কমাশিসা : দুই দিনের সফরে এসে ভারতকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইফে এরদোগান। সফরে আসার ঠিক আগমুহূর্তে তিনি জানিয়েছেন কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করতে চায় তুরস্ক।
ভারতের কাছে এরদোগানের এমন মন্তব্য মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না। ওই মন্তব্যের পরে এরদোগান এখন ভারত সফর করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সোমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকালে মোদি ও এরদোগান যখন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন তখন তারা কেউ অবশ্য ‘কাশ্মীর’ শব্দটি উচ্চারণও করেননি। কিন্তু পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তুর্কি প্রেসিডেন্টের এই সফর থেকে ভারতের কূটনৈতিক অর্জন যে কিছু হবার নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।
দু’সপ্তাহ আগে এক গণভোটের মাধ্যমে আরও ক্ষমতাশালী হওয়ার পর এরদোগানের এটাই প্রথম বিদেশ সফর।
দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে একটি ভারতীয় চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার তিনি কাশ্মীর প্রসঙ্গে বলেন, ‘কাশ্মীরে এই রক্তপাত আমরা চলতে দিতে পারি না। চিরতরে এই সঙ্কটের সমাধানের জন্য আমরা বহুপাক্ষিক একটা সংলাপের সূচনা করতে পারি, তাতে তুরস্কও জড়িত হতে পারে। আর এতে ভারত, পাকিস্তান উভয়েরই লাভ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আমার অনেকদিন ধরেই কথাবার্তা হচ্ছে। আমি খুব ভাল করেই জানি তার সদিচ্ছা আছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবেও চান এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।’
তুরস্ক বরাবরই পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ বলে পরিচিত। এই তুরস্কের মধ্যস্থতায় কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে যে আলোচনায় বসবে না ভারত তা নিশ্চিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এই প্রসঙ্গটি সফরে আলোচিত হচ্ছে কি না? দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তার সরাসরি জবাবও এড়িয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর কাশ্মীর নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
এছাড়া ভারত অনেক আগে থেকেই বলে আসছে কাশ্মীর একটা দ্বিপাক্ষিক বিষয়, এখানে বাইরের লোকজন ঢুকবে না। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সফরের পর হয়তো ভারতে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু এতে ভারতের কূটনৈতিক অর্জন খুব সামান্যই।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।