আতিকুর রাহমান:: দেরিতে হলেও আমাদের দেশের আলেম সমাজের একাংশের ঘুম ভেঙ্গেছে। আলহামদুলিল্লাহ। আগামী দিনে এভাবে সব হারানোর পর ঘুম ভাঙ্গবে বলে আমরা আশাবাদী (!!).
পাঠ্য পুস্তকে হিন্দুত্ব ঢুকেছে বছর গড়িয়ে গেছে, আর আজ আমাদের ঘুম ভাঙ্গলো, এতদিনে বাচ্চারা অনেক কিছু গলাধকরণ করে ফেলেছে, যেমন, নাস্তিকসম্রাট, ইসলামের দুশমন হুমায়ন আজাদের কোরআনকে কটাক্ষ করে কবিতা, রামের জীবনী ইত্যাদি। আমার মনে হয় এ ঘুম ভাঙ্গার নায়ক সেলিম ওসমান। আল্লাহ তাআলার কাছে দোআ করি আল্লাহ আমাদের একজন নেতা নির্বাচিত করে দিক, যে আমাদের ঘুমন্ত জাতিকে জাগাবে। আসুন এক নজরে দেখি পাঠ্য পুস্তকে কি পড়ছে আমাদের বাচ্চারা:
এক. বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীরা কি শিখছে ……..
বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের উগ্রহিন্দুত্ববাদী কালচার শেখানো হচ্ছে। সপ্তম শ্রেণীর আনন্দপাঠ নামক বইয়ের, ৯ পৃষ্ঠায় লালু নামক গল্পের কিছু পড়ে দেখুন, আপনার বাচ্চার পাঠ্যবইয়ে এখন কি শিখছে——-
“….পাড়ার মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে কালীপূজো। দুপুর রাতে বলীর ক্ষণ বয়ে যায়। কিন্তু কামার অনুপস্থিত । লোক ছুটলো ধরে আনতে। কিন্তু গিয়ে দেখে সে পেটের ব্যথ্যায় অচেতন। ফিরে এসে সংবাদ দিতে সবাই মাথায় হাত দিয়ে বসলো। উপায় ! এত রাতে ঘাতক মিলবে কোথায় ? দেবী পূজো পণ্ড হয়ে যায় যে। কে একজন বললে, পাঠা কাটতে পারে লালু। এমন সে অনেক কেটেছে। লোক দৌড়ল তার কাছে। লালু ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসলো। বললো- না।
না কী গো ? দেবীর পূজোয় ব্যাঘাত ঘটলে সর্বনাশ হবে যে।
লালু বললে- হয় হোক গে। ছোট বেলায় ও কাজ করেছি, কিন্তু এখন আর করবো না।
যারা ডাকতে এসেছিলো তারা মাথা কুটতে লাগলো, আর দশ পনেরো মিনিট মাত্র সময়, তার পরে সব নষ্ট, সব শেষ। তখন মহাকালীর কোপে কেউ বাচবে না। লালুর বাবা এসে আদেশ দিলেন যেতে। বললেন- ওঁরা নিরুপায় হয়েই এসেছেন, না গেলে অন্যায় হবে। তুমি যাও।
সে আদেশ অমান্য করার সাধ্য লালুর নেই। লালুকে দেখে চাটুজ্জে মশায়ের ভাবনা ঘুচলো। সময় নেই, তাড়াতাড়ি পাঠা উৎসর্গিত হয়ে কপালে সিঁদুর, গলায় জবার মালা পরে হাড়িকাঠে পড়লো, বাড়িশুদ্ধ সকলের ‘মা মা’ রবের প্রচণ্ড চিৎকারে নিরুপায় নিরীহ জীবের শেষ আর্তকণ্ঠ কোথায় ডুবে গেলো। লালুর হাতে খাঁড়া নিমেষে উর্ধ্বেত্থিত হয়েই সজোরে নামলো, তারপরে বলির ছিন্ন কণ্ঠ থেকে রক্তের ফোয়ারা কালো মাটি রাঙ্গা করে দিলে। লালু ক্ষণকাল চোখ বুজে রইলো। ক্রমশ ঢাক ঢোল কাঁসির সংমিশ্রণে বলির বিরাট বাজনা থেমে এল। যে পাঁঠাটা অদূরে দাঁড়য়ে কাঁপছিলো আবার তার কপালে পড়লো সিঁদুর। গলায় দুললো রাঙ্গা মালা, আবার সেই হাড়িকাঠ, সেই ভয়ঙ্কর অন্তিম আবেদন, সেই বহুকণ্ঠের সম্মিলিত ‘মা মা’ ধ্বনী। আবার লালুর রক্তমাখা খাড়া উপরে উঠে চক্ষের পলকে নিচে নেমে এল- পশুর দিখণ্ডিত দেহটা ভূমিতলে বার কয়েক হাত পা আচড়ে কী জানি কাকে শেষ নালিশ জানিয়ে স্থির হলো।; তার কাটা গলার রক্তধারা রাঙামাটি আরোও খানিকটা রাঙিয়ে দিলো।
ঢুলি উন্মাদের মত ঢোল বাজাচ্ছে। উঠানে ভীড় করে দাড়িয়ে বহু লোকের বহু প্রকারের কোলাহল। সম্মুখের বারান্দায় কার্পেটের আসনে বসে মনোহর চাটুজ্জে মুদ্রিত নেত্রে ইষ্টনাম জপে রত………………..”
