নাজীব উল্লাহ সিদ্দীকী:
মাদরাসাতুল মান্হাল আলকাউমিয়া আননামুযাজিয়্যাহ, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ- এর পরিচিতি:
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على محمد النبيِّ الأمين، وعلى آله وصحبه الطيِّبين الطاهرين، ومن دعا بدَعْوته، واستنَّ بسنَّته إلى يوم الدِّين. أما بعد-
প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ও এলাকা পরিচিতি:
মাদরাসাতুল মানহাল আলকাউমিয়া আননামুযাজিয়্যাহ, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ। আল-মানহাল উত্তরা মডেল টাউনের ডিয়াবাড়িতে অবস্থিত। তিনশ’ ফিট রাস্তার পার্শ্বে অবস্থিত। অত্যন্ত উন্নত ও কমার্শিয়াল এলাকা। যাতায়াত ব্যবস্থাও উন্নত।
প্রতিষ্ঠাকাল পেক্ষাপট:
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:(إِنَّ الله َيَرْفَعُ بِهَذَا الْقُرْآنِ أَقْوَامًا، وَيَضَعُ بِهِ آخَرِيْنَ “.-رواه مسلم) ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা মহাগ্রন্থ‘ আল কুরআনের’ কোনো জাতিকে সম্মানিত করেন আবার এর দ্বারা কোনো জাতিকে অপদস্ত করেন।’-সহীহ মুসলিম, হাদীস-১৩৫৩
প্রখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন উমর রা. বলেন: (عَلَيْكُمْ بِالْقُرْآنِ فَتَعَلَّمُوْهُ، وَعَلِّمُوْهُ أَبْنَائَكُمْ ، فَإِنَّكُمْ عَنْهُ تُسْأَلُوْنَ، وَبِهِ تُجْزَوْنَ، وَكَفَى بِهِ وَاعِظًا لِمَنْ عَقَلَ) (অর্থাৎ, ‘তোমরা কুরআন শরীফকে আঁকড়ে ধরো। নিজে শেখো এবং তোমাদের সন্তানদেরকে এর শিক্ষা দাও। কেননা এর সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এবং এর দ্বারাই তোমরা প্রতিদান পাবে। বস্তুত: বুদ্ধিমান লোকেরাই কুরআন থেকে উপদেশ ও শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে।’)
কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞানার্জন ও এতে ব্যুৎপত্তি অর্জনে আরবী ভাষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। উপরন্তু দীনী ইল্ম তথা ইসলামী জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে সম্যক ধারনা রাখাও আবশ্যক। সর্বোপরি এ দু’য়ের যথাযথ সমন্বয়েই একজন মুসলমান নিজেকে আদর্শবান, দাঈ, সমাজ সংস্কারক ও যোগ্য নেতৃত্বদানকারী বিজ্ঞ আলেমে দীন হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়েই দেশবরেণ্য আলেম, শায়খুল ইসলাম, পীরে কামেল, আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা. এর নির্দেশে এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও একনিষ্ঠ শুভাকাঙক্ষীদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতায় ১৪৩২হিজরীর ২২শাওয়াল মুতাবেক ২০১১ঈসায়ীর ২১শে সেপ্টেম্বর, রোজ বুধবার, ‘মাদরাসাতুল মান্হাল আলকাউমিয়া আননামুযাজিয়্যাহ, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ (আল-মান্হাল মডেল কওমী মাদরাসা, উত্তরা, ঢাকা)-আনুষ্ঠানিকভাবে তার শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে।
আল-মান্হালের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
কুরআন ও হাদীস তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকীদার নিরিখে, খুলাফায়ে রাশেদীনের অনুকরণে আল্লাহভীরু, কর্তব্যপরায়ণ, ওহিভিত্তিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিদগ্ধ আলোকিত মানুষ গড়া, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুণাবলীর বিকাশ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনই এ প্রতিষ্ঠান কায়েমের অভীষ্ঠ লক্ষ্য।
