ভারতীয় মুসলিম সমাজে প্রচলিত তিন তালাক পদ্ধতি নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তাতে এবার মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উত্তরপ্রদেশে এক জনসভায় এই পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন তিনি। ভারতের সরকার সুপ্রিম কোর্টেও তিন তালাকের বিরোধিতা করেছে এবং তিন তালাক নিয়ে একটি জনমত যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির আইন কমিশন।
তবে ভারতে মুসলিমদের শক্তিশালী সংগঠন অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল বোর্ড এক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করছে।
কিন্তু তিন তালাকের প্রশ্নে ভারতে মুসলিম সমাজে সত্যিই কি নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে?
গবেষক সাবির আহমেদ বলছেন তিন তালাক নিয়ে এ বিতর্ক ভারতের মুসলমানদের বড় অংশের মধ্যে নেই। এটা খুবই শহর কেন্দ্রিক অ্যাকটিভিজম বলে তিনি বর্ণনা করেন। মি: আহমেদ মনে করেন এটা সবার কণ্ঠস্বর নয়।
তিন তালাকের বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোচ্চার হবার হবার পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে মি. আহমেদের ধারনা।
সামনের বছর ভরতের উত্তর প্রদেশের রাজ্য বিধান সভার নির্বাচন। উত্তর প্রদেশের মুসলিম নারীদের ভোট পাবার জন্য মি. মোদী তিন তালাকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।
নরেন্দ্র মোদী যদিও বলেছেন তিনি মুসলিম সমাজের নারীদের ভালো করার জন্যই এ কথা বলছেন। কিন্তু এ নিয়ে অনেকের মাঝেই সন্দেহ আছে।
গবেষক মি. আহমেদ বলেন, “এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে ভারতের মুসলিম নারীদের জন্য। শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে তারা বহু পিছিয়ে আছে। এসব বিষয়ে যথেষ্ট করা হচ্ছে না । অথচ এগুলোর (তিন তালাক) উপর জোর দেয়া হচ্ছে।”
তিনি বলেন ভারতের সমাজে মুসলমানরা এমনিতেই পিছিয়ে আছে। তাদের মধ্যে মুসলমান নারীরা আরো বেশি পিছিয়ে।
মুসলমান নারীদের জন্য সত্যিকারের উন্নয়ন করতে হলে তাদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের প্রতি জোর দিতে হবে বলে মি. আহমেদ উল্লেখ করেন।
সূত্র: বিবিসি