অনলাইন ডেস্ক : দুই ছেলেই বিয়ে করে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছেন। থাকেন নিউইয়র্কে। বিয়ের আগে ছোট ছেলের সঙ্গে কথা হয় হবু স্ত্রীর। তখন জানিয়েছিলেন, বিয়ের পর সঙ্গে নেবেন নববিবাহিতা স্ত্রীকে। কিন্তু স্ত্রীকে আর আমেরিকায় নেননি।
বিয়ের পর স্ত্রী বাহরিন নূরকে নিজের মা-বাবার কাছে রেখে যান ছোট ছেলে, অনাবাসী ভারতীয় যুবক ওসমান কোরেশি। হিনা ফাতিমাকে বিয়ে করে ওসমানের বড় ভাই ফায়াজ উদ্দিন রেখে যান নিজের মা-বাবার কাছেই। দুই ভাইয়ের বাড়ি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের হায়দরাবাদে। বাবা আবদুল হাফিজ আর মা এখনো তাঁদের নিজ বাড়িতেই থাকেন।
ওসমান ২০১৫ সালে বিয়ে করেন বাহরিনকে। কয়েক দিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাক লিখে ওসমান একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে দেন তাঁর স্ত্রীকে। এরপর নিজের হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসেও তালাক লিখে রাখেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর বাহরিনকে বাড়ি থেকে বের করে দেন শ্বশুর। এর আগে একই পথ ধরে বড় ভাই ফায়াজও ই-মেইলে তালাক দেন তাঁর স্ত্রীকে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তাঁকেও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর দুই গৃহবধূ পুলিশের শরণাপন্ন হয়ে নালিশ করেন। থানা থেকে ডেকে নেওয়া হয় ওই দুই ছেলের বাবাকে। দায়ের হয় মামলা। গ্রেপ্তার হন মা-বাবা।
বাবা ও মায়ের ভাষ্য, ছেলেরা যখন স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন, তখন কেন তাঁদের নিজের বাড়িতে রাখবেন তাঁরা?
হায়দরাবাদের সাউথ জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্য নারায়ণ বলেছেন, নারীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও লাঞ্ছনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনার পর ওসমানের স্ত্রী বাহরিন বলেছেন, ‘আমার স্বামী আমাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে না নিয়ে শ্বশুরবাড়ি রেখে যান। আমার স্বামী আমাকে সুখে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি।’