অনলাইন ডেস্ক :: তাঁর পুরো জীবনটাই ছিল সংগ্রামে ভরপুর। তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা। ৯০ বছর বয়সে সেই সংগ্রামী ফিদেল কাস্ত্রোর জীবন অবসান হলো, আজ শনিবার। বর্ণাঢ্য জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে তাঁকে। হয়েছেন নন্দিত, কখনো নিন্দিতও। বান্ধব যেমন মিলেছে, শত্রুও কম জোটেনি ফিদেলের জীবনে। তাঁকে নিয়ে এসব শত্রু-মিত্রের নানা কথা তুলে ধরা হলো:
‘কাস্ত্রো শুধু লাতিন আমেরিকার আরেক স্বৈরাচারীই নন। তিনি এক ছোট অত্যাচারী, যিনি নিজের ক্ষমতা ও লাভের জন্যই সবকিছু করেন। তাঁর উচ্চাশা নিজ এলাকা ছাড়িয়ে অন্যত্রও বিস্তৃত হয়েছে।’—সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, ১৯৬২ সালে কথাগুলো বলেন। ‘দ্য কোটেবল মি. কেনেডি’ বই থেকে নেওয়া।
‘আমার কাছে ফিদেল কাস্ত্রো একজন গ্র্যান্ড মাস্টার। এই মহান জ্ঞানীর কোনো দিন মৃত্যু হবে না। ফিদেলের মতো মানুষের কখনো মৃত্যু হয় না। কারণ, তিনি সব সময় মানুষের অংশ হয়ে থাকবেন।’—ভেনিজুয়েলার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ, ২০০৭ সালের এক ভাষণে।
‘কাস্ত্রো ক্ষমতায় আসার আগে হার্বার্ট ম্যাথিউজের (নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদক) একটি প্রতিবেদন পড়েছিলাম। সেখানে কাস্ত্রোকে গণতন্ত্রী ও কিউবার আশার আলো বলে চিত্রিত করা হয়েছিল। এমনকি আমাদের আশপাশের কেউ কেউ তাঁকে কিউবার জর্জ ওয়াশিংটন বলে আখ্যায়িত করছিলেন। জর্জ কবরেও এ কথা শুনে আঁতকে উঠেছিল।’—সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, ১৯৮৬ সালের ৫ মার্চের এক ভাষণে।
‘অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিপ্লবে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে আমার বেশি সময় লাগেনি। তবে ফিদেল আমার কাছে এক অন্য রকম মানুষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। আমরা যখন মেক্সিকোর উদ্দেশে কিউবা ত্যাগ করলাম, তখন ফিদেলের অভাবনীয় বিশ্বাস ছিল, আমরা আবার ফিরব। তাঁর বিশ্বাস ছিল, আমরা ফিরব, আবার লড়ব, আমরা বিজয়ী হব। কান্না বন্ধ করে লড়াই চালিয়ে যাও।’—আর্নেস্তো চে গুয়েভারা, ১৯৫৫ সালে তাঁর বাবা-মাকে লেখা চিঠিতে।