বৈশিষ্ট্য:
(১) কুরআন হাদীসের আলোকে তাক্বওয়া ও সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন গঠনের প্রচেষ্টা।
(২) দেশবরেণ্য, ইসলামী ও জেনারেল শিক্ষাবিদদের সুপরামর্শে পরিচালিত।
(৩) ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিষয় ভিত্তিক দক্ষ, অভিজ্ঞ, সুযোগ্য উলামায়ে কেরাম ও জেনারেল শিক্ষকগণের দ্বারা পাঠদানের ব্যবস্থা।
(৪) একটি পূর্ণাঙ্গ আরবী ও ইংরেজী মিডিয়াম ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
(৫) শিশু শ্রেণী থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত ‘বেফাকুল মাদারিস তথা কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান।
(৬) আরবী ও বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী ভাষার প্রতি সমান গুরুত্বারুপ।
(৭) তিন বছরের মধ্যে হিফ্জ সমাপণ।
(৮) তাজভীদ ভিত্তিক বিশুদ্ধ উচ্চারণ।
(৯) উৎসাহ-উদ্দীপণা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
(১০) হিফজ সমাপণকারী ছাত্রদের মধ্য থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রদেরকে বরকতপূর্ণ বিখ্যাত
হাফস আন আসেম রহ.এর রেওয়ায়েতের এজাযত দেওয়া।
(১১) হিফজ বিভাগের ছাত্রদের হিফজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি আরবী, বাংলা,
ইংরেজী ও গণিত- এ চারটি বিষয়ে সিলেবাস ভিত্তিক পাঠদানের ব্যবস্থা।
(১২) সমসাময়িক ও আধুনিক আরবী সাহিত্য চর্চার জন্য আলআযহার ইউনিভার্সিটি
মিশর, মদীনা ও কাতার ইউনিভার্সিটিসহ আরব জাহানের অন্যান্য বিখ্যাত স্কুল/কলেজের আরবী সাহিত্যের বই পাঠ দান।
(১৩) মাদরাসার ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক সকলের জন্য সার্বক্ষণিক আরবী ও ইংরেজি
কথোপকথনের উপর বিশেষ গুরুত্বারুপ।
(১৪) নামায সহ সকল অত্যাবশ্যকীয় ইবাদাত শিক্ষকগণের তদারকীতে
বাধ্যতামূলকভাবে পালনের ব্যবস্থা।
(১৫) মেধা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হাফেজ ছাত্রবৃন্দকে বিশেষভাবে প্রণীত সিলেবাসের
মাধ্যমে এক বৎসরেই “হিদায়াতুন্নাহু”পর্যন্ত পাঠদানের ব্যবস্থা। এ বিভাগে এক বছরে নাহুমীর, মীযান, আল ফিকহুল মুয়াস্সার, উর্দু কায়দা, তা’লীমুল ইসলাম ১ম ও ২য়, এসো আরবী শিখি ১ম ও ২য়, কাতার এর ৩য় শ্রেণীর আরবী কিতাব ‘আলকিরাআতুল আরাবিয়্যাহ’, কাসাসুন নাবীয়য়ীন ১ম ও ২য় খন্ড এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর বাংলা, গণিত, ইংরেজী সহ কম্পিউটার শিক্ষাদানের ব্যবস্থা।
(১৬) বিদেশী ডিগ্রীধারী শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা নিয়মিত পাঠদানের ব্যবস্থা।
(১৭) পৃথক কম্পিউটার ল্যাব।
(১৮) বিজ্ঞান চর্চার জন্য উন্নত বিজ্ঞানাগার (প্রস্তাবিত)।
(১৯) সমৃদ্ধ লাইব্রেরী।
(২০) সার্বক্ষণিক যোগ্য শিক্ষকমন্ডলীর তত্ত্বাবধান।
(২১) যথাসময়ে পাঠ্য পুস্তক অধ্যয়ন।
(২২) নিয়মিত শরীয়ত সম্মত বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম।
(২৩) নৈতিক মানোন্নয়নে বিশেষ কার্যক্রম।
(২৪) কোটাভিত্তিক ভর্তি পদ্ধতি।
(২৫) বোর্ড পরীক্ষায় ভাল রেজাল্টের জন্য বিশেষ তত্ত্বাবধান।
(২৬) বেফাক বোর্ডের অধীনে হিফজ সমাপণী পরীক্ষা ও নাহবেমীর ও মেশকাত
জামাতের সেন্টার এবং দাওরায়ে হাদীসের সমাপণী পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা।
(২৭) ব্যস্ত ও প্রবাসী অভিভাবকদের সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ।
(২৮) বছরে কয়েকবার ‘উন্মুক্ত দিবস’ নামে বিবিধ বিষয়ে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা।
(২৯) উন্নত ও পরিচ্ছন্ন হোস্টেল ব্যবস্থাপণা।
(৩০) নিরাপদ ও মনোরম শিক্ষা উপযোগী ইসলামী পরিবেশ।
(৩১) নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন।
(৩২) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশে বিশেষ কার্যক্রম।
(৩৩) সিডি ও অডিও এর মাধ্যমে শিক্ষা দান।
(৩৪) সার্বক্ষণিক লন্ড্রী সার্ভিস।
(৩৫) অনাবাসিক ছাত্রদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা।
(৩৬) ছাত্রদের আমল ও আখলাক সুন্দর করা ও লেখা পড়ায় উৎসাহ দান কল্পে
ব্যতিক্রমী আয়োজন হিসেবে প্রতিমাসে শ্রেণী ভিত্তিক একজন করে আদর্শ ছাত্র নির্বাচন এবং প্রতি সেমিস্টার শেষে পুরো মাদরাসা থেকে একজন আদর্শ ছাত্র নির্বাচন ও পুরস্কার প্রদান।
(৩৭) প্রতিটি ফ্লোরে টির্চাসরুম এবং শিক্ষকবৃন্দের মাধ্যমে নিয়ম শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা
ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
(৩৮) কোন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না।
(৩৯) নিজস্ব জেনারেটর এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা।
(৪০) নির্ধারিত ক্লাশের পরে প্রাইভেট কোচিং এর বিকল্প হিসেবে গ্র“প স্টাডির (তাকরার) এর ব্যবস্থা।
(৪১) নিয়মিত ক্লাস টেস্ট, মাসিক পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রদের মূল্যায়ন।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন:
১. আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ মুফ্তি কিফায়াতুল্লাহ আলআযহারী, লিসান্স, আলআযহার ইউনিভার্সিটি মিশর, খতীব, মসজিদুত্ তাক্বওয়া, উত্তরা, ঢাকা। মুদীর, মাদরাসাতুল মান্হাল আলকাউমিয়া আননামুযাজিয়্যাহ, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২. আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা হিদায়াতুল্লাহ, সাবেক ইমাম, মসজিদ উমর ইবনুল খাত্তাব রা. রিয়াদ, সাবেক প্রধান শিক্ষক, আব্দুল্লাহ বিন সাফওয়ান রা. তাহফীজুল কুরআন মাদরাসা, আল-রাইন রিয়াদ, হাফ্স আনআছিম (রহ.) এর রিওয়ায়াতে ইজাযত প্রাপ্ত ও ১০বছর সৌদী আরবে কৃতিত্বের সাথে হিফজুল কুরআন বিভাগে শিক্ষকতার গৌরব অর্জন। নায়েবে মুদীর মাদরাসাতুল মান্হাল আলকাউমিয়া আননামুযাজিয়্যাহ, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৩. হাফেজ মাওলানা নাজীবুল্লাহ ছিদ্দীকী, হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত, বেফাকুল মাদারিস তথা কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড এর অধীনে ২০০৮সালে দাওরায়ে হাদীসের সমাপণী পরীক্ষার মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অধিকারী ও বিখ্যাত হাদীসবিশারদ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক দা: বা: এর তত্ত্বাবধানে মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকায় উলূমূল হাদীসের কোর্স সমাপণকারী।
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থান:
ভবন: সাড়ে ছয় তলা। ছাত্র সংখ্যা: প্রায় ৪১০জন। শিক্ষক: ৩৪জন। কর্মচারী: ১৫জন। কম্পিউটার ল্যাব: ৭টি পিসি। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত। শিক্ষার মানোন্নয়নে বিবিধ কার্যক্রম:
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও দেশবরেণ্য হক্কানী উলামায়ে কেরামের বিভিন্ন সময়ে নসীহত প্রদান।
প্রতিষ্ঠানকর্তৃক প্রদত্ত নির্ধারিত ডায়রিতে শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়মিত ব্যক্তিগত প্রতিবেদন সংরক্ষণ।
দেয়ালিকা প্রকাশ।
বছরে দু’বার অভিভাবক সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার অগ্রগতি ও নৈতিক মান সম্পর্কে অবহিত করানো এবং পর্যালোচনার মাধ্যমে লেখা পড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কল্যাণ ও উন্নতির জন্যে পরামর্শের ভিত্তিতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
শিক্ষা সফর।
উন্মুক্ত দিবস।
আল-মান্হাল এতিম কল্যাণ ট্রাস্ট।
স্কলারশিপ (সীমিত)।
শিক্ষা সিলেবাস ও পাঠদানে বিবরণ:
বিভাগসমূহ
মক্তব বিভাগ এ বিভাগের ৪টি শাখা রয়েছে:
(ক) নার্সারী শাখা:
শিক্ষাকাল: ১বছর , ভর্তির বয়সসীমা: ৪-৫বছর।
এ শাখার বৈশিষ্ট্য:
১। বিশুদ্ধ উচ্চারণে আরবী বর্ণমালা ও মাখরাজ মুখস্থ করানো।
২। জরুরী দুআ ও মাসায়েল মুখস্থ করানো।
৩। তিন ভাষায় হস্তলিপি সুন্দর করানো।
৪। আরবী, ইংরেজী, বাংলা এবং অংকের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ।
৫। আরবী ভাষায় কথা বলার জন্য আরবী ওয়ার্ড মুখস্থ করানো।
(খ) নূরানী শাখা: শিক্ষাকাল: ১বছর। ভর্তির বয়সসীমা: ৬-৭ বছর।
এ শাখার বৈশিষ্ট্য:
তাজভীদ ও তারতীলের সঙ্গে কুরআন শিক্ষা দেওয়া ।
কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত দৈনন্দিন জীবনে অত্যাবশ্যকীয় দুআসমূহ মুখস্থ করানো।
দৈনন্দিন জীবনের জরুরী মাসায়েল মুখস্থ করানো।
কুরআনে কারীমের নির্বাচিত অংশ মুখস্থ করানো ।
নিবার্চিত হাদীস অর্থসহ মুখস্থ করানো।
আরবী ভাষা সহ এই বিভাগে ২য় শ্রেণী পর্যন বাংলা,অংক,ইংরেজী শিক্ষার ব্যবস্থা।
কম্পিউটার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দান।
(গ)আম্মাপারা শাখা: ভর্তির বয়সসীমা ৮-৯ বছর। শিক্ষাকাল: ১বছর।
এ শাখার বৈশিষ্ট্য: এ শাখায় তালিবে ইল্মদেরকে আম্মাপারাসহ ১-২পারা কুরআন শরীফ তাজভীদ ও তারতীলের সাথে শিক্ষা দেওয়া হয়। পাশাপাশি জেনারেল বিষয়গুলোর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়।
(ঘ)নাজেরা শাখা: ভর্তির বয়সসীমা ৮-৯ বছর। শিক্ষাকাল: ১বছর।
এ শাখার বৈশিষ্ট্য: এ শাখায় তালিবে ইল্মদেরকে পুরো কুরআন শরীফ তাজভীদ ও তারতীলের সাথে শিক্ষা দিয়ে হিফযের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। পাশাপাশি জেনারেল বিষয়গুলোর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়।
হিফযুল কুরআন বিভাগ:
শিক্ষাকাল: ৩বছর। বয়সসীমা: ৭-১০বছর।
এ বিভাগের বৈশিষ্ট্য: বিখ্যাত হাফস আন আসেমের (রহ.)এর রেওয়ায়েতের উপর সনদ প্রাপ্ত ও সুদীর্ঘ দশ বছর সউদী আরবে কৃতীত্বের সাথে হিফজ বিভাগে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অর্জনকারী ও এ সংক্রান্ত বহু কোর্স সম্পন্ন কারীর সার্বিক তত্ত্বাবধান।
তাজভীদ ভিত্তিক বিশুদ্ধ উচ্চারনে সুন্দর সুললিত কন্ঠে তিলাওয়াত শেখার সু-ব্যবস্থা। আরব বিশ্বের সুপ্রসিদ্ধ ক্বারীদের সিডি,অডিও ক্যাসেটের-এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দান।
