আসসালামু আলাইকুম…
মা নাহিদ! আমার আন্তরিক দোয়া নিও। পত্রে তুমি যে পরিচয় দিলে, তা জানার পরই তোমাকে ‘তুমি’ সম্বোধন করতে প্ররোচিত হয়েছি। কারণ, তুমি বয়েস আমার বড় মেয়ের সমসাময়িক। আশা করবো,আমার এ দুঃসাহস তোমাকে ব্যথিত করবে না।
পত্রে তোমার যে সংকল্পের কথা ব্যক্ত হয়েছে,তা আমাকে শুধু মুগ্ধ করেনি,বরং উদ্বেলিত করেছে।
একজন সচেতন,শিক্ষিতা, এবং দ্বীনের প্রতি অনুগতা মহিলা তুমি। নিশ্চয় লক্ষ্য করেছ,ইদানিং এক শ্রনীর শিক্ষিতা মহিলা এ দেশের হতভাগা মুসলিম জনতার ঈমান-আখলাক ধ্বংস করার জন্য কি দুঃসাহসের সাথেই না ময়দানে চষে বেড়াচ্ছে। অথচ এরা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছে।
কে না জানে যে, শিশু ইসলামকে বুকে নিয়ে লালন করেছিলেন উম্মতের মা হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রা)। ইসলামের জন্য প্রথম প্রাণ দিয়েছিলেন আমাদেরই আরেক মা হযরত সুমাইয়া (রা)। আমার মনে হয় আজ আমাদের মা-বোনদের মধ্যে সেই ধরনের চেতনা সম্পন্ন কিছু কলম সৈনিকের প্রযোজন দেখা দিয়েছে। সময়ের এ দাবী যাতে তুমিও পূরণ করতে এগিয়ে আসতে পার, সে জন্য আমার আন্তরিক দোয়া এবং সার্বিক সহযোগীতা সর্বাক্ষণ নিবেদিত থাকবে।
মাসিক মদীনা ছাড়াও সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান নামে আর একটি পত্রিকা আমরা প্রকাশ করি। সুতরাং এখন অনুশীলনের ময়দান অনেকটা প্রশস্ত। যদি তোমাদের সহযোগীতা পাই,তবে শুধু মেয়েদের জন্যই আমি আরেকটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করার চেষ্টা করব।
কবিতা মা (লেখিকা কবিতা সুলতানা) তোমার মতোই আমার কুড়িয়ে পাওয়া একটি মেয়ে। সে কুষ্টিয়াস্থ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। ইতিহাস বিষয়ে অনার্স পড়ছে। মেয়েটিকে আমি গড়ে তুলার চেষ্টা করছি। আশা করছি,সে আমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে অনেকটা সক্ষম হবে। তুমি বিনা দ্বিধায় লেখা পাঠাও। আমি তোমাকে প্রযোজনীয় পরামর্শ দিবো। লেখা সংশোধন করে হলেও ছাপাতে চেষ্টা করবো।
তবে একটা কথা স্মরন রেখো, মানোত্তীর্ণ লেখা তৈরি করার জন্য প্রচুর ধৈর্য্যহারা বা নিরুৎসাহিত হলে চলবে না। তুমি আল্লাহর দ্বীনের জন্য লিখবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত বা প্রকাশ করার জন্য মোটেও নয়।
তোমার জন্য একটা সামান্য উপহার পাঠানো হলো। সদ্য প্রকাশিত আমার একটা বই। গ্রহন করলে খুশি হব। আল্লাহ পাক তোমার দুনিয়া আখেরাত শান্তাময় করুন।
বিনীত
মুহিউদ্দীন খান
৮/১০/১৯৯৩ইংরেজী
সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে; ১৮-০৯-২০১৬