যেসব আলেম নামধারী-গান্ধাবাদী এজেন্ট সরল-সহজ ছাত্র-শিক্ষককে বোকা বানিয়ে বেফাক ভোগ দখল করছে—তাদের দ্রুত চিহ্নিত বহিষ্কার করতে হবে। কওমী মাদরাসা সুরক্ষা আন্দোলনের নেতা মুফতি আবদুর রহমান রবিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা ও পার্শবর্তী এলাকার বিভিন্ন মাদরাসার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা দেওবন্দের জিগির তুলে মুখে ফেনা আনে, অথচ তারাই দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতার নাতি মাওলানা কারী মুহাম্মদ তৈয়্যবকে নিজ হাতে গুলি করেছিলো। এদের বংশধরেরাই ১৯৬৭ সালে বেফাকের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা আতহার আলীর সন্তান ও বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। অবিলম্বে বেফাককে সংস্কার করতে হবে। রাজনীতি মুক্ত করতে হবে। দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। অন্যথায় কোনো মাদরাসা বেফাককে চাঁদা, পরীক্ষার ফি ও বইয়ের মূল্য বাবদ এক পয়সাও দিবে না।
মুফতি আবদুর রহমান আরো বলেন, গুঞ্জন উঠেছে বেফাক ভেঙে যাবে। তাদের কথা ঠিক নয়। কারণ, শাহ সাহেবের সঙ্গে মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহমুদুল হাসানের আহ্বানে ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ দেশের মূলধারার সকল মাদরাসা প্রধান এখন ঐক্যবদ্ধ। সময় হলেই তারা বেফাককে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিবেন। কুচক্রী মহল যতোদ্রুত সরে যাবে ততোই মঙ্গল। নতুবা নিজেদের অর্থ ও ত্যাগে গড়া বেফাককে দখলদারদের ভোগের জন্য ছেড়ে না রেখে মুরব্বিগণ যেকোনো উদ্যোগ নিতে বাধ্য হবেন।