উৎসাহ-উদ্দিপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন।
হিফজ বিভাগের ছাত্রদের হিফজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি আরবী,বাংলা,ইংরেজী ও গণিত-এ চারটি বিষয়ে সিলেবাস ভিত্তিক পাঠদানের ব্যবস্থা।
কিতাব বিভাগ:
শিক্ষাকাল: প্রথম শ্রেণী থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত ১০বছর। আর হাফেজদের জন্য দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত শিক্ষাকাল ৮বছর। বয়সসীমা: ১০ বা তদুর্ধ্ব।
এ বিভাগের বৈশিষ্ট্য:
দেশের বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবীদ ও বিষয় ভিওিক দক্ষ, অভিজ্ঞ ও সুযোগ্য উলামায়ে কেরামের দ্বারা পাঠদানের ব্যবস্থা।
বেফাকুল মাদারিস তথা কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান
বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাস যথাযথ ভাবে অনুসরণ
সমসাময়িক ও আধুনিক আরবী সাহিত্য চর্চার জন্য আলআযহার ইউনিভার্সিটি মিশর, জামিয়া ইসলামিয়া মদীনা ও কাতার ইউনিভার্সিটিসহ আরব জাহানের অন্যান্য বিখ্যাত স্কুল/কলেজের আরবী সাহিত্যের বই পাঠদান
মাদরাসার ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক সকলের জন্য সার্বক্ষণিক আরবী কথোপকথন বাধ্যতামূলক।
সকলের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। তাই মাদরাসায় পৃথক কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অনুশীলনের জন্য সাইন্স ল্যাবরেটরি রয়েছে। (প্রস্তাবিত)
ইসলামী ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞানার্জনের জন্য উš§ুক্ত পাঠাগার।
হাফেজ ছাত্রদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ
আসসাফফুত তাহীলী লিলহুফফায:
হাফেয ছাত্রদের বিগত বছরগুলোর ঘাটতি পূরণের জন্য এটি একটি আমাদের বিশেষ প্রয়াস। স্বাভাবিকভাবে সদ্য হিফ্য শেষ করে যেকোনো কওমী মাদরাসায় গিয়ে ভর্তি হলে ১ম, ২য় শ্রেণী শেষ করে পর্যায়ক্রমে ৫ম শ্রেণী ‘হিদায়াতুন্নাহু’ ক্লাশে উত্তীর্ণ হতে তার প্রায় চার বছর ব্যয় হয়ে থাকে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানে মেধা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হাফেয ছাত্রদেরকে বিশেষভাবে প্রণীত সিলেবাসের মাধ্যমে এক বছরেই পঞ্চম শ্রেণী অর্থাৎ হিদায়াতুন্নাহু পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। এবং অন্যান্য মাদরাসায়ও সে কৃতিত্বের সাথেই ‘হিদায়াতুন্নাহু’ বা পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
আততাখাসসুস ফিল ফিকহি ওয়াল ইফতা
শিক্ষাকাল: ২ বছর, ভর্তির যোগ্যতা: দাওরায়ে হাদীস সমাপণী পরীক্ষায় জায়্যিদ জিদ্দান (১ম বিভাগ)।
আরবীভাষা বিভাগ
শিক্ষাকাল: ১বছর, ভর্তির যোগ্যতা:দাওরায়ে হাদীস সমাপণী পরীক্ষায় জায়্যিদ জিদ্দান (১ম বিভাগ)।
এ বিভাগের বৈশিষ্ট্য:
(১) আধুনিক আরবী লিখন পদ্ধতিতে সুন্দর হস্তলিখন।
(২) আরবী লিখন পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ চর্চা।
(৩) নাহু-সরফের মাসায়িলের ইজরা।
(৪) আরবী যেকোনো কিতাবের ইবারত বিশুদ্ধভাবে পড়া ও বুঝার যোগ্য করে গড়ে তোলা।
(৫) আরবী দৈনিক পত্রিকা, ম্যাগাজিন পড়া ও বুঝার যোগ্য করে গড়ে তোলা।
(৬) আরবী বক্তৃতা তৈরী ও তা উপস্থাপনের যোগ্যতা অর্জন।
(৭) আরবীতে যে কোন বিষয়ে দরখাস্ত লিখার যোগ্যতা অর্জন।
