মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান ::
বিডিআর ধ্বংসের মধ্য দিয়ে শুরু। ড্রেস রিহার্সাল হলো তনু হত্যার দ্বারা সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে। এবারে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী শ্যামল কান্তি ভক্তের কানধরে ওঠবস করার মধ্য দিয়ে মুসলমান ও মুসলমানদের আল্লাহকে ” নাপাক ” আখ্যাদানকারী প্রধান শিক্ষক শ্রী শ্যামল কান্তি ভক্তকে মুসলমানদের আল্লাহর উপরে স্থান দিয়ে। নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী শ্যামল কান্তি ভক্ত গত সতের মে বিবিসি পরিক্রমায় আকবর হোসেনের সরেজমিনে প্রতিবেদনে প্রমাণিত তিনি শ্রেণী কক্ষে ঢুকে ছাত্রদের উদ্দেশ্য মন্তব্য করেন ” তোদের আল্লাহ নাপাক তোরাও নাপাক তোরা মানুষ হবিনা ” । মুসলমানদের আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালাকে নিয়ে এমন গর্হিত ও ব্লাসফেমাস মন্তব্য করার পরেও এবং তা বিবিস ‘র আকবর হোসেনের সরেজমিন প্রতিবেদনে প্রমাণিত হবার পরেও আমাদের আল্লাহকে অপমান কারী এই শিক্ষকের মর্যাদাকে আমাদের আল্লাহর উপরে স্থান শুধু দিলামনা এখন আমরা নিজেদের কান ধরে এই কুলাঙ্গার শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে প্রায়শ্চিত্য করছি কেন এই মহান শিক্ষকে অপমানিত করা হলো? এই শিক্ষক আমাদের আল্লাহকে অপমান করেছে সেটা রড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো শিক্ষকের সম্মান হানি। এখন আমরা আল্লাহর সম্মান রক্ষার কথা ভুলে আল্লাহকে অপমানকারী শিক্ষকের পক্ষে নিজের কানধরে শিক্ষকের সম্মানকে আল্লাহর উপরে প্রতিষ্ঠিত করছি।
তো আমি এটাকে কেন ফাইনাল ড্রেস রিহার্সাল বলছি? ফাইনাল ড্রেস রিহার্সাল বলছি এই জন্য আজ আমরা আমাদের অল্লাহকে অপমানকারী শিক্ষকের সম্মানকে আমাদের আল্লাহর সম্মানের উপরে স্হান দিলাম। ভবিষ্যতে যদি এই প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের মতো অন্য কোনো কুলাঙ্গার বিদেশী এজেন্টকে দিয়ে এর চেয়ে আরো রড় এমোশোন্যাল ঘটনার অবতারণা করে আমাদের শত্রু বাহিনী যখন আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করবে তখন আমরা যুদ্ধ ভুলে শাহবাগ চত্বরে গিয়ে কানধরে আমাদের কল্পিত পাপের প্রায়শ্চিত্য করতে থাকবো যেমন এখন করছি। এখন যদি আমরা অসাম্প্রদায়ীকতার পরাকাষ্ঠা দেখাতে গিয়ে আমাদের আল্লাহকে অপমানকারী শিক্ষকের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে নিজের কানধরে প্রায়শ্চিত্য করতে পারি তাহলে শত্রু বাহিনী যেকোনো অজুহাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে আমরা অসাম্প্রদায়ীকতা প্রদর্শন ও প্রায়শ্চিত্যের অংশ হিসাবে স্বাধীনতার উপরে পরাধীনতাকে কেন কানধরে স্হান দিতে পারবোনা?
আমরা ভুলেগেছি নবাব সিরাজোদ্দৌলার কথা।পরাজিত ও ধৃত নবাবকে যখন মোহাম্মদিবেগ এবং মিরনরা মুর্শিদাবাদে নিয়ে এলো তখন আজকের মতো পথভোলা আমাদের প্রপিতামহরা পরাজিত নবাব সিরাজোদ্দৌলাকে চরম বিদ্রুপ, হাসিহাসি ও অপমানিত করেছিলো। এই পথভোলারা বুঝতেও পারেনি তাদের স্বাধীনতা দু’শ বছরের জন্য চুরি হয়ে গেছে। আজ উনিশ মে প্রথম আলোর খবর সদ্য বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী শ্যামল কান্তি ভক্ত বীরবেশে স্কুলে ফিরতে চান। নব্বই শতাংশ মুসলমানের বাংলাদেশে মুসলমানদের আল্লাহকে অপমানকারী এই কুলাঙ্গার শিক্ষক বীরবেশে স্কুলে ফিরে আসার সাহস কোথায় পায়? বাংলাদেশ সাম্প্রদায়ীক সম্প্রতির দেশ। এখনে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান আমরা সবাই ভাই ভাই। এখানে কোনো ভেদাভেদ নাই। এর পরেও আমরা লক্ষ করছি কিছু হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান নামধারী বিদেশী চর এই সাম্প্রদায়ীক সম্প্রতির মূলে আঘাত করে তাদের বিদেশী প্রভুর স্বার্থ হাসিল করতে হেন গর্হিত কাজ নাই যা তারা করছেনা! আমাদের এখনিই সাবধান নাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গলে তখন আমাদে ম্যাংগো এবং গানিবেগ উভয় হাতছাড়া হবে।
লেখক: মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান ।
প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর ।