রাহমান, সহ সভাপতি হাফিজ মাওলানা আশ্রাফ চৌধুরী, সহ সভাপতি হাফিজ মাওলানা মুফতী আব্দুর রাজ্জাক, সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালিক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনিসুর রাহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাবির আহমাদ, মাওলানা নুফাইছ আহমাদ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা শেখ রুম্মান আহমাদ, সহ বায়তুলমাল সম্পাদক শেখ ফখরুল আবেদ্দীন মুরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল গফুর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জাকারীয়া আহমাদ, প্রশিক্ষন সম্পাদক মাওলানা দিলওয়ার হুসাইন, সহ প্রশিক্ষন সম্পাদক মাওলানা কাশেম উদ্দীন চৌধুরী, দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুতাসিম বিল্লাহ, অফিস ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম চৌধুরী, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ ফজলু মিয়া।
সদস্য আলহাজ আজিজুর রাহমান, মাওলানা ফুজায়েল আহমাদ নাজমুল, মুহাম্মাদ ইসবাহ উদ্দীন কামরুল, মাওলানা জয়নুল আবেদ্দীন, মাওলানা আব্দুল খালিক সাহেদ, মাওলানা রশিদ আহমাদ, হাফিজ আব্দুল হক, মাওলানা আশ্রাফুল মাওলা, মুহাম্মাদ সানাউল হক, মাওলানা নুরুল হক জামিল, মাওলানা শাহজাহান, মুহাম্মাদ বুলবুল আহমাদ, মাওলানা সালেহ আহমাদ।