শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ সকাল ৯:১৬
Home / অনুসন্ধান / মতবিনিময় সভায় আল্লামা আনোয়ার শাহর কাছে বেফাকের দুঃখ প্রকাশ

মতবিনিময় সভায় আল্লামা আনোয়ার শাহর কাছে বেফাকের দুঃখ প্রকাশ

kisorganz কমাশিসা বিশেষ ডেস্ক: গত ১৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বেফাকের ওলামা সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা আনোয়ার শাহ’র সঙ্গে কিছু ব্যক্তির অসৌজন্যমূলক আচরণে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। দ্রুত বিষয়টি নিরসন করতে ঢাকার প্রতিনিধিগণ কিশোরগঞ্জে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুপুর ৩ টার পর প্রতিনিধি দলের ৮ জন সদস্য জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জে পৌঁছেছেন। প্রথমেই মাওলানা নুরুল আমীন কথা শুরু করেন। তিনি সেদিনকার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জাতীয় ঐক্যের কথা বিবেচনা করে তার কাছে ক্ষমার ব্যাপারে সীমাহীন উদারতা কামনা করেন।
মতবিনিময়ে সভায় দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মুফতি ওয়াক্কাস। তিনিও আরজাবাদের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে বিষয়টাকে আর কিছু মনে না নেওয়ার আহবান জানান। স্বীকৃতি বিষয়ক আলোচনা গ্রহণ করতে সরকারের দূরভিসন্ধির প্রতি সতর্ক থাকার আহবান জানান এবং আগামী সোমবারের বেফাকের মিটিং-এ মাওলানা আনোয়ার শাহকে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবিনিয় অনুরোধ জানান।
কথা বলেন নূরুদ্দীন গহরপুরী রহ.-এর ছেলে মুসলেহদ্দীন রাজু। তিনি আরজাবাদের ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করেন এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বীকৃতি গ্রহণ করার দিকে জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা বলছি কেউ কেউ স্বীকৃতির পক্ষে তেরোটা মিটিং দেখিয়ে স্বীকৃতির নেয়ার সব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করার পক্ষে দৌড় ঝাঁপ করছে। তারা তো আমাদেরই লোক। দেওবন্দের সন্তান। তাদের ভেতরে একটা কষ্ট ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে। আমরা যদি তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে আহবান জানিয়ে আলোচনায় আহবান করি তাহলে তারা সমাধানের পথে না এসে পারবেন না।
মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখেন মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ। তিনি প্রথমেই আরজাবাদের ঘটনায় সুষ্টু তদন্তের আশ্বাস দেন। সবশেষে তিনি বলেন, একটা সময় আমাদের স্লোগান ছিলো বেফাকের অধীনে স্বীকৃতি চাই। কিন্তু এখন আমরা স্বীকৃতি চাই চার বোর্ডের সমন্বয়ে। আর এই সিদ্ধান্তই স্বীকৃতির আমাদের আরো এক ধাপ এগুতে বড় রকমের সাহায্য করবে।
আলোচনা করেন লালবাগের মুফতি ফয়জুল্লাহ। তিনি বলেন, বেফাকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যক্তিত্ব মুজাহিদে মিল্লাত মাওলানা আতহার আলী রহ.-এর সুযোগ্য সন্তান মাওলানা আনোয়ার শাহ। তার অবমাননা মানে সব আলেমের অবমাননা। সেদিকানকার ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হযরত ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এতে আমরা নুন্যতম সন্দেহ রাখছি না।
মতবিনিময় সভার এ পর্যায়ে এসে জামিয়া ইমদাদিয়ার শাইখুল শফিকুর রহমান জালালাবাদী বেফাক এই প্রতিনিধি দলের সামনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহের আলোচনা পেশ করেন।
তা হচ্ছে- বেফাক জাতীয় সম্পদ। এর ব্যায়ের খাতসমূহ বেফাকের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খুবই প্রয়োজন।
মতবিনিময়ে বেফাক মহাসচিব মাও আব্দুল জব্বার সাহেব, প্রথমেই আরজাবাদের অনাকাঙিক্ষত ঘটনায় ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, তারপর বেফাককে রাজনৈতিক সকল প্রভাব মুক্ত করে চালানোর কথা বলেন।
মতবিনিময় সভার শেষ পর্যায়ে এসে মাওলানা আনোয়ার শাহ বলেন, এখন সময় নিজেদের সকল প্রকার মতবিরোধ ছেড়ে দিয়ে দ্বীনের জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া। পরিশেষে দোয়ার মাধ্যমে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষ হয়।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...