ফ্রান্স থেকে ফাহিম বদরুল হাসান : পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন সন্তানদেরকে অবশ্যই কুরআন শিক্ষা দিতে হবে। নতুন প্রজন্মের কাছে সহীহ শুদ্ধ কুরআনকে তুলে ধরার লক্ষ্যে ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাচ্চারা কুরআনের প্রতি উৎসাহী হবে বলে গত শুক্রবার প্যারিসের মেট্রো হুশের সিটি জিক হলে অনুষ্ঠিত মাল্টিকালচারাল এসোসিয়েশন’র উদ্যোগে ইউরোপিয়ান কিরাআত প্রতিযোগিতার ফাইনাল এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
প্যারিসের অদূরে মারসাইসহ ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি শহরে প্রতিযোগিতা শেষে গত শুক্রবার প্যারিসে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, আলজেরিয়া, মরোক্কো, মালি, সেনেগাল সহ দশটি দেশের শিশু কিশোরসহ ফ্রান্সের বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমসিএ প্রতিযোগিতার কো-অরডিনেটর ফাহিম বদরুল হাসানের মনোমুগ্ধকর পরিচালনায় এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক বদরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন কমিউনিটির অডিশন রাউন্ডে বিজয়ী মোট বিশ জন ফাইনালিস্টদের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা হয়। এতে বিচারক হিসেবে ছিলেন শায়খ উমর, হাফিয মাওলানা মুহিবুল্লাহ হিলাল, হাফিয মইন উদ্দিন।
প্রতিযোগিতা শেষে অত্যন্ত জমকালো আয়োজনে প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ এবং এমসিএ স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি ডঃ সালেহ আহমদ চৌধুরী, আমি ভয়াজের চেয়ারম্যান এস এইচ হায়দার, এনআরবি ওয়েলফেয়ার এর সভাপতি ডঃ আব্দুল মালেক ফরাজী, ঢাকা বিভাগ এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহজাহান সারু, প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সামসুল ইসলাম, কমিউনিটি নেতা শামীম মোল্লাহ,হাইল পাওটয়ারি, মাওলানা কাওসার আহমদসহ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। সভায় বক্তারা বলেন, ফ্রান্সে বেড়ে উঠা ছেলে- মেয়েদের ইসলামী শিক্ষায় আরো বেশি করে আগ্রণী, সঠিক নিয়মে নামাজ, কোরআন তেলাওয়াতসহ ইসলাম সম্পর্কে জানতে এধরনের প্রতিযোগিতা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তারা বলেন, এ বিশেষ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুরা ইসলামি মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারে। তারা এর মাধ্যমে সকল অন্যায় ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকে।