তুরস্কের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী যুবক ‘তাহা আসলান’ মাত্র সাড়ে আট মাসে পবিত্র কোরআনের ত্রিশ পারা মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন।
তাহা আসলান তুরস্কের কুটাহিয়া শহরের বাসিন্দা। অদম্য ইচ্ছা আর কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে তিনি মাত্র সাড়ে আট মাসে সম্পূর্ণ কোরআন হেফজ (মুখস্থ) করতে সক্ষম হয়েছেন। তার বয়স মাত্র ২০ বছর।
তাহা কুটাহিয়ার একটি আবাসিক হাফেজিয়া মাদরাসয় ভর্তি হয়ে ব্রেইল পদ্ধিতে কোরআন পড়া শেখেন এবং ব্রেইল পদ্ধতির সহায়তায় বিরাট এ সাফল্য অর্জন করেন।
তাহা’র সাফল্যের জায়গাটা অন্যত্র। তিনি মাদরাসার নিয়মিত ছাত্র নন। তিনি শিক্ষা জীবন সাধারণভাবে শুরু করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্নাতকে ভর্তির অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় তার ইচ্ছা জাগে কোরআন শেখার। চলতি বছরের (২০১৬) মার্চ মাসে তিনি হেফজ মাদরাসায় ভর্তি হয়ে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে তিনি কোরআন মুখস্থ করে শেষ করেন।
তাহা’র এমন সাফল্যে খুশি তার পরিবারের লোকেরা।
পবিত্র কোরআন হেফজ করার বিষয়ে তাহা বলেন, আমি প্রতিদিন পবিত্র কোরআনের ৩-৪ পৃষ্ঠা করে মুখস্থ করতে থাকি। পরে দেখি কীভাবে কীভাবে যেন সাড়ে আট মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করা শেষ হয়ে গেছে। আমি কোরআন মুখস্থ করা নিয়ে খুব কষ্ট করিনি। আসলে আল্লাহর রহমতে আমি কোরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছি।
কোরআন হেফজ শেষে তাহা আসলান এখন কুটাহিয়ার ডুমিলু পিয়ানার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব বিভাগে অধ্যয়ন করছেন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এ হাফেজের ইচ্ছা, স্নাতক শেষ করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বর্ণমালায় ইসলাম বিষয়ক প্রয়োজনীয় কিছু বই লেখা।
নভেম্বর মাসে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করবে।