কমাশিসা ডেস্ক: সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্রীকে নির্মমভাবে কুপিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা। গুরুতর আহত খাদিজা বেগম নার্গিস (২৩) সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষ ফাইনাল পরীক্ষার্থী। সে জালালাবাদ থানার আউশা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে সে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
গুরুতর আহত খাদিজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোমবার মধ্যরাতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের হাউসা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে খাদিজা আক্তার নার্গিসের বাড়িতে লজিং থাকত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। সেখানে থাকাকালে মেয়েটির কাছে প্রেম নিবেদন করে সে। নার্গিস বারবার প্রত্যাখ্যান করে। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর এমসি কলেজ মসজিদের পেছনে মানুষের সামনে দা দিয়ে কোপাতে থাকে বদরুল। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন নার্গিসের চিৎকার শুনে এগিয়ে যায়। তারা নার্গিসকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বদরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।
এদিকে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খাদিজার ওপর হামলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (উত্তর) জিদান আল মুসা। তিনি জানান, জনতার সহায়তায় হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষসহ সবাই চেষ্টা করছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, মেয়েটির অবস্থা সংকটাপন্ন। অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। পাশাপাশি গুরুতর জখম হয়েছে মাথায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোমবার মধ্যরাতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।