ইমরান আহমাদ::
“মসজিদ আমাদের ক্যান্টনমেন্ট, গম্বুজ আমাদের হেলমেট, মিনার আমাদের বেয়নেট এবং বিশ্বাসীরা আমাদের সৈনিক”
এটি সাধারণ কোনো কবিতা, পংক্তি বা গতানুগতিক রাজনৈতিক ডায়ালগ নয়—আধুনিক তুরস্কের বর্তমান রাষ্ট্রনায়ক রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সাড়া জাগানো এক বিদ্রোহী মহাকাব্য। সেক্যুলার বিরোধী আন্দোলনের অপরাজেয় এক সৈনিকের তেজস্বী উচ্চারণ। যার জন্য এককালে গোটা কুফফার বিশ্বে তিনি হয়েছিলেন চরম নিন্দিত। উম্মাহ’র কাছে পরম নন্দিত। নাস্তিক্যবাদী তুর্কী প্রশাসন চটেছিল ভীষণ। বরণ করেছেন চার বছরের কারাদণ্ড। কিন্ত তবুও থামেননি এই নেতা। পথ হারায়নি তার ভিশন। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি তার নীতি-আদর্শ, মিশন। ফলে কৈশোরের লেবু বিক্রেতা, যৌবনের ‘মুসলিম ইয়ুথ সংগঠনের’ প্রভাবশালী এই নেতা—আজ মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শক্তিশালী রাষ্ট্র তুরস্কের রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে। যার লৌহকঠিন নেতৃত্বে ইইউ ভুক্ত হয়েও তুরস্ক আজ সঠিক ইসলামের দিকে দ্রুত ধাবমান। যার হাত ধরে প্রায় শতাব্দীকাল ধরে তুর্কী রাষ্ট্র ও জনমনে জেঁকে বসা সেক্যুলার ধ্যান-ধারণার যবনিকাপাত ঘটতে চলছে। নাস্তিক্যবাদের পঁচা জঞ্জাল ভূমধ্যসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। ক্রমেই সুলতান বায়জিদ, সুলাইমান, মুহাম্মদ আল ফাতিহ’র প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠা এরদোগানের মধ্যেই আশাহত উম্মাহ খুঁজে ফিরছে—দোর্দণ্ড প্রতাপশালী অটোমান খিলাফাহ’র পূণঃপ্রত্যাবর্তন। অভিনন্দন এরদোগান! তোমারই প্রতিক্ষায় বছরের পর বছর ধরে প্রমাদ গুনছে বিজয়ের বসফরাস-গোল্ডেন হর্ন! গৌরবের তোপকাপি প্রাসাদ!!