পাঠক আশাকরি বুঝতে পেরেছেন, বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্যই হচ্ছে- কালীপূজো, পাঠাবলী, দেবী, মহাকালীর কোপ, সিঁদুর, জবার মালা, হাড়িকাঠ, ‘মা মা’ রব, খাঁড়া, ছিন্ন কণ্ঠ, ঢাক ঢোল কাঁসি আর ইষ্টনাম। এগুলো পড়ে আপনার ছোট শিশুটি কি শিখবে বলতে পারেন ? কৈ বাংলাবইয়ে তো গরু জবাইয়ের নিয়ম কানুন অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। আমার তো মনে হয় বাংলা বইয়ে যদি গরু কোরবানীর নিয়ম-কানুন থাকতো তবে এতক্ষণে গোমাতা ভক্তদের হা-হুতাশ শুরু হয়ে যেতো, সেখানে কত সুন্দর করে পাঠাবলীর বিভৎস বর্ণনা শেখানো হচ্ছে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের !
বাংলা সাহিত্য অবশ্যই ছোটগল্পের অভাব পরেনি যে পাঠাবলীর নিয়ম শেখাতে হবে। তবে আশ্চর্য ঐ সকল মুসলমান শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের গার্জিয়ানদের জন্য, যারা এতদিন ধরে পাঠাবলীর নিয়ম মুখ বুজে শিখে এসেছে ও শিখাচ্ছে।
দুই. বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের হিন্দুবাদ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। শেখানো হচ্ছে রামায়ন, দেবী অন্নপূর্ণা দেবীর কাছে প্রার্থনা, শেখানো হচ্ছে দেবী দূর্গার প্রশংসা। অন্যদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তাদের ধর্মীয় পরিচয় থেকে দূরে সরে যায়, সে জন্য শিখানো হচ্ছে নাস্তিকতা। বলা হচ্ছে- ধর্ম পরিচয় বাদ দিয়ে মানবধর্ম গ্রহণ করতে।
এ রকম একটি কবিতা ক্লাস-৮ এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কবিতার নাম ‘মানবধর্ম’। কবি- বাউল লালন। ৭১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত কবিতার ‘পাঠের উদ্দেশ্য’ অংশটি আমি হুবুহু পাঠকের সামনে তুলে ধরলাম-
“এই পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বুঝতে সক্ষম হবে যে, ধর্ম বা সম্প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয়টাই বড়। তারা জাত-পাত বা ধর্ম নিয়ে বাড়বাড়ি বা মিথ্যে গর্ব করা থেকে বিরত হবে”।
অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের এই কবিতার পাঠ করানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বইতেই বলা হচ্ছে- তারা যেন ধর্ম পরিচয়টা বাদ দিয়ে কথিত ‘মানবধর্ম’ নামক নামক নাস্তিকতা গ্রহণ করে !!
