রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ১:০৯
Home / অনুসন্ধান / অক্টোপাসে ঘেরা বেফাক!

অক্টোপাসে ঘেরা বেফাক!

বেফাকের জনক আল্লামা আতহার আলী এবং রূপকার হাজি ইউনুস রহ.

%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%95-01বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাসমূহের শিক্ষার মান উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি সাধন এবং কোরআন-হাদীসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় জাগতিক শিক্ষার সমন্বয় সাধনের মহান ব্রতে উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলনের পথিকৃত আল্লামা আতহার আলীই সর্বপ্রথম কওমী মাদরাসার জন্য একটি শিক্ষাবোর্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। অনুভূত সে প্রেরণার বহিপ্রকাশই বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের জন্ম। সময়ের পটপরিবর্তনে সে বেফাকের সার্থক রূপকার আল্লামা হাজি ইউনুস। দিবালোকের মত জীবন্ত সত্য এই বাস্তবতাকে আড়াল করার জন্য কোনো কোনো স্বার্থপর মহল থেকে রূপকথার গল্প শোনা যায় আজ, যা সর্বৈব মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জোর দিয়ে দাবি করেন শিক্ষক ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ।

গত ১৭ অক্টোবর বেফাক আহূত ওলামা সম্মেলনে আল্লামা আতহার আলীর সন্তান মাওলানা আনোয়ার শাহের সাথে দুরাচার কর্তৃক নেক্কারজনক আচরণের প্রতি ঘৃণা ও নিন্দা জানিয়েছে কওমী মাদরাসা শিক্ষক ফেডারেশন।

সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের মুরব্বিদের হাতে গড়া আলোর মিনার বেফাক আজ অক্টোপাসে ঘেরা। শিক্ষক ফেডারেশন বহুদিন আগে থেকেই বেফাককে অনিয়ম মুক্ত, বিশেষ একটি চিহ্নত মহলের রাজনৈতিক মতাদর্শ চর্চার কেন্দ্র বানানো থেকে রক্ষা করার দাবি জানিয়ে আসছে। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে স্পর্শ কাতর সে বিষয়গুলো বেফাক কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার পরও অদ্যাবধি সুরাহা হয়নি। পক্ষান্তরে অনেকেই বাঁকা চোখেই দেখেছেন শিক্ষক ফেডারেশনকে সে কারণে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় বেফাক সংস্কারের দাবিতে প্রকাশ্যে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জে আনোয়ার শাহের আহ্বানে। কিশোরগঞ্জ সম্মেলন থেকে যে দাবি উত্থাপন করা হয়েছে সে দাবির সঙ্গে শিক্ষক সফেডারেশন সম্পূর্ণরূপেই একমত।

আরো মজার ব্যাপার হলো নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে আমরা জানতে পেরেছি, ২৩ অক্টোবর রাতের বেলা বেফাকের কিছু সংখ্যাক উর্ধ্বতন দায়িত্বশীল বেফাক অফিসে হানা দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে সাংঘাতিকভাবেই উত্তেজিত হয়েছেন এবং বেফাক থেকে মৌমাছির মতো রেনু আহরণে ব্যস্ত ওই দুষ্টচক্রের অপকর্মের কঠোর প্রতিবাদ জানান। তারা আরো বলেন, সারাদেশ থেকে বেফাকের রসদ আসা বন্ধ হলেই ওরা এমনিতেই কেটে পড়বে। সুতরাং উপরের বিবরণ থেকেই বোঝা গেল শিক্ষক ফেডারেশনের দীর্ঘদিনের উত্থাপিত অভিযোগই শতভাগ সত্য এবং অলংঘনিয়।

শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারীর সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত পর্যালোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মাওলানা হেদায়েত কবির, মহাসচিব মুফতী কামরুল ইসলাম ভূইয়া, অর্থসচিব মাওলানা মুমিনুল ইসলাম, প্রচারসেল প্রধান পীরজাদা ছৈয়দ মুহাম্মদ আহসান ও ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ইমদাদ হুসাইন সাকী প্রমুখ।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...