(৮) আরবীতে যে কোন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখার যোগ্যতা অর্জন।
(৯) আরবীতে মানপত্র তৈরী ও উপস্থাপনের যোগ্যতা অর্জন।
(১০) পূর্ণাঙ্গ আরবী অনুষ্ঠানমালা প্রস্তুতকরণ ও পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন।
* দৈনন্দিন আরবী কথা-বার্তায় অভ্যস্থ করানোর জন্য বিষয় ভিত্তিক নিয়মিত পাঠদান।
* আরবী সংবাদ শুনে বুঝার যোগ্য করে গড়ে তোলা।
* প্রসিদ্ধ আরব খতীবদের অডিও বক্তব্য বুঝার যোগ্য করে গড়ে তোলা।
* আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজী ভাষার চর্চা করানো।
* কম্পিউটার প্রশিক্ষণ।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগ: এ বিভাগটি তালিবে ইল্মদের সুপ্তপ্রতিভা বিকাশের জন্য আল-মান্হালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।
তার চলমান কার্যক্রমসমূহ নিম্নরূপ-
(১)‘তাবূরুস সাবাহ’ নামে দৈনিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম।
(২)বড় পরিসরে সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম।
(৩)‘উন্মুক্ত দিবস’ (য়াউম মাফতূহ) নামে (মাসিক/ দ্বিমাসিক/ ত্রৈমাসিক) তালিবে ইলমদের বহুমূখী প্রতিভা বিকাশে ব্যতিক্রমি আয়োজন।
(৪)আদর্শ তালিবে ইল্ম নির্বাচন বোর্ড (তালিবে ইলমদের সার্বিক মানোন্নয়ন তথা তাদের আমল-আখলাক সুন্দর করা এবং পড়ালেখায় উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিমাসে উস্তাদগণের মতামতের ভিত্তিতে শ্রেণীভিত্তিক একজন করে ‘আদর্শ তালিবে ইল্ম’ নির্বাচন করা এবং প্রতিসেমিস্টার শেষে পুরো মাদরাসা থেকে একজন ‘আদর্শ তালিবে ইল্ম’ মনোনীত করে পুরস্কৃত করা হয়। এই বোর্ডে ছাত্রের নাম তার পিতার নামসহ টানিয়ে দেওয়া হয়।
(৫) ইসলামী বিনোদনমূলক শিক্ষা সফর।
(৬)আরবী ও ইংরেজী ভাষায় বক্তৃতা প্রদান এবং উভয় ভাষায় অনুষ্ঠান পরিচালনা প্রশিক্ষণ দেওয়া।
(৭)ইসলাহী বা আত্মশুদ্ধিমূলক বিভিন্নকার্যক্রম (এতে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ‘আযকারুস সাবাহ ও মাছা’ (সকাল-সন্ধ্যার দুআসমূহ) পাঠ, মাসিক ইসলাহী জলসা, সাপ্তাহিক সোমবারে ছাত্রদের তারবিয়াতি মজলিস। ছাড়াও অনেক বিবিধ প্রোগ্রাম রয়েছে।)
(৭) ‘ছাওতুল মানহাল’, ‘আশবালুল মানহাল’ ও ‘তুয়ূরুল মানহাল’ মান্হাল’ শিল্পীগোষ্ঠী: এই তিনটি শিল্পিগোষ্ঠীর অধীনে নাশীদ (হামদ-নাতের) অনুশীলন করানো হয়।
(৮) হস্তলিপি সুন্দর করানো। দক্ষ হস্তশিল্পীর মাধ্যমে তালিবে ইলমদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
(৯)‘কিসমুল কিরাআহ ওয়াততাজবীদ’: এর অধীনে তাজবীদসহ কুরআন তিলাওয়াত মাশ্ক ও প্রসিদ্ধ আরব ক্বারীদের সুর নকল করে তিলাওয়াতের ব্যবস্থা..ছাড়াও এ বিভাগের আরো অনেক কার্যক্রম পরিকল্পনাধীন রয়েছে।
(৭)কম্পিউটার ল্যাব: বর্তমান যুগ হলো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এযুগে দীনের খেদমতের ক্ষেত্র বেড়েছে এবং তার পরিধিও বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার হলো আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত মানুষের অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার ও সৃষ্টি। এর মাধ্যমে সহজেই দীনের বিভিন্নমুখী অনেক খেদমত আঞ্জাম দেওয়া যায়।