আমার জানা মতে, একজন মুসলমান হিসেবেই বাচতে চায়, এটাই তার কাছে বড় পরিচয়। কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, তাদের আপনার শিশু আসছে ভবিষ্যতে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে মোটেও চাইবে না, এটাই এখন রূঢ় সত্য।
সবাইকে ধন্যবাদ।
তিন. বাংলাদেশ একটি উন্নতমানের ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এ দেশের পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের নাম আনলে পাপ হয়। তবে পাঠ্যপুস্তকে ৮ম শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে রামায়ন, ৯ম শ্রেনীতে কৃষ্ণের লীলকীর্তন, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে গোমাতাবাদ, ৭ম শ্রেণীতে দূর্গা দেবীর প্রশংসা, ৯ম শ্রেণীতে দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা তথা মঙ্গলকাব্য। যাই হোক, সিলেবাসে তো থাকবেই কিছু হিন্দু ধর্মাবলম্বী কবিতা, তাতে কি? ক্লাসেও থাকতে হবে পরমধর্ম হিন্দু। এই তো কিছুদিন পর (আগামী ১৩ই ফেব্রুয়ারী) হবে স্বরসতী পূজা। প্রতি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে স্বরসতী পূজা। হিন্দু শিক্ষার্থীদের সাথে মুসলিম শিক্ষার্থীরাও সেই দেবী স্বরসতীর মূর্তি বানাতে টাকা দেবে, দেবীর প্রতি উৎসর্গকৃত প্রসাদ খাবে, মুসলিম শিক্ষার্থীরাও দেবী স্বরসতীর কাছে জ্ঞান ভিক্ষা চাইবে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মন্ত্র পাঠ করবে- “দেবীর কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে” মানে স্বরসতী দেবীর স্তনের প্রশংসা করে মুসলিম শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে পড়ালেখা শুরু করবে।
তবে পশ্চিমবঙ্গের দিক্ষাও কম নয়। পশ্চিমবঙ্গে স্বরসতী পূজাকে স্বরসতী পূজা নামে ডাকা হয় না। ডাকা হয় ‘বাঙালীর ভ্যালেন্টাইন ডে’ নামে। মানে এই স্বরসতী পূজার দিন স্কুলে ছেলে মেয়েদের প্রেম-ভালোবাসার হাতেখড়ি হয়, এটা পশ্চিমবঙ্গে স্ট্যাবলিশ কালচার।
আবার ফিরে আসছি বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে। বাংলাদেশের মুসলমানরা খুবই উদার এটা আমি জানি। তারা নামাজও পড়ে আবার স্বরসতী পূজাও করে। স্কুল-কলেজে মেতে উঠে স্বরসতী দেবীর স্তনের প্র্শংসায়সূচক মন্ত্র-স্তুতিতে। একটু পূজা-টূজা করলে ধর্ম নষ্ট হয় এটা কে বলেছে ?? পূজা করা তো বাঙালী সংস্কৃতির অংশ, তাহলে সমস্যা কি ?
আসলে সত্যিই বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার একটি আদর্শ মডেল রাষ্ট্র।এ দেশে শুধু ইসলাম-ই নিষিদ্ধ, বাকি সব সিদ্ধ। আর হ্যা, জনগণও সেটা মেনে নিয়েছে বৈকি…….
চার. বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের ক্লাস ৯-১০ এর বাংলা বইয়ে চরম মুসলিম বিদ্বেষী কবিতা
বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে ক্লাস ৯-১০ এর বাংলা বইয়ে ‘স্বাধীনতা’ নামক একটি কবিতা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কবিতার লেখক রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়। কবিতার পাঠ্য-পরিচিতি অংশে স্বীকার করা হয়েছে কবিতাটি ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্য থেকে সংকলন করা হয়েছে।
আসলে কবিতাটি ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্য থেকে সংকলন করা হলেও মাঝ থেকেও বিভিন্ন লাইন তুলে দেওয়া হয়েছে, যার কারণে আসলে কবিতাটি কি বিষয়ে লেখা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। এই লিঙ্কে (http://goo.gl/dwWNnt) গেলে কবিতারটি মোটামুটি একটি অখণ্ড অংশ পাবেন, যার মধ্যে পাঠ্যবইয়ের অংশও বিদ্যামান। কবিতাটি পুরোটা পড়লেই বুঝতে পারবেন, আসলে কবিতার মূল বিষয়বস্তু কি।
‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কবিতাটি আসলে কি ?
হিন্দুরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদের স্বগোত্রীয়দের উস্কানি দিতে বিভিন্ন ভ্রান্ত গল্প-কবিতা রচনা করে থাকে। সে সকল কবিতা গল্পের মাধ্যমে তারা হিন্দুদের মুসলমান মারতে উস্কানি দেয়। যেমন, তারা মিথ্যা গল্প সাজায়- “বাবরী মসজিদের স্থানটি হচ্ছে রামের জন্মস্থান, তাই সেটা ভাঙ্গতে হবে।” কিংবা সাম্প্রতিককালে দেখা যায়, হিন্দুরা পূর্ণিমা ধর্ষন নামক একটি নাটক সাজায়, যেটা দিয়ে দাবি করে মুসলমানরা নাকি হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করে। অথচ এই লিঙ্কে (https://goo.gl/Lu2Bek) দেখুন, পূর্ণিমা ও তার মা-বাবা নিজের মুখেই স্বীকার করছে তারা টাকার বিনিময়ে এ মিথ্যা গল্প সাজিয়েছিলো।
মূলত, হিন্দুরা গল্প সাজিয়ে বলে-
‘পদ্মিনী’ হচ্ছে একজন রাজপুত রানী। ১৪শ’ শতাব্দীতে দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি নাকি ঐ নারীর রুপের কথা শুনে পাগল হয়ে যান এবং চিতোর আক্রমণ করে। হিন্দুরা আরো গল্প সাজায়, ঐ সময় মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি ও তার বাহিনী থেকে নিজেদের সম্ভ্রম বাচাতে নাকি পদ্মিনীসহ ১৩ হাজার হিন্দু নারী আগুনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। (http://goo.gl/cEr5Ea)
‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কবিতাটি রচনাকাল হচ্ছে ১৯শ’ শতাব্দী। ব্রিটিশরা এ অঞ্চলে ক্ষমতা গেড়ে ফেলার পর কিছু কিছু হিন্দু কবিকে নিয়ে নিয়োগ দিয়েছিলো, যাদের কাজ ছিলো গল্প-কবিতার বানিয়ে হিন্দুদের মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া। এ কবিতার কবি রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায় হচ্ছে সে রকম একজন কবি, যে এ কবিতার মাধ্যমে ১৪শ’ শতাব্দীর বানোয়াট ইতিহাস এনে ১৯শ’ শতাব্দীতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দু ক্ষত্রীয় সমাজকে উস্কানি দিচ্ছিলো। এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন- “রঙ্গলাল ও বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা সাহিত্যে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের অবনতির দুই উৎস।” (বই-আধুনিক বাংলা কাব্যে হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক, প্রথম প্রকাশ, বাংলা একাডেমী, ১৯৭০, পৃ ২৫১)
এই লিঙ্কে (http://goo.gl/dwWNnt) গিয়ে কবিতাটির অখণ্ড অংশটি (যেগুলো বই থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে) পড়ুন। সেখানে স্পষ্ট হিন্দুদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য।
যেমন-
“পাঠানের দাস হবে ক্ষত্রিয়-তনয় হে,
ক্ষত্রিয়-তনয় ||
তখনি জ্বলিয়া উঠে হৃদয়-নিলয় হে,
হৃদয়- নিলয় |
নিবাইতে সে অনল বিলম্ব কি সয় হে,
বিলম্ব কি সয়?”
