নির্মোহ ঐক্যের মতবিনিময় ও পর্যালোচনা | দূরত্ব কমিয়ে আনার যত উদ্দ্যোগ
সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ ::
(এক) গতকাল কিশোরগন্জে জামিয়া এমদাদিয়াতে বেফাকের মতবিনিময় সভায় আল্লামা আনোয়ার শাহর কাছে বেফাকের দুঃখ প্রকাশ করার পাশাপাশি বেফাক নেতৃবৃন্দ আরো যেসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম বেফাক তার হার্ডলাইন অবস্থান থেকে সরে এসেছে। বেফাক এখন চার বোর্ডের অধীনেই সম্মিলিত স্বীকৃতি চায়। এটা সবচেয়ে বড় আশার আলো।
নোটঃ আমরা স্বীকৃতির ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই এই দাবীটি করে আসলেও কিছু চরম আবেগি ভাই কেবল বেফাকের অধীনেই তাদের একক শর্তমত স্বীকৃতির পক্ষে একচেটিয়া অনৈক্যের কথা বলে আসছিলেন। অনেক জল ঘোলা করেও বেফাকের এই নীতিগত সিদ্ধান্ত আমাদের পুলকিত করেছে। ঐক্য ও স্বীকৃতির ব্যাপারে এটা একটি বড় ধরনের আশার আলো।
(দুই) গত ১৭ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বেফাকের ওলামা সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহতামিম মাওলানা আনোয়ার শাহ’র সঙ্গে কিছু ব্যক্তির অসৌজন্যমূলক আচরণে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। দ্রুত বিষয়টি নিরসন করার লক্ষ্যে ঢাকার কয়েকজন চিন্তক আলেম, বিশেষ করে শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, উবায়দুর রহমান খান নদভীসহ আরো কয়েকজনের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দফায় দফায় বৈঠক করেন। বেফাকের ঢাকার প্রতিনিধিগণ কিশোরগঞ্জে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং স্বীকৃতির ব্যাপারে বাস্তবসম্মত বেশ কিছু সিদ্ধান্তে একমত হন। মূলত এই বাস্তবতাই তুলে ধরেছিলেন বেফাকের সম্মেলনে আল্লামা আনোয়ার শাহ। যাতে বাধা প্রদান করেছিল কিছু আবেগি রাজনৈতিক কর্মিরা। এই প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুর ৩ টার পর বেফাকের প্রতিনিধিদলের ৮ জন সদস্য জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জে পৌঁছে মতবিনিময় করেন। প্রথমেই মাওলানা নুরুল আমীন কথা শুরু করেন। তিনি সেদিনকার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জাতীয় ঐক্যের কথা বিবেচনা করে তার কাছে ক্ষমার ব্যাপারে সীমাহীন উদারতা কামনা করেন।
নোটঃ চারদিকে হতাশার ভেতর বেফাকের এই উদারতা এবং ঢাকা থেকে কিশোরগন্জে আনোয়ার শাহ সাহেবের দরবার পর্যন্ত যাবার মানসিকতা আশা করি আগামি দিনের তরুণদের ঐক্যের মাইলফলক হিসেবে এই ঘটনা প্রেরণা যোগাবে। তাদের নির্মোহ এই মতবিনিময় জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে অনেকেই মনে করছেন। কারন আনোয়ার শাহ সাহেব বেফাকের সহ-সভাপতি, অপরদিকে খসড়া উপ-কমমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও সম্মিলিত বোর্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তিনি কাজ করার ক্ষমতা ও যোগ্যতা রাখেন।
(তিন) মতবিনিময়ে সভায় দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মুফতি ওয়াক্কাস সাহেব। তিনিও আরজাবাদের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে বিষয়টাকে আর কিছু মনে না নেওয়ার আহ্বান জানান। স্বীকৃতি বিষয়ক আলোচনা গ্রহণ করতে সরকারের দূরভিসন্ধির প্রতি সতর্ক থাকার আহবান জানান এবং আগামী সোমবারের বেফাকের মিটিং-এ মাওলানা আনোয়ার শাহকে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান।
