কশামিসা অনলাইন ডেস্ক : ভারতের বিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ জাকির নায়েকের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোতে দিনের পর দিন তল্লাশি আর তদন্তের নামে হয়রানি করে চলেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তার ওয়েবপেজ থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ ক্রমান্বয়ে সব কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ভারতে। হেনস্থার স্বীকার হতে হয়েছে তার পরিবারের সদস্যদেরও।
কিন্তু এবার মুখ খুললেন জাকির নায়েক। তার দাবি, শুধু মুসলিম বলেই এত হেনস্থা করা হচ্ছে তাকে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম আজকালের। সম্প্রতি বেআইনি কাজকর্মে যুক্ত থাকার ঠুনকো অভিযোগে জাকির নায়েকের সংস্থা ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’কে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। সেই প্রসঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠিতে জাকির নায়েক বলেন, অনেকে বলেন, আমি নাকি মুসলিম পরিচয় ভাঙিয়ে খাই। ব্যাপার যাই হোক না কেন, সাম্প্রদায়িক কারণেই মূলতঃ আমার সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। একবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হল না কেন? আসলে তদন্ত শুরু হওয়ার ঢের আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গিয়েছিল। আমি যে মুসলিম! সাধ্বী প্রাচী, যোগী আদিত্যনাথ, রাজেশ্বর সিংরা তো প্রায়ই সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেন। কই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না তো! নেবে কী করে! তাতে যে রাজনৈতিক স্বার্থ লুকিয়ে আছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুধুমাত্র ভারতীয় মুসলিমদের ওপরই নয়, দেশের শান্তি, গণতন্ত্র এবং বিচারব্যবস্থার ওপর আঘাত হানা হয়েছে। তবে আমিও হার মানছি না। দরকার হলে আইনি পথে যাব।
জাকির নায়েক আরও লিখেছেন, নোট বাতিলের ব্যর্থতা থেকে সংবাদমাধ্যমের নজর ঘোরাতেই ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে গুটি হিসেবে বেছে নিয়েছে সরকার। জুলাই মাস থেকেই জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। বিদেশি অনুদানের টাকা লোপাট এবং সন্ত্রাসবাদে প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে সংস্থাটিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তদন্ত শুরুর অনেক আগেই দেশ ছাড়েন জাকির নায়েক। ৩০ অক্টোবর বাবা আব্দুল কে নায়েকের মৃত্যুর খবর পেয়েও দেশে ফিরতে পারেন নি তিনি।
সূত্র: আজকাল, ইন্ডিয়া