অর্থ: পাঠান বলতে এখানে আলাউদ্দিন খিলজিকে বুঝানো হয়েছে। বলা হচ্ছে “মুসলমানদের দাস হবে হিন্দু ক্ষত্রিয় সন্তান, এটা শুনলে অন্তরে আগুন জ্বলে ওঠে, সেই আগুন নিভাইতে বিলম্ব সহ্য হচ্ছে না।
এরপর কবিতায় বলা হচ্ছে-
“যদিও যবনে মারি চিতোর না পাই হে,
চিতোর না পাই |
স্বর্গসুখে সুখী হব, এস সব ভাই হে,
এসো সব ভাই |”
এখানে যবন অর্থ মুসলমানরা। যবন শব্দের অর্থ বর্বর। কবিতায় বলা হচ্ছে- মুসলিম মারলেও চিতোর এলাকাটি আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তবে মুসলমান মারলে বা তাদরে বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে স্বর্গসুখে সুখী হওয়া যাবে। তাই সকল হিন্দুকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আহবান জানানো হচ্ছে।
মন্তব্য: মূলত এ কবিতাগুলো ভারতের চরম শ্রেণীর উগ্রহিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম বিদ্বেষী সমাজ তৈরীর জন্য ব্যবহার করে থাকে, তবে আশ্চর্যের বিষয় সেই কবিতাই কিনা এখন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের পাঠ্য !!! যে বা যারা বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে এ ধরনের মুসলিম বিরোধী কবিতা অন্তর্ভূক্ত করেছে, তারা যে না জেনে বিষয়টি করেছে তা বলা যাবে না। কারণ বিষয়টি বুঝতে পেরেই মাঝখান থেকে লাইন গায়েব করা হয়েছে।
এই কবিতাটি প্রমাণ করে, যে বা যারা বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক তৈরী করেছে, তারা যে কত বড় বাংলাদেশবিরোধী মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগিয়েছে, যা বাংলাদেশের ঘুমন্ত মুসলিম সমাজ কখন কল্পনাও করতে পারবে না।
পাচ. বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের ক্লাস ৯-১০ এর বাংলা বইয়ে একটি কবিতা সংযুক্ত করা হয়েছে, কবিতার নাম: ‘সাঁকোটা দুলছে’, লেখক- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। কবিতা মূল থিম ১৯৪৭ এ দেশভাগের সময় দুটো কিশোরের বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার কষ্ট। কবিতার শেষে বইয়ের ২৩৬ পৃষ্ঠায় দুটি উদ্দীপক আছে। আসুন, উদ্দীপক দুটো পড়ি-
প্রথম উদ্দীপক:
শিহাব সেনগ্রাম মিডল স্কুলে পড়তো। বহাদুরপুর, মেঘনা, বাগমারা, সেনগ্রাম পাশাপাশি গ্রাম ছিলো । গ্রামের হিন্দু-মুসলমান শিক্ষার্থীরা হাসি-আনন্দে স্কুলে যেতো। ১৯৪৬ সালে দেশভাগ হলে শিহাব দেখতে পেলো তার হিন্দু সহপাঠীরা ভারত চলে যাচ্ছে। দেবব্রতের সঙ্গে বন্ধুত্বের স্মৃতি শিহাব ভুলতে পারে না। স্কুলের সামনের বরই গাছ থেকে বরই পাড়ার স্মৃতি ৭০ বছর বয়সেও শিহাব বিস্মৃতি হয়নি।
দ্বিতীয় উদ্দীপক:
ঋত্বিক কুমার ঘটক বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার। তার অধিকাংশ চলচিত্রে দেশভাগের যন্ত্রণা প্রকাশ পেয়েছে। নিজের জন্মস্থানে যেতে হলে পাসপোর্ট ও ভিসা লাগবে এই বেদনা তার মতো অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। এ কারণেই তিনি বলতেন, ‘বাংলার ভাগ করিবার পারিছ, কিন্তু দিলটারে ভাগ করবার পারো নাই”
পাঠক এ কবিতার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়া ১৯৪৭ সালের দেশভাগ মোটেও উচিত হয়নি, রাজনৈতিক কারণে কষ্ঠের ভাগিদার হতে হয়েছে হিন্দু-মুসলমানদের। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে রিলিজ পাওয়া সিনেমা ‘রাজকাহিনী’ও একই শিক্ষা দিয়েছিলো। আর সেই রাজকাহিনীর শিক্ষা এখন চলছে বাংলাদেশর পাঠ্যপুস্তকে।
আসলে এ কবিতাটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে কতটা ক্ষতিকর তা বোধকরি এখনও কেউ অনুধাবন করে নাই। এই কবিতাটি হচ্ছে এক প্রকার ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাধীনতা চেতনার মূল ভিত্তিকে গুড়ো গুড়ো করে দেওয়া হচ্ছে। কারণ-
