অস্ট্রেলিয়ার নিউপোর্ট শহরে ইসলামি স্থাপত্যের নতুন সংস্করণ এবং অমুসলিমদের আকৃষ্ট করার জন্য ভিন্ন আর্কিটেকচারে একটি মসজিদ নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই অনন্য মসজিদের ছাদে রঙ্গিন কাচ দ্বারা মসজিদের ভেতর আলো পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এই মসজিদটি আধুনিক স্থাপত্য এবং অমুসলিমদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
মসজিদটি ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান নেতৃস্থানীয় আর্কিটেক্ট ‘গ্লেন মুরক্যাট্টি’।
মুরক্যাট্টি‘র স্থাপত্যে নির্মিত এই মসজিদটির মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাটিতে আলো প্রেরণ করা। বড় ত্রিভুজাকৃতির স্কাইলাইটটি ঐতিহ্যবাহী ইসলামি স্থাপত্যের মোজাইক নিদর্শন থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
দিনে সূর্য পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ধাবিত হওয়ার সময় ত্রিভুজাকৃতির স্কাইলাইটে সূর্যের আলো পড়ার কারণে মসজিদের ভিতরে এক এক সময় ভিন্ন ভিন্ন রং পরিলক্ষিত করা যাবে। মসজিদের ভিতরে বেহেশতি রং দেখানোর জন্য সকালে হলুদ রং, দুপুরে নীল রং (আকাশের রং) ও সবুজ রং (প্রকৃতির রং) এবং বিকালে লাল রং-এ (শক্তির প্রতীক) পরিবর্তন হবে।
মসজিদের ভিতরের পরিধি ১২০০ মিটার। আট মিটার উঁচু কংক্রিটের দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে কাচের দেওয়াল শোভা পেয়েছে।
মসজিদের পাশেই অডিটোরিয়াম, ইসলামিক স্টাডিজের জন্য লাইব্রেরী, ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্টও নির্মাণ করা হয়েছে।
এই মসজিদটির ডিজাইনের ক্ষেত্রে মুরক্যাট্টি সহায়তা করেছে মেলবোর্নের ডিজাইনার হ্যাকেন ইলুলি। হ্যাকেন এ সম্পর্কে বলেন: অটোমান অথবা আরবি আর্কিটেকচারের নির্মিত মসজিদের ডিজাইন থেকে এই মসজিদটির ডিজাইন করা হয়নি। এই মসজিদটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল,অস্ট্রেলিয়ার নতুন মুসলমান এবং অমুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে একটি মসজিদ নির্মাণ করা।
হ্যাকেন বলেন, মুরক্যাট্টির উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র একটি সুন্দর মসজিদই নির্মাণ করা ছিল না। এই প্রকল্পের বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে এবং এই কারণে এ মসজিদটি নির্মাণ করতে দশ বছর লেগেছে।
তিনি বলেন, এই মসজিদটি ইসলাম বিদ্বেষীদের মোকাবেলা করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। মুসলমানদের পাশাপাশি অমুসলিমরাও অতি সহজভাবে মসজিদটি পরিদর্শন করতে পারবে।
সূত্র: ইকনা