আবারো প্রমাণিত হল কোরআন মানব জাতীর সকল সমস্যার সমাধান
বাংলাদেশের যে বিজ্ঞানীকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে এতো মাতামাতি সেখানে বাংলাদেশের মিডিয়ার নিরবতা রহস্য জনক। কুড়িগ্রামের কৃষিবিজ্ঞানী মুমিনুল হক”আল কোরআন এর আলোকে পরিবেশ বান্ধব ধান চাষ” পুরো পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছে। সারা দুনিয়ার বড় বড় কৃষিবিজ্ঞানের গবেষকরা নড়েচড়ে বসেছেন। অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের এই কৃষিবিদের উদ্ভাবন প্রক্রিয়া জানতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ইতোমধ্য অষ্টেলিয়ার কৃষি জার্নালে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। মুমিনুল হকের একটাই উত্তর আমার এই ধান আবিস্কারের উৎস আল কোরআন। যে ধান চাষ প্রদ্ধতিতে প্রতি একর জমিতে চল্লিশ হাজার টাকা খরচ কমবে।
অস্ট্রেলিয়ান একাডেমি অব বিজনেস লিডারশিপ কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ১১টি দেশের প্রতিনিধিদের সামনে এই কোরআন থেকে ধান চাষ গবেষনার বাস্তব ফলাফল উপস্থাপন করা হয়েছে। মমিনুল ইসলাম জানান, পবিত্র কোরআন মজিদ-এর ৩টি আয়াতে বীজ উৎপাদন বিষয়ক ধারণা থেকে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়ে এই গবেষণা শুরু করেন। তিনি এই গবেষণার নাম দিয়েছেন ‘আল- কোরআন’ এর আলোকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ধান চাষ। বিজ্ঞানী মুমিনুল হক বলেন, আল কোরআনে মানব জাতীর সকল বিষয়ের সমাধান আছে তা আবার নতুন করে আমার এই গবেষনা ও কোরআন থেকে উদ্ভাবন প্রমান করল।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে জানান, পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করেই অধিক ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৃষক সমাজকেও উদ্বুদ্ধ করা যাচ্ছে। চলতি বছর তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ২৮ জাতের ধান বপন করে ১ শতক জমিতে ১ মণেরও বেশি উৎপাদন হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে মাত্র ১২০টাকা। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকরা একই পরিমাণ জমিতে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে একই জাতের ১ মণ ধান উৎপাদন করতে ব্যয় করেছেন প্রায় ৫ থেকে ৬শত টাকা। এবার ৬৪ শতক জমিতে মমিনুল ধান চাষ করেছেন।
এক হিসাবে দেখা যায়, ১ একর জমিতে অন্যান্য কৃষকের খরচ লাগে প্রায় অর্ধলাখ টাকা। সেখানে মমিনুল ইসলামের পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে চাষ করলে ব্যয় হবে মাত্র ১২ হাজার টাকা। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ধান চাষের সহজ উপায় হলো, বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রথমে শীষসহ ধান বেঁধে সংরক্ষণ করা। এরপর জৈব পদ্ধতিতে বীজতলা প্রস্তুত করা। এজন্য গত বছরের নাড়া চাষের মাধ্যমে ফসফরাস হিসেবে ব্যবহার করা। ধনচা বিচি ছিটিয়ে দেয়া। গরুর গোবর/ প্রস্রাব ইউরিয়া হিসেবে ব্যবহার করা।
এছাড়াও বাড়ির উঠোনের একদিকে গর্ত করে বাড়ির জৈব বর্জ্যগুলো যেমন- সবজি, ডিমের খোসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, হাঁস- মুরগির বিষ্ঠাকে সার হিসেবে সংরক্ষণ করে পরে বীজতলায় ব্যবহার করা। বীজতলা তৈরির জন্য অঙ্কুরিত বীজ পাতলা করে ছিটিয়ে দেয়া। এরপর জমিতে মাত্র একটি করে চারা রোপণ করা। এতে একদিকে যেমন চারার অপচয় রোধ হয়, অপরদিকে চারা গাছ হয় পুষ্ট। এছাড়াও ১টি চারা জমি থেকে যথেষ্ট পরিমাণ খাবার সংগ্রহ করতে পারে। এতে লম্বা ও পুষ্ট দানাদার শীষ হয়। শীষে বেশি পরিমাণ ধান হয়। এভাবে চারা লাগালে জমিতে কী পরিমাণ চারা লাগবে, তার সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়।
এসব শীষ ছিল গড়ে ১০ইঞ্চি লম্বা এবং শীষে ২০০টির মতো দানা পাওয়া গেছে।
সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে ওই জমি থেকে সংগ্রহ করা ১০০টি শীষ থেকে ধান বের করে ওজন করে পাওয়া গেছে ৩৪৬ গ্রাম। অপরদিকে সার, পানি ও কীটনাশক ব্যবহার করা পাশের জমি থেকে সংগ্রহ করা একই জাতের ২৮ ধানের ১০০টি শীষ থেকে সংগ্রহ করা ধানের ওজন পাওয়া গেছে মাত্র ১৯৩ গ্রাম। তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, তার ১ শতক জমিতে মাত্র ১২০ টাকা ব্যয়ে ২৮ জাতের ধান উৎপাদন হয়েছে ১ মণেরও বেশি।