পূর্ব বঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তান নামে যদি কোন দেশ না সৃষ্টি হতো, তবে বাংলাদেশ নামক দেশও সৃষ্টি হতো না। বাংলাদেশ তখন হতো ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের নাম। তাই ১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রাম যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক সমপরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ১৯৪৭ এ পূর্ব বাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানের সৃষ্টি। এ কারণে ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশে সৃষ্টিতে মূখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন, তারাই কিন্তু ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের পক্ষে ছিলেন। যেমন বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, ভাসা্নী সবাই ছিলেন দেশভাগের অন্যতম নেতা। বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বলেছিলেন- “পাকিস্তান না হলে দশ কোটি মুসলমানের কি হবে? …অখণ্ড ভারতে যে মুসলমানদের অস্তিত্ব থাকবে না এটা আমি মন প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করতাম” । (সূত্র: বঙ্গবন্ধু লিখিত “অসমাপ্ত আত্মজীবনী”) অর্থাৎ ১৯৪৭ এ দেশভাগ হেয় করে কবিতা রচনার অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাণপুরুষদের দীর্ঘ সংগ্রামকে অস্বীকার করা। তাই যদি ১৯৪৭ এ ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সুখ-দুঃখ নিয়ে কবিতা লিখতেই হয়, তবে ১৯৭১ কে নিয়েও একই ধরনের কবিতা লিখতে হবে। কারণ ঐ সময় অনেক বাংলাদেশী-বিহারীর মধ্যে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব ছিলো।
মূলত: ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’ অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশেীদের মধ্যে প্রচার করে যাচ্ছে- ১৯৪৭ এ হিন্দু-মুসলিম ভাগ হওয়া ঠিক হয়নি। উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানো। এ কারণে কিছুদিন আগে ভারতের দেব নামক এক অভিনেতা এসে বলেছিলো – “দাও দুই বাংলা এক করে দাও”। এখন ঐ তত্ত্ব পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। অথচ ’৪৭ এর দেশভাগকে অস্বীকার করা মানে হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা এবং এক কথায় বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে মেনে নেওয়া। দেখা যাবে, এই কবিতার পড়ার কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিজেরাই বলবে- “৪৭ এর দেশভাগ ভুল ছিলো, দাও দুই বাংলা এক করে দাও।”
ছয়. বাংলাদেশে কি দেশাত্ববোধক কবিতার অভাব পড়েছিলো ? নয়ত দেশাত্ববোধক কবিতার নামে কেন দেবী দুর্গার প্রশংসা শেখানো হচ্ছে ?
বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের ক্লাস-৭ এর বাংলা বইয়ে বাংলাদেশের সৌন্দর্য বর্ণনার নাম দিযে হিন্দুদের দেবী দুর্গার প্রশংসা পড়ানো হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। কবিতাটির আসল নাম ‘মাতৃমূর্তি”। অথচ পাঠ্য বইয়ে কবিতার নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’।
আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, কবিতার সৃষ্টিকাল হচ্ছে ১৯০৫ সাল। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা বর্তমান বাংলাদেশের পক্ষে যায়, কিন্তু রবীন্দ্রনাথদের মত পশ্চিমবঙ্গের শোষক জমিদারশ্রেনীর বিরুদ্ধে যায়। তাই বঙ্গভঙ্গ যেন রদ হয় সেই আশায় উগ্রহিন্দুদের জাগিয়ে তুলতে এই মাতৃমূর্তি কবিতার রচনা করেছিলো জমিদার রবীন্দ্রনাথ। কবিতায় রবীন্দ্রনাথ তার হিন্দুনেতৃত্বাধীন বাংলাদেশকে দেবী দুর্গা বানিয়ে প্রশংসা করেছে।
কবিতায় দেবীদূর্গার বর্ণনা করে বলা হয়েছে-
“ ডান হাতে তোর খড়গ জ্বলে, বা হাত করে শঙ্কাহরণ
দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ
ওগো মা তোমার কী মুরতি আজি দেখি রে…..
ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আখি না ফেরে
তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে….”
