অনলাইন ডেস্ক :: রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে করা রিটের সঙ্গে নিজের কোনও সম্পর্ক নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি ও কলামিস্ট বদরুদ্দীন উমর। রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে এ বিবৃত পাঠানো হয়। টেলিফোনেও বদরুদ্দীন উমর বাংলা ট্রিবিউনকে বিবৃতির দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকার রাষ্ট্রধর্ম আইন করার সময় যে প্রতিরোধ কমিটি হয়েছিল, আমি তার প্রেসিডিয়ামের সদস্য ছিলাম। কমিটির পক্ষ থেকে একটি মামলা তার বিরুদ্ধে করা হয়েছিল, কিন্তু কিছুই হয়নি। এখন সেই মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। আমার নামও তার সঙ্গে জড়ানো হয়েছে। আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, রাজনৈতিকভাবেই আমরা সে সময় আন্দোলন করেছিলাম এবং আন্দোলনের অংশ হিসেবেই মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন যে পরিস্থতিতে মামলা করা হয়েছিল সে পরিস্থিতি এখন আর নেই।
বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, সে সময় এরশাদের প্রস্তাবিত আইনটির বিরোধিতা তারাও করেছিলেন। ইচ্ছা থাকলে তারা ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এই আইন বাতিল করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেনি। উপরন্তু তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম আইন বহাল রেখেছেন। তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে এটা স্পষ্ট যে, তারা এই আইনের পক্ষপাতী। এই পরিপ্রেক্ষিতে সেই পুরনো মামলা পুনরুজ্জীবিত করা অর্থহীন। এই মামলা পুনরুজ্জীবিত করার আগে আমাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করা হয়নি। এই মামলার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।
বাংলা ট্রিবিউন।
বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, সে সময় এরশাদের প্রস্তাবিত আইনটির বিরোধিতা তারাও করেছিলেন। ইচ্ছা থাকলে তারা ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এই আইন বাতিল করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা করেনি। উপরন্তু তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম আইন বহাল রেখেছেন। তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে এটা স্পষ্ট যে, তারা এই আইনের পক্ষপাতী। এই পরিপ্রেক্ষিতে সেই পুরনো মামলা পুনরুজ্জীবিত করা অর্থহীন। এই মামলা পুনরুজ্জীবিত করার আগে আমাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করা হয়নি। এই মামলার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।
বাংলা ট্রিবিউন।