শুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ১১:৪২
Home / আমল / আল্লাহর হুকুম মানতে পারার জন্যে দোয়া করা

আল্লাহর হুকুম মানতে পারার জন্যে দোয়া করা

silent-duaعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : لَمَّا نَزَلَتْ عَلَى رَسُول الله ﷺ  :  ﴿ لِّلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ﴾ الآية [البقرة: ٢٨٤]   اشْتَدَّ ذلِكَ عَلَى أصْحَابِ رَسُولِ الله ﷺ، فَأتَوا رَسُولَ الله ﷺ ثُمَّ بَرَكُوا عَلَى الرُّكَبِ، فَقَالُوا : أيْ رسولَ الله، كُلِّفْنَا مِنَ الأَعمَالِ مَا نُطِيقُ: الصَّلاةَ والجِهَادَ والصِّيامَ والصَّدَقَةَ، وَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيْكَ هذِهِ الآيَةُ وَلا نُطيقُها. قَالَ رَسُول الله ﷺ: «أتُرِيدُونَ أنْ تَقُولُوا كَمَا قَالَ أَهْلُ الكتَابَينِ مِنْ قَبْلِكُمْ: سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا ؟ بَلْ قُولُوا سَمِعنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ المَصِيرُ» فَلَمَّا اقْتَرَأَهَا القومُ، وَذَلَّتْ بِهَا ألْسنَتُهُمْ أنْزَلَ اللهُ تَعَالَى في إثرِهَا : ﴿ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥﴾ [البقرة: ٢٨٥]  فَلَمَّا فَعَلُوا ذلِكَ نَسَخَهَا اللهُ تَعَالَى، فَأنزَلَ الله – عز وجل – : ﴿لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ ﴾ [البقرة: ٢٨٦]  قَالَ : نَعَمْ ﴿ رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ ﴾ قَالَ : نَعَمْ ﴿ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ ﴾ قَالَ : نَعَمْ ﴿ وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢٨٦﴾ قَالَ : نَعَمْ .

অর্থ : আবু হোরায়রা রা. বলেন— যখন রাসূলুল্লাহ স.-এর ওপর এই আয়াত অবতীর্ণ হলো— আকাশমণ্ডলী ও ভূমণ্ডলের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তার সবই আল্লাহর মালিকানাধীন। যদি তোমরা তোমাদের মনের কথা প্রকাশ করো অথবা তা গোপন করো, আল্লাহ তোমাদের থেকে তার হিসাব গ্রহণ করবেন। [সূরা বাক্বারাহ ২৮৪ আয়াত]

তখন রাসূলের স. সাহাবিদের জন্য বিষয়টি খুবই কঠিন মনে হলো। তাই তারা রাসূলের স. কাছে এলেন এবং হাঁটুর উপর ভর দিয়ে বসে বললেন— হে আল্লাহর রাসূল, আমরা এমন অনেক কাজের আদিষ্ট হয়েছি, যা করা আমাদের ক্ষমতাধীন; (যেমন) নামাজ, জিহাদ, রোজা ও সদকা। আর এই যে আয়াত আপনার ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা আমাদের ক্ষমতার বাইরে।

রাসূলুল্লাহ স. বললেন— তোমরা কি তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাব অর্থাৎ ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের মতো বলতে চাও যে, ‘আমরা শুনলাম এবং অমান্য করলাম?’ বরং তোমরা বলো, ‘আমরা শুনলাম ও মান্য করলাম। হে আমাদের প্রতিপালক। আমরা তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তোমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবো।’

সুতরাং যখন লোকেরা আয়াতটি পড়লো এবং তাদের জিভে সেটি পঠিত হতে থাকলো, তখন আল্লাহ তায়ালা তারপর এই আয়াতটি অবতীর্ণ করলেন— রাসূল তার প্রতি তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে সে বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং বিশ্বাসীগণও। সকলে আল্লাহ, তার ফেরেশতা, তার কিতাবসমূহ এবং তার রাসূলগণের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। (তারা বলে,) ‘আমরা তার রাসূলগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না।’ আর তারা বলে, ‘আমরা শুনলাম ও মান্য করলাম, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার ক্ষমা চাই, আর তোমারই দিকে (আমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে।’ [সূরা বাক্বারা ২৮৫ আয়াত]

যখন তারা এ কাজ করলেন, তখন পূর্ববর্তী আয়াতটি আল্লাহ তায়ালা রহিত করে দিলেন। এরপর অবতীর্ণ করলেন— আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করেন না। যে ভালো উপার্জন করবে সে তার (প্রতিদান পাবে) এবং যে মন্দ উপার্জন করবে সে তার (প্রতিফল পাবে)। হে আমাদের প্রতিপালক, যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি, তাহলে তুমি আমাদেরকে অপরাধী করো না।’ আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ । (তারা আরও বলে,) ‘হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না।’ আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ । (তারা বলে,) ‘হে আমাদের প্রতিপালক, এমন ভার আমাদের ওপর অর্পণ করো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।’ আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ । (তারপর তারা বলে,) ‘আর তুমি আমাদের ক্ষমা  করো, আমাদের পাপ মোচন করো এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমি আমাদের অভিভাবক। অতএব সত্য প্রত্যাখ্যানকারী (কাফের) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের (সাহায্য ও) জয়যুক্ত কর।’ আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ ।

[সহিহ মুসলিম, হাদিস ১২৫]

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

আধ্যাত্মিকতা

ডক্টর আব্দুস সালাম আজাদী:: আধ্যাত্মিকতা **************** রুহানিয়্যাত বা আধ্যাত্মিকতা ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মূল ...