বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৫:৩৬
Home / অনুসন্ধান / তাক লাগানো আবিষ্কার- এবার কোরআন থেকে ধান গবেষনা!

তাক লাগানো আবিষ্কার- এবার কোরআন থেকে ধান গবেষনা!

আবারো প্রমাণিত হল কোরআন মানব জাতীর সকল সমস্যার সমাধান

59728.jpgসৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ:

বাংলাদেশের যে বিজ্ঞানীকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে এতো মাতামাতি সেখানে বাংলাদেশের মিডিয়ার নিরবতা রহস্য জনক। কুড়িগ্রামের কৃষিবিজ্ঞানী মুমিনুল হক”আল কোরআন এর আলোকে পরিবেশ বান্ধব ধান চাষ” পুরো পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছে। সারা দুনিয়ার বড় বড় কৃষিবিজ্ঞানের গবেষকরা নড়েচড়ে বসেছেন। অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের এই কৃষিবিদের উদ্ভাবন প্রক্রিয়া জানতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ইতোমধ্য অষ্টেলিয়ার কৃষি জার্নালে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। মুমিনুল হকের একটাই উত্তর আমার এই ধান আবিস্কারের উৎস আল কোরআন। যে ধান চাষ প্রদ্ধতিতে প্রতি একর জমিতে চল্লিশ হাজার টাকা খরচ কমবে।

অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস লিডারশিপ কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ১১টি দেশের প্রতিনিধিদের সামনে এই কোরআন থেকে ধান চাষ গবেষনার বাস্তব ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। মমিনুল ইসলাম জানান, পবিত্র কোরআন মজিদ-এর ৩টি আয়াতে বীজ উৎপাদন বিষয়ক ধারণা থেকে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়ে এই গবেষণা শুরু করেন। তিনি এই গবেষণার নাম দিয়েছেন ‘আল- কোরআন’ এর আলোকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ধান চাষ। বিজ্ঞানী মুমিনুল হক বলেন, আল কোরআনে মানব জাতীর সকল বিষয়ের সমাধান আছে তা আবার নতুন করে আমার এই গবেষনা ও কোরআন থেকে উদ্ভাবন প্রমান করল।

إِنَّ اللَّهَ فَالِقُ الْحَبِّ وَالنَّوَىٰ ۖ يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَمُخْرِجُ الْمَيِّتِ مِنَ الْحَيِّ ۚ ذَٰلِكُمُ اللَّهُ ۖ فَأَنَّىٰ تُؤْفَكُونَ
‘নিশ্চয় আল্লাহই বীজ ও আঁটি থেকে অঙ্কুর সৃষ্টিকারী; তিনি জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন ও মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন। তিনি আল্লাহ অতঃপর তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ?’ আল-কোরআন।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে জানান, পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করেই অধিক ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৃষক সমাজকেও উদ্বুদ্ধ করা যাচ্ছে। চলতি বছর তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ২৮ জাতের ধান বপন করে ১ শতক জমিতে ১ মণেরও বেশি উৎপাদন হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ১২০টাকা। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকরা একই পরিমাণ জমিতে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে একই জাতের ১ মণ ধান উৎপাদন করতে ব্যয় করেছেন প্রায় ৫ থেকে ৬শত টাকা। এবার ৬৪ শতক জমিতে মমিনুল ধান চাষ করেছেন।13432408_1724072801214352_5439457155931239639_n

এক হিসাবে দেখা যায়, ১ একর জমিতে অন্যান্য কৃষকের খরচ লাগে প্রায় অর্ধলাখ টাকা। সেখানে মমিনুল ইসলামের পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে চাষ করলে ব্যয় হবে মাত্র ১২ হাজার টাকা। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ধান চাষের সহজ উপায় হলো, বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রথমে শীষসহ ধান বেঁধে সংরক্ষণ করা। এরপর জৈব পদ্ধতিতে বীজতলা প্রস্তুত করা। এজন্য গত বছরের নাড়া চাষের মাধ্যমে ফসফরাস হিসেবে ব্যবহার করা। ধনচা বিচি ছিটিয়ে দেয়া। গরুর গোবর/ প্রস্রাব ইউরিয়া হিসেবে ব্যবহার করা।