নোটঃ ওয়াক্কাস সাহেবের এই বিষয়টি ও দুঃখ প্রকাশে অনেকেই খুশি হয়েছেন। তিনি অনেক উদারতার পরিচয় দিয়েছেন। যেহেতু তিনি জমিয়তের মহাসচিব। আর তার দলের কর্মিরাই মূলত এই ঘটনার জন্য অনেকটা দায়ী। তাই তার দুঃখ প্রকাশে অনেক প্রশ্নের মিমাংসা চলে আসে বলে আমরা মনে করি। তাছাড়া আগামি সোমবারের ঐক্যবদ্ধ বৈঠক অনেক সমস্যার সমাধানের পথ খুলে দিবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
(চার) এরপর মতবিনিময় সভায় কথা বলেন নূরুদ্দীন গহরপুরী রহ.-এর সাহেবজাদা, তারুণ্যের অহংকার, বেফাকের সংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহদ্দীন রাজু। তিনি আরজাবাদের ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করেন এবং সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বীকৃতি গ্রহণ করার দিকে জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা বলছি কেউ কেউ স্বীকৃতির পক্ষে তেরোটা মিটিং দেখিয়ে স্বীকৃতির নেয়ার সব ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করার পক্ষে দৌড়ঝাপ করছে। তারা তো আমাদেরই লোক। দেওবন্দের সন্তান। তাদের ভেতরে একটা কষ্ট ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে। আমরা যদি তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে আহ্বান জানিয়ে আলোচনায় আহ্বান করি তাহলে তারা সমাধানের পথে না এসে পারবেন না।
নোটঃ রাজু ভাই বাস্তবসম্মত ঐক্যের কথা বলেছেন। যা তিনি শুরু থেকে বলে আসছেন ঘরে বাহিরে ও মিডিয়াতে। রাজনীতিমুক্ত স্বীকৃতি প্রক্রিয়া- ঐক্য ও স্বীকৃতি বিষয়ে এর চেয়ে উত্তম কথা আর কী হতে পারে তা আমাদের জানা নেই। রাজু ভাইর এই বক্তব্য এদেশের লাখ লাখ তরুণদের মনের কথা বলে আাদের বিশ্বাস। বড়দের একটেবিলে বসা ছাড়া বিকল্প কোন পথ হতে পারে না।
(পাঁচ) মতবিনিময়ের পর বেফাকের সর্বশেষ অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ সাহেব। তিনি প্রথমেই আরজাবাদের ঘটনায় সুষ্ঠুতদন্তের আশ্বাস দেন। সবশেষে তিনি বলেন, “একটা সময় আমাদের স্লোগান ছিলো বেফাকের অধীনে স্বীকৃতি চাই। কিন্তু এখন আমরা স্বীকৃতি চাই চার বোর্ডের সমন্বয়ে। আর এই সিদ্ধান্তই স্বীকৃতির আমাদের আরো এক ধাপ এগুতে বড় রকমের সাহায্য করবে।
নোটঃ মুফতি মিযান সাহেবর বক্তব্য যদি বেফাকের সর্বশেষ অবস্থান সত্যই এমন হয়ে থাকে তাহলে আমি বলব স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি কর্ণধারদের স্বীকৃতি আমাদের এই দাবীটি বাস্তবায়ন হওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। এদেশের সিংহভাগ আলেম উলামার প্রাণের একমাত্র দাবী, সকল বোর্ডের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি গ্রহণ। বেফাক যদি তার এই অবস্থানে শেষ পর্যন্ত অটল থাকে যে, সকল বোর্ডের সমন্বয়ে স্বীকৃতি; তাহলে তা খুব কার্যকর পদক্ষেপ ও সমাধান হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
(ছয়) আলোচনা করেন লালবাগের মুফতি ফয়জুল্লাহ। তিনি বলেন, বেফাকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যক্তিত্ব মুজাহিদে মিল্লাত মাওলানা আতহার আলী রহ.-এর সুযোগ্য সন্তান মাওলানা আনোয়ার শাহ। তার অবমাননা মানে সব আলেমের অবমাননা। সেদিকানকার ঘটনার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হযরত ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এতে আমরা নূন্যতম সন্দেহ রাখছি না।
