রয়টার্স : আইএসের দখলে থাকা ইরাকের মসুল শহরের পশ্চিমাঞ্চল পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু হয়েছে জোরেশোরে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল এবাদি গতকাল রোববার সকালে এই অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। অভিযানের সময় মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত বছরের শেষ ভাগে অভিযান চালিয়ে শহরের পূর্ব দিক পুনর্দখল করে সরকারি বাহিনী ও তার মিত্ররা। তবে টাইগ্রিস নদীর পশ্চিমাঞ্চলে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সেখানে আটকে পড়েছে কয়েক লাখ বেসামরিক লোক। পশ্চিমাঞ্চল পুনর্দখল করাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন এবাদি। তিনি সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা মসুল স্বাধীন করতে আসছি। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। আইএসের সন্ত্রাসের হাত থেকে আমাদের নাগরিকদের মুক্ত করতে আমাদের বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।’
ইরাকি বাহিনী শহরের পশ্চিমাঞ্চল ঘিরে রেখে সকালে অভিযান শুরু করে কয়েকটি গ্রাম দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর বিমান হামলার জন্য প্রস্তুত মার্কিন জোট।
ইরাকি বাহিনী বিমান থেকে লিফলেট ফেলছে নিচে। এতে আইএসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান এবং বেসামরিক নাগরিকদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেন, মসুল পুনর্দখলের লড়াই হবে এযাবৎকালের অন্যতম কঠিন লড়াই।
আটকে পড়া লোকজন বলছেন, ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্যও মসুলের বাসিন্দাদের প্রচণ্ড নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়। আটকা পড়ে আইএসের সদস্যরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। যদি কারও কাছে মুঠোফোন পাওয়া যায় তাহলে মৃত্যু অত্যাসন্ন। আইএস সদস্যদের আশঙ্কা, মুঠোফোনের মাধ্যমে তাঁদের তথ্য পাচার করা হচ্ছে।
২০১৪ সাল থেকে মসুল আইএসের দখলে। সেখান থেকে অবরুদ্ধ এলাকাগুলোর দিকে অগ্রসরমাণ ইরাকি সেনাদের প্রতিরোধে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা।
এটাও পড়তে পারেন
ইদলিবের মাধ্যমেই সিরিয়ার বিজয় সুচিত হবে ইনশাআল্লাহ!
ইদলিবে শিয়া মুনাফেক রুশ কাফেরদের এক কথায় তুলাধুনা চলবে……. প্রস্তুত তুরস্কের নৌবাহিনী সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী। ইতিমধ্যেই ...