ফারিদ আহমদ রেজা:
কাশ্মীর এবং ফিলিস্তিন প্রায়ই বিশ্বমিডিয়ার সংবাদ শিরোনাম হয়। জ্ঞান হবার পর থেকেই এটা দেখে আসছি। কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তান এবারই প্রথম মুখোমুখি দাঁড়ায়নি। এর বীজ বৃটিশ রোপন করে গেলেও ভারত-পাকিস্তান এবং তাদের সুহৃদ রাষ্ট্রগুলো [ আসল ও নকল, উভয়ই] সে বীজে সার এবং পানি ঢালছে। নতুন করে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে এবং তা দীর্ঘমেয়াদী হলে এর পরিণতিতে ভারত টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। আমার মনে হয়, এ কারণে পাকিস্তান চাইলেও ভারত যে কোন মূল্যে যুদ্ধ এড়াতে চাইবে।
সত্যি কথা হচ্ছে, ভারতবর্ষ কখনো দীর্ঘদিন একতাবদ্ধ থাকেনি। যুদ্ধ এবং বিদ্রোহ এর ইতিহাসের অংশ। আমার মতে, ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে ভারতীয় ইউনিয়নে পরিণত হলে ভারতীয় উপমহাদেশে অবস্থিত বর্তমান এবং ভবিষ্যত রাষ্ট্রসমূহ সে ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত হয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
সমস্যা হচ্ছে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চললেও একটি ব্যাপারে ভারত ও পাকিস্তান ঐকমত্য পোষণ করে। দু দেশের কেউ-ই কাশ্মীরকে স্বাধীন একটি দেশ হিসেবে দেখতে চায় না। কাশ্মীর ভারতের সাথে যোগ দিবে না পাকিস্তানে যোগ দেবে, পাক-ভারত বিরোধের মূল বিষয় এখানে।
অথচ উপমহাদেশের মানচিত্রে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে কাশ্মীরের অভ্যূদয়ের মধ্যে উপমহাদেশের রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক পরিবর্তনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে আমাদের বহু মত আছে। তা নিয়ে আমরা বিতর্ক করতে পারি। ভারত ও পাকিস্তানের মতো লড়াই করতে পারি। প্রশ্ন হচ্ছে, কাশ্মীরের জনগণ কী চায়? তারা কি ভারতে যোগ দিতে চায়? না কি পাকিস্তানের সাথে বিলীন হয়ে যেতে আগ্রহী?
এর জবাব আমরা জানি না। কারণ সে সুযোগ কখনো কাশ্মীরের জনগণকে দেয়া হয়নি।
Komashisha