আল-মান্হাল তার সন্তানদেরকে দীনের একনিষ্ঠ দাঈ ও বিজ্ঞ আলেমেদীন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিবিধ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তন্মধ্যে এই ‘কম্পিউটার ল্যাব’টি হলো অন্যতম। এই ল্যাবে তালিবে ইল্মরা প্রাথমিকধাপে অফিসিয়াল প্রোগ্রামগুলো শিখছে। এ ল্যাবে বর্তমানে ৭টি পিসি রয়েছে।
(৮) ‘মাকতাবাতুশ শায়েখ ছিদ্দীক আলইলমিয়্যাহ’: সকলের জন্যই বই একটি অপরিহার্য বস্তু। মানুষ তার জ্ঞান-বিদ্যার পরিধি বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আর তালিবে ইল্মের জন্য তো বই ‘জীবন ধারণের জন্য পানির মত’ প্রয়োজনীয়। তাই আল-মান্হালও তার সন্তানদেরকে আত্মার খোরাকের দ্বারা পরিতৃপ্ত করার জন্য ‘মাকতাবাতুশ শায়েখ ছিদ্দীক আলইলমিয়্যাহ’ নামে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছে। তালিবে ইল্মদের প্রয়োজনীয় আরবী, উর্দু, বাংলাভাষার নির্ভরযোগ্য বিপুলসংখ্যক কিতাবের সমাহার ঘটিয়েছে।
তালিবে ইল্মদের জ্ঞানার্জনের পরিধি আরো ব্যাপক ও সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিটি ক্লাসেই সম্পূর্ণ তালিবে ইলমদের উদ্যোগ ও অর্থায়নে ‘ক্লাসভিত্তিক ছোট ছোট পাঠাগার’ গড়ে উঠেছে। এতে তারা স্বত:স্ফূর্তভাবে তাদের পাঠাগারকে সমৃদ্ধ করতে (সম্মিলিত ও ব্যক্তিগতভাবে) প্রচুর পরিমাণে তাদের জরূরী কিতাবসমূহ সংগ্রহ করছে। এরদ্বারা আলহামদুলিল্লাহ তালিবে ইল্মদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে এবং তারা অনেক উপকৃতও হচ্ছে।
*রচনা, অনুবাদ ও প্রকাশনা বিভাগ:
এটি আল-মান্হালের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগসমূহের একটি। এবিভাগটি বিগত প্রতিষ্ঠাকাল ১৪৩২হিজরীর রমজানুল মুবারক থেকে অদ্যাবধি ধর্মীয়, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন মওসুম ও উপলক্ষ্যে দিকনির্দেশনামূলক পুস্তিকা, প্রবন্ধ, ফেস্টুন ও বই প্রকাশ করে আসছে। ইতোমধ্যে এবিভাগটি তার ধারাবাহিক দিকনির্দেশনামূলক প্রকাশনা হিসেবে ‘সন্তান প্রতিপালনে মাতা-পিতা ও অভিভাবকদের প্রতি কিছু সুচিন্তিত পরামর্শ’-যা শীঘ্রই বর্ধিত কলেবরে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ।)- এবং ‘পুণ্য অর্জনের ১২৫টি সহজ উপায়’ নামাযে আমীন আস্তে না জোরে, ইমামের পিছনে কেরাত পড়া, তাওবা: গুরুত্ব ও ফযীলতসহ আরো কিছু বই প্রকাশ করেছে।
আল-মান্হালের রচনাবিভাগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সিলেবাসের কিছু প্রয়োজনীয় কিতাব রচনা করার ফিকির করে আসছে। আলহামদুলিল্লাহ এ পর্যন্ত বিভাগটি আকীদা বিষয়ে দুটি কিতাব রচনা করেছে (একটি ছফফে খামেছ আলইবতিদায়ীর জন্য ‘দুরুসুন ফিল আক্বীদাতিল ইসলামিয়া’ নামে আরবীভাষায় এবং প্রাথমিক স্তর তথা নুরানী ও হিফয বিভাগ এবং ১ম ও ২য় শ্রেণীর জন্য ‘ছোটদের ইসলামী আক্বীদা ও ফিক্বহ শিক্ষা’ নামে বাংলাভাষায়। আরেকটি কিতাব ‘ছোটদের আরবী শেখা-১-২, ও ছোটদের হাতের লেখা শেখা’ (নুরানী ও হিফয বিভাগের ছাত্রদের জন্য)। পাশাপাশি ছোটদের সীরাত বিষয়ক একটি বই ‘ছোটদের সংক্ষিপ্ত সীরাতুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও রচনা করা হয়েছে।
* যেসব মনীষীর পদধূলিতে ধন্য আল-মান্হাল
১। আল্লামা শাহ আহমদ শফী, দা.বা.
মহাপরিচালক জামেয়া আহলিয়া দারুল মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
২। আল্লামা আব্দুল হাই পাহাড়পুরী রাহ. ।
৩। মাওলানা জামিল আহমদ সাকড়াডাভী দা.বা.
(আশরাফুল হিদায়ার লেখক) উস্তায, দারুল উলূম দেওবন্দ।
৪। মাওলানা কাজী আব্দুর রশীদ, দা.বা.