(নোট) তাঁর এই বক্তব্য আলেমদের জন্য বেশ তাৎপর্যময়। আমরা সেদিন থেকেই বলে আসছিলাম এমন একটি বৈঠকে শাহ সাহেবকে অপমান করা মানে সমস্ত আলেমদের অবমাননা। বেফাকের পক্ষ থেকে এই কথাটি স্বীকার করা মানে আর কোন কষ্ট থাকার কথা নয়, শাহ সাহেব বা তাাঁর ভক্তদের মাঝে।
(সাত) মতবিনিময় সভার এ পর্যায়ে এসে জামিয়া ইমদাদিয়ার শাইখুল হাদীস শফীকুর রহমান জালালাবাদী বেফাকের এই প্রতিনিধি দলের সামনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহের আলোচনা পেশ করেন।
তা হচ্ছে-
(১) বেফাক জাতীয় সম্পদ। এর ব্যায়ের খাতসমূহ বেফাকের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে। সেদিকটি তিনি সুন্দরভাবে তুলে ধরেন।
(২) বেফাককে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার বিষয়টি গঠনতন্ত্রের আলোকে উপস্থাপন করেন।
(৩) বেফাক মহাসচিবের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বয়ান, বক্তৃতা, বিবৃতি ও কাজ করার বিষয়টি সামনা সামনি খোলামেলাভাবে তথ্যসহ তুলে ধরেন।
নোটঃ শফীকুর রহমান জালালাবাদির এই বক্তব্যটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যা বেফাক কর্ণধারদের সামনে সরাসরি তিনি নিসংকোচে তুলে ধরেছেন। এতে করে বেশ কিছু বিষয়ের ধুম্রজালের পথ থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বাহিরে সমালোচনা না করে সরাসরি খোলামনে, খোলামেলা কথা বলা এবং বন্ধুর ভুল ধরিয়ে দেয়াই সত্যকারের কল্যাণকামীর কাজ।
(আট) মতবিনিময়ে বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী সাহেব অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। প্রথমেই আরজাবাদের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেন, তারপর বেফাককে রাজনৈতিক সকল প্রভাবমুক্ত করে চালানোর কথা বলেন।
নোটঃ এখানে জনাব জাহানাবাদী সরলতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য প্রমাণ করে হযরত কতটা সাদামাটা এবং সহজ-সরল। আমাদের আকাবিরগণ আসলেই এমন। কোন ভুল হলে বা ভুল ধরিয়ে দিলে তা অপকটে স্বীকার করে নিতে দ্বিধাবোধ করেন না। জাহানাবাদী তাই নির্দ্বিধায় এটাও স্বীকার করেছেন, তিনি রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেনএবং আগামিতে প্রভাবমুক্ত হয়ে বোর্ড পরিচালনার এই সিদ্ধান্ত আমাদের আশার প্রদীপকে আরো আলোকিত করে তুলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
(দশ) মতবিনিময় সভার শেষ পর্যায়ে কথা বলেন আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ । তিনি বলেন, এখন সময় নিজেদের সকল প্রকার মতবিরোধ ছেড়ে দিয়ে দ্বীনের জন্য একনিষ্টভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া। পারস্পারিক ভুল বুঝাবুঝি ঝেড়ে ফেলে সকল আলেম এক জায়গায় বসে কওমির স্বার্থে কাজ করা। আমি এই ঐক্যের কথাটি প্রথম থেকেই সব জায়গায় বলে আসছি। সেদিনও আরজাবাদে ঐক্যের কথাই বলতে চেয়েছিলাম। এখন পেছনের কথা না বলে স্বীকৃতি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজ করা সময়ের দাবি।