অর্থাৎ ‘মাতৃমূর্তি” কবিতাটির পটভূমি একদিকে বাংলাদেশের স্বার্থের বিরোধী এবং অন্যদিকে দেবী দুর্গারই প্রশংসা। আর সেই শিক্ষাই এখন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে।
সাত. বাংলাদেশে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত এলাকা আছে- খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির পাহাড়, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত, সিলেটের চাবাগান কিংবা ঝর্ণা অথবা খুলনার সুন্দরবন। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের পাঠ্যবইগুলোতে সেসকল সৌন্দর্য্যমন্ডিত এলাকার কোন বর্ণনা নেই। আছে শুধু ভারতের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের বর্ণনা।
হিন্দুত্ববাদীদের তীর্থস্থান ঝাড়খণ্ডের রাঁচি কিংবা পালামৌ এর বর্ণনা অতি সুন্দরভাবে পর্যটন বিজ্ঞাপনের মত বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকগুলোতে সন্নিবেশ করা হয়েছে, যেন একটি শিশু ছোটবেলা থেকেই ভারতের পর্যটন স্পটগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং সুযোগ পেলেই যেন সেখানে ঘুরতে যায়।
এত সুকৌশলে ভারতের পর্যটন বিজ্ঞাপন আর কোন দেশের পাঠ্যপুস্তকে আছে কি না সন্দেহ।
আট. বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নের আগে বলা হয়েছিলো- নতুন শিক্ষানীতি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ বা সেক্যুলার। বলা হয়-
“এ শিক্ষা নীতি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে সেক্যুলার, গণমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তি ও রণকৌশল হিসেবে কাজ করবে।” (সূত্র: শিক্ষানীতি ২০০৯, অধ্যায়-১, শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য) কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে বর্তমান শিক্ষা সিলেবাস মোটেও ধর্মনিরপেক্ষ নয়, বরং পুরোটাই হিন্দুয়ানী।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, ক্লাস ৯-১০ এর বাংলা বইয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতাংশ। কবিতার লেখক- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। মূলত এই কবিতাটি হচ্ছে মধ্যযুগে রচিত ‘মঙ্গলকাব্য’। মঙ্গলকাব্যের সংজ্ঞা দিতে উইকিপিডিয়া বলছে-“যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও মঙ্গল হয় এবং বিপরীতে হয় অমঙ্গল;যে কাব্য মঙ্গলাধার, এমন কি, যে কাব্য ঘরে রাখলেও মঙ্গল হয় তাকে বলা হয় মঙ্গলকাব্য।”http://bn.wikipedia.org/wiki/মঙ্গলকাব্য)
‘আমার সন্তান’ নামক কবিতাটি মূলত হিন্দুদের দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার নিকট প্রর্থনাসূচক কবিতা। কবিতার শেষাংশে বলা হচ্ছে-
“প্রণমিয়া পাটুনি (মাঝি) কহিছে জোড় হাতে।
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে
তথাস্তু বলিয়া দেবী দিলা বরদান।
দুধে ভাতে থাকিবে তোমার সন্তান”
কবিতায় স্পষ্ট অন্নপূর্ণা দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে, দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বর দিচ্ছে এবং কোমলমতি মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরা দেবীর প্রশংসা তার নিকট প্রার্থনা করা শিখছে।
(আরো দেখতে পারেন- bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AE%)
শুধু একটি নয়,
১) ৯ম-১০ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা সংযুক্ত করা হয়েছে, যা মূলত হিন্দুদের কৃষ্ণ ও রাধা’র অবৈধ প্রণয়কাহিনী বা কীর্তন।
২) ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বইয়ে একটি গল্প সংযুক্ত করা হয়েছে যার নাম ‘লাল গরুটা’। গল্পটি দিয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের হিন্দুদের গোমাতাবাদ শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। গল্পের মূল শিক্ষা- গরু হচ্ছে মায়ের মত সেটাকে জবাই ভালো কাজ নয়।
৩) ৮ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে (দ্রুত পঠন) হিন্দুদের দেব-দেবীদের কাহিনী রামায়ণ অন্তুর্ভূক্ত করা হয়েছে।
কি বুঝলেন ???
দাবি করা হয়েছিলো বাংলাদেশের শিক্ষা সিলেবাস ধর্মনিরপেক্ষ, অথচ শেখানো হচ্ছে হিন্দুত্ববাদ, এটা কেমন বিচার, আপনি বলুন ???
নয়. ভাবতে ভালোই লাগে, বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক এখন এগিয়ে গেছে ।
সেখানে ক্লাস ৯-১০ম এখন অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে রাধা-কৃষ্ণের লীলাকীর্তন। যদিও বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকাংশ মুসলমান, কিন্তু তবুও পড়তে হবে মামী(রাধা) আর ভাগিনার (কৃষ্ণ) এর প্রেমলীলা।
পাঠপরিচিত অংশে বলা হয়েছে- “কানু অর্থাৎ কৃষ্ণের ভক্তি দৃঢ়তর না হলে এ ধরনের আয়োজন নিষ্ফল হওয়া স্বাভাবিক”
আহারে, শিক্ষা ব্যবস্থা ধর্মনিরপেক্ষ, কিন্তু বাদ যায়নি রাধা-কৃষ্ণের লীলা-কীর্তন। কৃষ্ণের ভক্তি এখানে বাধ্যতামূলক।