সহকারী সেক্রেটারী বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া, পাকিস্তান।
৫। মুফতি জসিমুদ্দীন, দা.বা.
উস্তাযুল হাদিস ওয়াত তাফসীর, জামেয়া আহলিয়া দারুল মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
৬ আল্লামা সাজিদুর রহমান, দা.বা.
প্রিন্সিপাল, জামিয়া দারুল আরকাম আলইসলামিয়া, বি,বাড়িয়া ও শায়খুল হাদীস জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া, বি,বাড়িয়া।
৭। মুফতি মুবারক উল্লাহ, দা.বা.
প্রিন্সিপাল, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া, বি,বাড়িয়া।
৮। ডক্টর গাজী মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
ডিরেক্টর, কুয়েত জয়েন্ট রিলিভ কমিটি বাংলাদেশ অফিস।
৯। আল্লামা শামসুল ইসলাম, দা.বা.
ভাইস প্রিন্সিপাল, দারুল উলূম দত্তপাড়া। নরসিংদী।
১০। আল্লামা মুনিরুজ্জামান সিরাজী, দা.বা.
প্রিন্সিপাল ও শাইখুল হাদীস, জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলূম ভাদুঘর, বি,বাড়িয়া।
১১। আল্লামা শামসুল হক, দা.বা.
শায়খুল হাদীস, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া, বি,বাড়িয়া।
১২। মুফতী মিযানুর রহমান সাঈদ, দা.বা.
পরিচালক, মারকাযুশ শাইখ যাকারিয়া, কুরাতলি, খিলক্ষেত, ঢাকা।
১৩। ডক্টর আ. ফ. ম খালেদ হোসেন, দা.বা.
প্রভাষক ওমর গণি কলেজ, চট্টগ্রাম।
১৪। মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, দা.বা.
উস্তাযুল ফিকহ ওয়াল হাদীস, জামেয়া আহলিয়া দারুল মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
১৫। মুফতি মুহাম্মদ ইউসুফ তাওলভী, দা.বা.
নাযেমে তালিমাত, দারুল উলূম দেওবন্দ।
১৬। মুফতি হাবীবুর রহমান খায়রাবাদী, দা.বা.
প্রধান মুফতি, দারুল উলূম দেওবন্দ।
১৭। মুফতি আরশাদ কাসেমী, দা.বা.
মুহতামিম, মাদরাসাতুল আবরার, বাজহেলী, মুযাফফরনগর, ভারত।
১৮। আল্লামা আনোয়ার শাহ, দা.বা.
প্রিন্সিপাল জামিয়া ইমদাদিয়া, কিশোরগঞ্জ।
১৯। মাওলানা মাওদুদ আলমাদানী, ভারত।
২০। মাওলানা মুযযাম্মিল আলী, দা.বা.
মুহতামিম, মাদরাসা শাইখুল ইসলাম মাদানী রাহ.।
২১। প্রফেসর হামীদুর রহমান, দা.বা.
খলীফা হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহ.।
২২। মাওলানা মুহাম্মদ ছিদ্দীকুল্লাহ, দা. বা.
মুহতামিম, বগডহর ছিদ্দীকিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা, নবীনগর, বি, বাড়িয়া।
* প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ অবদান ও সামাজিক অবস্থান:
আল-মানহাল ১৪৩৮হিজরী মোতাবেক ২০১৭ সালে তার প্রতিষ্ঠার ষষ্ঠ বছর অতিক্রম করছে। আলহামদুলিল্লাহ। এই স্বল্প সময়েই সর্বমহলে বিশেষ প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলার অসংখ্য শোকর। আল-মানহাল দাওয়াতি কার্যক্রম হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতি বুধবার পার্শ্ববর্তি মসজিদে সাপ্তাহিক ইসলাহী মজলিসের আয়োজন করে আসছে। আলহামদুলিল্লাহ এতেই অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে। মজলিস কানায় কানায় ভরে যায় এবং অধিক পরিমাণে উপকৃত হচ্ছেন ও সবার মধ্যে পরিবর্তনের আবহ সৃষ্টি হচ্ছে।
* তথ্য সংগ্রহকারীর পরিচয়:
নাম: নাজীবুল্লাহ সিদ্দীকী। মাদরাসাতুল মান্হাল আলকাউমিয়া আননামুযাজিয়্যাহ, উত্তরা, ঢাকা, বাংলাদেশ- এর প্রতিষ্ঠাকাল থেকে খেদমতে নিযুক্ত।