এছাড়াও বাড়ির উঠোনের একদিকে গর্ত করে বাড়ির জৈব বর্জ্যগুলো যেমন- সবজি, ডিমের খোসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, হাঁস- মুরগির বিষ্ঠাকে সার হিসেবে সংরক্ষণ করে পরে বীজতলায় ব্যবহার করা। বীজতলা তৈরির জন্য অঙ্কুরিত বীজ পাতলা করে ছিটিয়ে দেয়া। এরপর জমিতে মাত্র একটি করে চারা রোপণ করা। এতে একদিকে যেমন চারার অপচয় রোধ হয়, অপরদিকে চারা গাছ হয় পুষ্ট। এছাড়াও ১টি চারা জমি থেকে যথেষ্ট পরিমাণ খাবার সংগ্রহ করতে পারে। এতে লম্বা ও পুষ্ট দানাদার শীষ হয়। শীষে বেশি পরিমাণ ধান হয়। এভাবে চারা লাগালে জমিতে কী পরিমাণ চারা লাগবে, তার সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়।

وَهُوَ الَّذِي أَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ نَبَاتَ كُلِّ شَيْءٍ فَأَخْرَجْنَا مِنْهُ خَضِرًا نُخْرِجُ مِنْهُ حَبًّا مُتَرَاكِبًا وَمِنَ النَّخْلِ مِنْ طَلْعِهَا قِنْوَانٌ دَانِيَةٌ وَجَنَّاتٍ مِنْ أَعْنَابٍ وَالزَّيْتُونَ وَالرُّمَّانَ مُشْتَبِهًا وَغَيْرَ مُتَشَابِهٍ ۗ انْظُرُوا إِلَىٰ ثَمَرِهِ إِذَا أَثْمَرَ وَيَنْعِهِ ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكُمْ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
‘তিনিই আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন অতঃপর আমি এর দ্বারা সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি, অতঃপর আমি এ থেকে সবুজ ফসল নির্গত করেছি, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করি। খেজুরের কাঁদি থেকে গুচ্ছ বের করি, যা নুয়ে থাকে এবং আঙ্গুরের বাগান, যয়তুন, আনার পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত এবং সাদৃশ্যহীন। বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর যখন সেুগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্কতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয় এ গুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্যে।’
আল-কোআন।
এ পদ্ধতিতে চারাগাছের যত্ন নিলে সহজেই তা আবহাওয়া-উপযোগী পরিবেশে বেড়ে ওঠে। গত তিন বছর থেকে নিরলসভাবে গবেষণা করে দেখা গেছে, জমিতে একটি করে চারা রোপণ করে চারাগাছে ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৩৭টি ধান গাছের জন্ম হয়েছে। এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ডারারপাড় গ্রামে ৪টি প্লটে ৬৪ শতক জমিতে একটি করে চারাগাছ রোপণ করে দেখা গেছে, প্রতিটি চারাগাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫টি ও সর্বনিম্ন ৭টি শীষের জন্ম হয়েছে।

এসব শীষ ছিল গড়ে ১০ইঞ্চি লম্বা এবং শীষে ২০০টির মতো দানা পাওয়া গেছে।

সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে ওই জমি থেকে সংগ্রহ করা ১০০টি শীষ থেকে ধান বের করে ওজন করে পাওয়া গেছে ৩৪৬ গ্রাম। অপরদিকে সার, পানি ও কীটনাশক ব্যবহার করা পাশের জমি থেকে সংগ্রহ করা একই জাতের ২৮ ধানের ১০০টি শীষ থেকে সংগ্রহ করা ধানের ওজন পাওয়া গেছে মাত্র ১৯৩ গ্রাম। তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, তার ১ শতক জমিতে মাত্র ১২০ টাকা ব্যয়ে ২৮ জাতের ধান উৎপাদন হয়েছে ১ মণেরও বেশি।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে জরুরী কিছু কথা!

কমাশিসা ডেস্ক: শুক্রবার ২৫সেপ্টেম্বার ২০২০. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপনি যখন কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির ...