রয়টার্স : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে গত শুক্রবার বিকেলে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার দপ্তর দাবি করেছে। এতে ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে বলে সরকার যে দাবি করেছিল, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বিবৃতি অনুযায়ী ওই সংঘর্ষ পাঁচ মিনিট স্থায়ী হয়। বুথিয়াদাউং এলাকার সীমানায় অজ্ঞাত প্রায় ৩০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করেছিল। মিয়ানমারের বাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়।
সরকার গত সপ্তাহে জানায়, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইনে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এর আগে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী চার মাস ধরে অভিযান চালিয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় গত ৯ অক্টোবর একাধিক তল্লাশি কেন্দ্রে হামলায় পুলিশের নয় সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বাহিনী সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান শুরু করে। এতে প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। জাতিসংঘ এ তথ্য দিয়েছে।
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর ওই অভিযানে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল হয়ে থাকতে পারে বলে জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মিয়ানমারের অভিযোগ, বিদেশি জঙ্গিরা ৯ অক্টোবরের হামলায় রোহিঙ্গাদের সাহায্য করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ গত বছর এক প্রতিবেদনে বলেছে, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সঙ্গে ওই হামলাকারীদের যোগসাজশ ছিল।
রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব ধরনের অভিযোগ মিয়ানমারের সরকার অস্বীকার করেছে। দেশটির নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী নেত্রী অং সান সু চিও একই অবস্থান নিয়েছেন।
এটাও পড়তে পারেন
ইদলিবের মাধ্যমেই সিরিয়ার বিজয় সুচিত হবে ইনশাআল্লাহ!
ইদলিবে শিয়া মুনাফেক রুশ কাফেরদের এক কথায় তুলাধুনা চলবে……. প্রস্তুত তুরস্কের নৌবাহিনী সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী। ইতিমধ্যেই ...