মুফতি জিয়াউর রহমান :
আসলে রাগ সব বয়সের মানুষের একটি স্বভাবজাত সমস্যা হলেও বিশেষত এটি আমাদের যুবক ভাইদের বেলায় একটি কমন সমস্যা৷ রক্তে-মাংসে গড়া মানুষের ভেতরকার রাগ একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়৷ এটাকে সমূলে নির্মুল করা সম্ভব নয়৷ নিয়ন্ত্রণে রাখাই হচ্ছে জরুরি বিষয়৷ তাই নিয়ন্ত্রণের নানা উপায় ও পদ্ধতি রয়েছে৷
এখানে রাগ নিয়ন্ত্রণ বা সংযত রাখার কয়েকটি কার্যকর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করছি-
১. যেহেতু রাগ অনেক ক্ষেত্রেই শয়তানের পক্ষ থেকে এসে থাকে, তাই রাগ আসার সাথে সাথেই ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’ পড়ুন৷
২. নীরব হয়ে যান৷ হাদীসে এসেছে, যখন রাগ আসে, তখন নীরব হয়ে যাও৷
৩. রাগ আসার সাথে সাথে আপনার অবস্থায় পরিবর্তন আনুন৷ অর্থাৎ দাঁড়ানো থাকলে বসে যান৷ এরপরও যদি রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, বসা থেকে শুয়ে পড়ুন৷
৪. রাগ নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তির জন্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে জান্নাতের সুসংবাদের কথা স্মরণ করুন৷ নিজেও সুসংবাদ গ্রহণ করুন৷
৫. সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামায পড়ে একটু বাইরের নির্মল বাতাস গ্রহণ করুন৷ হাঁটাচলা করুন৷
কারণ রাগ আসে মিযাজের ভারসাম্যহীনতার কারণে৷ আর মিযাজে ভারসাম্যহীনতা আসে মাথায় গ্যাঞ্জাম থাকলে৷ আর মাথার গ্যাঞ্জাম দূর হয় ভোরের নির্মল, স্বচ্ছ ও স্বাস্থ্যসম্মত বাতাস গ্রহণ করলে৷
৬. রাগ দমনের সর্বশেষ কার্যকর উপায় হচ্ছে, বিয়ে না করে থাকলে দ্রুত বিয়ে করে ফেলুন৷ বিয়ে আনে ঈমানে পরিপূর্ণতা৷ জীবনে আনে স্বচ্ছতা৷ দেমাগে আনে ভারসাম্যপূর্ণতা৷
যিনি পরামর্শ চেয়েছেন, তিনিও বিবাহিত নন, তাই সর্বাগ্রে বিয়ের পরামর্শই তাকে দিয়েছি৷ পরে অন্যান্য বিষয়গুলো বলেছি৷ অতএব আপনারাও বেছে নিন নিজের জন্যে আগে করণীয় কোনটি?