অনলাইন ডেস্ক : ইরাকের মসুলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদা জোটবদ্ধ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইরাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আয়াদ আলাওয়ি। সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ২০২১ সালে দুই জঙ্গি সংগঠন আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠতে পারে।
আলাওয়ি বলেন, ‘তাদের (আইএস ও আল-কায়েদা) মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। আইএসের আবু বকর আল-বাগদাদি ও আল-কায়েদার আয়মান আল-জাওয়াহিরি আলোচনা করছেন। ইরাকের স্থানীয় সূত্র থেকে তারা এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানান আলাওয়ি।
তবে ঠিক কিভাবে এই দুই জঙ্গি সংগঠন কাজ করবে তা স্পষ্ট নয় বলে জানান তিনি।
২০১৪ সালে আল-কায়েদা ও আইএস আলাদা হয়ে যায়। এরপরই দুই গ্রুপ জিহাদের জন্য সারাবিশ্ব থেকে নিয়োগ দিতে শুরু করে। জাওয়াহিরি প্রকাশ্যেই আইএসের সমালোচনা করেছেন। তাদেওর শিরশ্ছেদ, ডুবিয়ে ও পুড়িয়ে মারাকে বর্বরতা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
২০১৪ সালে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তাণ্ডব চালায় আইএস। সেই বছরই আল-নুরি মসজিদ দখল করে বাগদাদি খিলাফতের ঘোষণা দেন। তখনই আল-কায়েদার সঙ্গে বিবাদের জেরে পৃথক হয়ে পরে তারা।
এর আগে আরবি সংবাদমাধ্যম আশরক আল আওসাতে ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায়, চলতি মাসেই দুই জঙ্গি গ্রুপের লিবিয়া শাখা আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। নথিতে বলা হয়, ২০২১ সালে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তারা আলোচনা করছে।
গত অক্টোবরে শিয়া বাহিনী ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সহায়তায় মসুলে অভিযান শুরু করে ইরাকি বাহিনী। ইতোমধ্যে মসুলের অর্ধেক এলাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে তারা। ইরাকি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানায়, মসুলের পুরনো শহরের সরু রাস্তায় ও টাইগ্রিস নদীর পশ্চিমে লড়াই করছে ইরাকি বাহিনী।
তাদের মোকাবিলায় আইএস আত্মঘাতী হামলা, স্নাইপার ও ড্রোন হামলাও চালিয়েছে। এছাড়া বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবেও ব্যবহার করেছে তারা।
মসুলের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ হারালেও কাইম, হাওইজা ও তাল আফর শহর তাদের দখলে রয়েছে। আর সিরিয়ার রাকা এখনও আইএসের দাবিকৃত রাজধানী।
তবে আলাউই মনে করেন, মসুলে দখল হারালেও আইএস সহজে চলে যাবেনা। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়না আইএস এখনই নির্মূল হয়ে যাবে। সারাবিশ্বের গোপনে তাণ্ডব চালিয়ে যাবে তারা।’