কমাশিসা : জাফর ইকবালের বইয়ের প্রচ্ছদেও একজন আরবি পোষাক পরা লোকের ছবি রয়েছে। বিতর্কিত লেখক জাফর ইকবাল এবার শিশু-কিশোর উপন্যাস লিখেছেন ‘ভুতের বাচ্চা সুলায়মান’। এটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা-প্রতিবাদ চলছে। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। দাবি তুলেছেন লেখক-প্রকাশক উভয়কে ক্ষমা চাইতে হবে, বইটি নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিশিষ্ট লেখক কবি মুসা আল হাফিজ ফেসবুকে লিখেছেন- ‘হুমায়ুন আজাদ তার ‘সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ বইটি উৎসর্গ করলেন হুমায়ূন আহমেদ ও ইমদাদুল হক মিলনকে। উদ্দেশ্য তাদেরকে নষ্টপ্রবনতার প্রতিভূ হিসেবে দেখানো। জবাবে ইমদাদুল হক মিলন তার ‘বনমানুষ’ বই উৎসর্গ করলেন আজাদকে। মারের বদলে মার!
জাফর ইকবাল লিখেছেন ভূতের নাম সোলাইমান। বিনিময়ে আমি তাকে উৎসর্গ করতে চাই আমার প্রকাশিতব্য ছড়াগ্রন্থ ‘লাথ্থি’।’
খতিব তাজুল ইসলাম লিখেছেন-
‘ভুতের বাচ্চা জাফর ইকবাল এ কি করলো …?! একজন নবীর নাম নিয়ে ফাজলামো …!!!???’
এ পোস্টের কমেন্টে বিশিষ্ট লেখক, কলামিস্ট, ঔপন্যাসিক রশীদ জামীল লিখেছেন-
‘ক্ষমা চাওয়া উচিত, লেখক-প্রকাশক উভয়কে।’
মামুন আব্দুল্লাহ কমেন্ট করেছেন-
‘আপনি লিখুন “ভূতের বাচ্চা জাফর ইকবাল” নামে একটা।’
লেখক শামসীর হারুনুর রশিদ লিখেছেন- ‘এসব কচ্ছপদের রাষ্ট্রযন্ত্র পৃষ্ঠপোষকতা করছে
আর আমরা পারছি না একটা বইয়ের খরচা যোগাতে?’
গ্রাফিক ডিজাইনার ইনাম বিন সিদ্দিক লিখেছেন, ‘জাফর ইকবালের বইয়ের প্রচ্ছদে একজন আরবি পোষাক পরা লোকের ছবি রয়েছে, যা দৃষ্টিকটু। এবং জাফর ইকবাল যে ইচ্ছাকৃতভাবেই সুলাইমান আ.কে অপমান করছেন, তা তার বইয়ের প্রচ্ছদেই প্রমাণ হয়।’
আরেকজন কমেন্টে লিখেছেন-
‘সাথে সাথে বইটি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।’
এছাড়াও বিভিন্নজন ‘ভূতের বাচ্চা মীর জাফর’ বলে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সুলায়মান আ. একজন নবি ছিলেন। যাকে আল্লাহ তা’য়ালা মানব জাতির রাজত্বের পাশাপাশি জ্বিন জাতির সাম্রাজ্যের অধিকারী করেছিলেন।