বাংলাভাষী একদল লোক কয়েক বছর ধরে অনলাইনে-অফলাইনে ইমাম আবু হানিফাকে “মুশরিক”, হানাফি মাযহাব কে “হাপানি ধর্ম”, আশরাফ আলী থানভীকে “কাফের”, তাবলীগকে “ইলিয়াসের স্বপ্নধর্ম”, আহমদ শফীকে মুশরিক,
“চোরকে ধরার মতো পীরকে ধরা ফরয” ইত্যাদি বলেই যাচ্ছে, উমর আর রাসূলের নামাযে পার্থক্য ধরাচ্ছে, সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি অস্বীকার করতে শেখাচ্ছে; আপনারা ইগনোর করে যাচ্ছেন।
হুজুর হয়ে আধুনিক সাজতে রবীন্দ্রনাথের কোন গানে কত মণ রোমান্স, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কোন কবিতায় কত আঁটি ভালবাসা, কার উপন্যাসে কত জ্বালা- এ নিয়ে বিশদ আলোচনা করে সময় পার করছেন। করুন, অসুবিধা নাই।
কিন্তু যখন এসব কটু ও বিশ্রী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে এবং সত্যকে মেলে ধরতে কিছু মাদরাসা-পড়ুয়ার হাত চলল, মুখ চলল, সাথে সাথে আপনারা মহামানবের রূপ ধারণ করলেন।
বাংলার মুসলিম উম্মাহর এহেন “কামড়াকামড়ি”তে আপনারা হৃদরোগী। এই বিভক্তির ফাঁক দিয়ে হালাকু খাঁর নির্মম অত্যাচারের আশংকায় আপনাদের পেশানিতে ঘাম। মাদরাসার হুজুর/ছাত্রদের তারবিয়াতের ডিটার্জেন ছিটিয়ে ধুচ্ছেন।
মুক্তমনা হুজুর! সস্তা জনপ্রিয়তার নেশা ছেড়ে, সমতার চিন্তা বাদ দিয়ে পারলে সততার কথা বলুন। প্রতিবাদী না হতে পারলে এসব বিষয়ে অন্তত গান্ধীবাদী হতে যায়েন না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেই সার্বজনীন হননি, আপনারা কেন ট্রাই করছেন!
( কমাশিসা প্রতিনিধি প্যারিস)