অনলাইন ডেস্ক :: প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ভালো কথা। তাই বলে হোয়াইট হাউসে পুরো সময় থাকা! এটা অনেকটাই অসম্ভব মনে করছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের বরাত দিয়ে এক খবরে বলেছে, নির্বাচনে নিজের জয়ের খবরে ট্রাম্প ‘বিস্মিত’। এখন তিনি সপ্তাহে কয় দিন যে হোয়াইট হাউসে কাটাতে পারবেন, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়ে গেছেন। কেননা, নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে প্রিয় বিলাসবহুল পেনথহাউস অ্যাপার্টমেন্ট পুরোপুরি ছেড়ে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে থিতু হতে মন চাইছে না তাঁর। নিউইয়র্কে ফিফথ অ্যাভিনিউতে ট্রাম্প টাওয়ারে সেই অ্যাপার্টমেন্টটি ২৪ ক্যারেট সোনা ও দামি মার্বেল দিয়ে সাজানো।
নির্বাচনী প্রচারের সময় অনেক দিন শেষ রাতে তিনি নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরেছেন। ঘুমিয়েছেন প্রিয় বিছানায়। তিনি তাঁর উপদেষ্টাদের বলেছেন, তিনি যেটাতে অভ্যস্ত, তা-ই করতে চান। যখনই সময় পাবেন, তখনই নিউইয়র্কে কাটাতে চান।
যদিও হবু ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও ওয়াশিংটনে আসতে আগ্রহী। কিন্তু এখন তাঁদের ১০ বছরের ছেলে ব্যারন শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি সময়ে আছে। তাই কবে যে তাঁরা নিউইয়র্ক ছেড়ে আসতে পারবেন, তা নিশ্চিত নয়।
ট্রাম্প নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কীভাবে সময়কে ভাগ করে নেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা বলেন, সম্ভবত সপ্তাহের বেশির ভাগ সময়ই তিনি ওয়াশিংটনে কাটাবেন, যেমনটা কংগ্রেসের বেশির ভাগ সদস্যই করে থাকেন। আর সপ্তাহান্তে হয়তো ট্রাম্প টাওয়ার বা নিউজার্সিতে তাঁর গলফ কোর্সে অথবা পামবিচের ‘মার-আ-লাগো’তে চলে যাবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সহযোগীরা বলেছেন, ট্রাম্প নির্বাচনী সমাবেশের মতো এখনো এমন সমাবেশ ধরে রাখতে চান। কেননা, সমাবেশে সমর্থকদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রশংসা পাওয়ার বিষয়টি তিনি পছন্দ করেছেন। তাই তাঁর সহযোগীরা কীভাবে এটা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করছেন।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বেশি সময় কাটাবেন—এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কেননা, ধীরে ধীরে তাঁর নির্বাচনী উচ্ছ্বাস কেটে যাবে এবং নিজের কাজটাতে হয়তো অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন।
ট্রাম্প সাধারণত ভোর পাঁচটার দিকে ওঠেন। এরপর তিনি নিউইয়র্ক পোস্ট, দ্য নিউইয়র্ক টাইমসসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা পড়েন। এবং টেলিভিশনে খবর দেখেন। তিন দশক ধরে এই ধনকুবের সুউচ্চ অ্যাপার্টমেন্টের ৫৮তলায় থাকছেন। ২৬তলায় তাঁর অফিস।
ট্রাম্পের আত্মজীবনী লেখক মিচেল ডি’অ্যান্টোনিও। ২০১৪ সালে তাঁকে ট্রাম্প বলেছিলেন এই অ্যাপার্টমেন্ট তাঁর কাছে বাড়ির চেয়ে ‘সেলফ-ইমেজের’ নিদর্শন।