বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৩:৩৬
Home / অনুসন্ধান / সাফাতের প্রতিদিনের হাতখরচ ছিল ২ লাখ টাকা: শারীরিক সম্পর্ক তার কাছে উপভোগ্য একটা বিষয়!

সাফাতের প্রতিদিনের হাতখরচ ছিল ২ লাখ টাকা: শারীরিক সম্পর্ক তার কাছে উপভোগ্য একটা বিষয়!

কমাশিসা নিউজ: রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদের প্রতিদিনকার হাত খরচ ছিল ২ লাখ টাকা। আর এ টাকার জোগান দিতেন তার বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ।

রিমান্ডের প্রথম দিনেই গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানিয়েছেন সাফাত। তিনি বলেছেন, প্রতি রাতেই তিনি ও তার বন্ধুরা পার্টি করতেন। পাঁচ তারকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এসব পার্টিতে বন্ধু-বান্ধবীরা হাজির থাকতেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সাফাত আহমেদ আরও জানান, তাদের ২০ থেকে ২২ জন বন্ধুর একটি গ্রুপ আছে। এ গ্রপে তাদের বন্ধুদের মধ্যে দেশের বেশ কয়েকজন শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতা ও সমাজের প্রভাবশালীদের সন্তান রয়েছে। তারা রাত হলেই একটি স্থানে জড়ো হন। প্রতিরাতেই তারা পাঁচতারকা হোটেলে বিভিন্ন পার্টি ছাড়াও রেসিং কার নিয়ে লং ড্রাইভে যেতেন। মাঝেমধ্যে ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ আশপাশের দেশে দল বেঁধে বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরতে যেতেন।

প্রতিদিন তার হাত খরচের দুই লাখ টাকা তার বাবা দিতেন বলে দাবি করেন সাফাত। কখনও এর বেশি টাকার প্রয়োজন হলে ঢাকা শহরে আপন জুয়েলার্সের ৮টি শোরুমের যে কোনো একটিতে ফোন করে অতিরিক্ত টাকা আনিয়ে নিতেন। কখনও তার বাবা এ টাকা খরচের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেননি।

গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় এক ডজন বান্ধবীর নাম ফাঁস করেছেন তিনি। এসব বান্ধবীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের কথাও খোলামেলা স্বীকার করেছেন। বান্ধবীদের মধ্যে উঠতি কয়েকজন মডেলও রয়েছেন।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করে সাফাত দাবি করছেন, এটিও জোর করে হয়নি। এর সপক্ষে সাফাত কিছু প্রমাণও দেখিয়েছেন গোয়েন্দাদের। এর মধ্যে সাফাত আহমেদ অভিযোগকারী দুই তরুণীর মধ্যে একজনের সঙ্গে ঘটনার রাতে তোলা ঘনিষ্ঠ কিছু ছবিও (সেলফি) দেখান গোয়েন্দাদের।

চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণ মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, সাফাত আহমেদের দেয়া তথ্য তারা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। তবে ওই দুই তরুণীর সঙ্গে তাদের যৌন সম্পর্কের বিষয়টি আপসে হয়েছে- সাফাতের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ ওই ধর্ষণ মামলাটি তদন্ত করছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, এসব তথ্যপ্রমাণ আমলে নেয়া হচ্ছে না। কারণ আপসে হলে মামলা হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী। ওই ঘটনায় ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ (সিরাজগঞ্জের আবদুল হালিম) ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। বর্তমানে সাফাত আহমেদ ছয় ও সাদমান সাকিফ পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ মামলার পলাতক আসামি মোহাম্মদ হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ, ড্রাইভার বেলাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদের অবস্থান জানতে তাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

সৌজন্যে: শীর্ষবিন্দু

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...