নোটঃ হযরতের বক্তব্য প্রমাণ করে কওমি অঙ্গনে পারস্পারিক মতবিরোধ এখন শেষ। কোন সমস্যা আর নেই। কেবল একটেবিলে বসে সম্মিলিতভাবে কাজ করা সময়ের প্রধান দাবী।
পর্যালোচনাঃ
দশটি নোট নিয়ে আসুন আমরা নির্মোহ ঐক্যের প্রর্যালোচনা করি। স্বীকৃতি স্বকীয়তার চেয়েও বড় বিষয় ঐক্যের এই উদার পক্রিয়া। আমরা তরুণরা যেন আর কারো পেছনের কথা কাজ নিয়ে টানাটানি না করি। আমাদের ফেসবুকের আওয়াজ ও প্রভাব বড়দের উপরও এখন প্রভাব ফেলছে। তাই একটু সাবধানে। নতুন কোন থিওরি বাজারে ছাড়ার আগে অন্তত ঐক্যের কথাটি একবার ভাবুন। এই অনুরোধ রইল। কর্ণধার আলেমরা একটেবিলে বসলেই একমাত্র স্বীকৃতি নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট হতে পারে।তারাই কওমি মাদরাসার স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা তুলে ধরতে পারেন তরুণদের সামনে।
কতৃপক্ষ আইন, সরকারি খবরদারি কতোটা হবে নাা হবে সেখানে সিদ্ধান্ত হোক একটেবিলে। তখন তরুণ প্রজন্ম তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে বাধ্য হবে অনলাইন অফলাইনে। তাই বড়দের একত্রে বসার কোন বিকল্প নেই। আগামি সোমবারে চার বোর্ডের ঐক্য পক্রিয়ার সম্মিলিত বসা সফল হোক। আমরা এই দোয়া করতে পারি।
প্রথম থেকে আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ সাহেবের বিনয়ী আহ্বান আর সর্বশেষে বেফাকের বিনয়ী মতবিনিময় থেকে আমরা তরুণরা অনেক কিছু শিখতে পারি। আমি মনে করি স্বীকৃতির চেয়ে ঐক্য বেশি জরুরী। উলামায়ে কেরামের মধ্যে বিভক্তি এনে স্বীকৃতির মধ্যে আনন্দ নেই, প্রশান্তি তো নেইই; কল্যাণ আছে কি না জানা নেই।
ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। বিকল্প নেই এক মজলিসে বসার। যদি কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি নাও হয় আর উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ থাকেন, একসাথে বসেন, চিন্তা করেন, আমরা খুশি।
স্বীকৃতি-স্বকীয়তা নিয়ে কথা চালাচালি তো আর কম হল না। এখন আমরা একটা কাজ করতে পারি বলে মনে হয়। আমরা ছোটরা নতুন করে স্বীকৃতি নিয়ে ত্যনা না পেছিয়ে বড়দের উদ্দেশ্যে একটাই আওয়াজ তুলতে পারি- ‘আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা একসাথে বসুন। বসার যে উদার প্রক্রিয়া সূচিত হয়েছে এটাকে দ্রুত তরান্বিত করুন। এটা যেন কোন কারনে কোন পক্ষের দ্বারা সংকোচিত না হয়। অতীত ভুলে গিয়ে বর্তমানে বসুন। এটা মেজরিটি-মাইনরিটির ব্যাপার না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া না যে, আকসারিয়্যাত ধর্তব্যে নিতে হবে। প্রশ্ন এখানে ঐতিহ্যের। প্রশ্ন অস্তিত্বের। আপনারা ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফরম নিয়ে রাজনীতি করুন, কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু শিক্ষানীতির প্রশ্নে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিটা এই মতবিনিময়ের পর আর অ্যাপ্লাই করবেন না, প্লিজ!
আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে বলুন কী চান আপনারা। কী চাইতে হবে আমাদের। এক লাইনে বললেই হবে।
এভাবে-
আমরা স্বীকৃতি চাই
অথবা
স্বীকৃতি চাই না।
খোদার কসম! আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যা বলবেন, আমরা মেনে নেব। আমরা আপনাদেরই তো সন্তান। সন্তান কখনো বাবা-মাকে ছেড়ে যায়?
লেখক : তরুণ গবেষক ও গ্রন্থকার