প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে উত্থাপিত ১১ অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান হবে। এ বিষয়ে সুরাহা না হলে তিনি চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অভিযোগের সত্যতা মিললে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। তবে সুপ্রিমকোর্ট প্রধান বিচারপিতর বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে ব্যক্তিগত সফরে বিদেশে গেছেন। রাষ্ট্রপতি তাকে ছুটি এবং তার অনুপস্থিতিতে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির অনুরুপ কার্যভার পালনের দায়িত্ব দিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই।
আইনমন্ত্রী দাবি করেন, প্রধান বিচারপতির ছুটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ছুটি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আর অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ বা সমস্যা আমরা দেখিনি। তবে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অবকাশ নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না থাকায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি তার কাজের সুবিধার্থে যেকোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন আনতে পারবেন। সংবিধান এ বিষয়টিকে সমর্থন করে। তাই এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়।
এর আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে সাংবাদিকদের কাছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি আমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়। মূলত দেশ ছাড়ার আগে প্রধান বিচারপতি সিনহার লিখিত বক্তব্যের জবাব দিতেই এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসেরও বেশি সময়ের ছুটিতে বিদেশ যাওয়ার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এই সিদ্ধান্ত এল রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে। এখন থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা প্রধান বিচারপতির ন্যায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন বলে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার দপ্তর জানিয়েছে।