আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে মহররমের মজলিশে বোরকা পরে মুসলিম নারীদের শ্লীলতাহানির সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক হিন্দু নেতা। অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। ১০ অক্টোবর সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, শনিবার রাতে বোরকার আড়ালে লুকিয়ে নারীদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে ধরা পড়েন অভিষেক যাদব নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা সম্পাদক। শিপ্রা যাদব নামে বিজেপি’র জেলা পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী অভিষেক যাদব।
অভিযুক্ত অভিষেক ছদ্মবেশে মনি ওমরপুর গ্রামে মহররমের মজলিশে পৌঁছায়। সেখানে তিনি এক মহিলার সঙ্গে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। উপস্থিত মহিলাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করে। কোনোপ্রকারে তার বোরকা খোলা সম্ভব হলে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হয়ে পড়ে। অবশেষে ক্ষুব্ধ জনতা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্মকর্তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য একটি সূত্রে প্রকাশ, মহিলাদের বিরোধিতার মুখে ঘটনাস্থল থেকে পালাতে গেলে তার জুতো এবং জিন্স দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। লোকেরা এ সময় তাকে তাড়িয়ে ধরে ফেলে এবং বোরকা খুলে ফেলে। এরপরেই শুরু হয় গণধোলাই।
স্থানীয় লোকেরা বলছেন, গোলযোগ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ওই ব্যক্তি গোপনভাবে মহিলাদের মধ্যে বসে ছিল। যদিও সন্দেহজনভাবে ছদ্মবেশে ঠিক কী উদ্দেশে উগ্রহিন্দুত্ববাদী ওই নেতা মহররমের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তা এখনো স্পষ্ট হয়নি।
রবিবার অভিষেক এবং তার এক সঙ্গীর বিরদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনি এর আগে কারাগারেও গিয়েছেন। সূত্র: জিনিউজ, টাইমসঅবইন্ডিয়া