লাবীব আব্দুল্লাহ : আগামী সপ্তাহে কওমী মাদরাসাগুলোতে ভর্তি শুরু হবে৷ দেশে চলছে গুলশান শোলাকিয়ার বর্ববরতা৷ জঙ্গিপনা৷ সন্ত্রাস৷ বিভ্রান্ত যুবশক্তিকে আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এই বরবর্তার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই৷ সম্পর্ক নেই দীনি শিক্ষার সাথে৷ তবে কওমী মাদরাসার কিছু বিভ্রান্ত শিক্ষক বা কিছু বিপথগামী ছাত্র কথায় কথায় আফগান ইরাক সিিরিয়ার কথা বলে জেহাদিস্ট হবার কথা বলে৷
সেইসব দেশে সাম্রাজ্যবাদীরা জুলম করছে এবং তারা প্রতিরোধ যুদ্ধ করছে৷ দেশ মুক্ত করার চেষ্টা করছে৷ এইসবের সাথে আন্তর্জাতিক রাজনীতি জড়িত, অর্থনৈতিক বিষয় জড়িত৷ কিন্তু বাংলাদেশকে আফগান বানানো বা সিরিয়া বানানো বা ইরাক বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে৷ গুলশান হামলা এবং শোলাকিয়া প্রাথমিক ধাপ৷
অ্রাজকতা সৃষ্টি করে বিদেশীরা তাদের স্বার্থ উদ্বার করতে চায়৷
এই ক্ষেত্রে জেহাদের কথা বলা অহেতুক৷ জেহাদ গিনিপিগ৷
দুই
দেশে এক সময় হরকাতুল জেহাদের তৎপর্তা ছিলো৷ সেটিও বিতর্কিত ভূমিকার কারনে বিলুপ্ত৷ নিষিদ্ধ৷ বিদেশী গোয়ান্দারা এইসব সংগঠন সৃষ্টি করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে৷ খেলার গুটি হয়েছে কিছু নাবালক চিন্তার লোক৷ কিছু মানুষ জেলখানায়৷ কিছু চিন্তায় পঙ্গু৷
তিন
মাদরাসা শিক্ষা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কবলে৷ জেহাদের কথা বলে জঙ্গী বানিয়ে, জঙ্গিবাদের অপবাদ দিয়ে মাদরাসাগুলো বন্ধ করতে চাচ্ছে৷ এই ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে কেউ কেউ৷ ইসলামের সব কিছু বাদ দিয়ে কিতাবুল জেহাদকেই একমাত্র কাজ মনে করছে৷
মাদরাসা কর্তপক্ষকে এইসব ষড়যন্ত্রের গভীরতা বোঝতে হবে৷
প্রস্তাবনা:
* ভর্তির সময় পরিচয়পত্র ও ছবি সংরক্ষণ করা৷
* জঙ্গি সন্দেহ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া
* মাদরাসায় কোনো গোপন সংগঠন করে কি না তার প্রতি সতর্ক নজর রাখা
* অভিভাবকদের তথ্য জানানো
* জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানসিক তরবিয়াহ করা
* জেহাদ সন্ত্রাসের পার্থক্য বোঝিয়ে দেওয়া
* মাদরাসায় অপরিচিত কাউকে অবস্থান না করতে দেওয়া
* সন্দেহ পূর্ণ অর্থ গ্রহণ না করা
* মাদরাসাগুলোর পরস্পরে তথ্য আদান প্রদান করা
* প্রতিটি জেলার মাদরাসাগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া৷
* দেশপ্রেম ও উম্মাহপ্রেমে তালেবে ইলমকে উৎসাহিত করা৷
* কথিত জেহাদী ভিডিও দেখতে নিষেধ করা
*তালেবে ইলমকে যুগসচেতন আলেম হিসেবে গড়ে তোলা৷
মাদরাস ইলম চর্চার জায়গা৷ এটি সামরিক ঘাটি নয়৷