শাহ আব্দুস সালাম ছালিক::
(১)
ফেবুতে আসছেন ঃ কি লিখবেন ? কি লিখবেন না ?
অনেকেই আমার মত ফেবুতে এসে দেখবেন স্বপ্নের ফেরি ওয়ালারা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন । আপনি ও হয়ে গেলেন সহ যাত্রী । তা কিন্তু ঠিক না । আমি চাই না আপনি আমার মত ভুল করে জীবনে কলংকের অধ্যায় রচনা করুন । আপনার স্বার্থে আমার কালো অধ্যায় নিয়ে হাজির হলাম । আশা করি লাভবান হবেন ।
জীবনের কালো অধ্যায় ঃ ১
কওমি মাদরাসায় যারা পড়ে তারা দুনিয়া হাসিলের জন্য পড়েনা । তাদের একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য আল্লাকে রাযি খুশি । তারা সনদ চায় না । বেতন চায় না । এভাবে শোনে শোনে বড় হয়েছি । একদিন দেখা গেল টাইটেল পাস করে ফেলছি ।
কর্ম জীবনে প্রবেশ করে বোবা বনে গেলাম ঃ
১) তিনি ইমাম বেতন ৫ হাজার ।
২) তিনি শিক্ষক বেতন ৫ হাজার ।
৩) তিনি পার্ঠ টাইম দু’এক মাদরাসার শায়খুল হাদিস বেতন ১০ হাজার ।
৪) তিনি ওয়াইজ বেতন অনির্ধারিত ১০-৫০ হাজার ।
৫) সব খতমে তিনি বেতন অনির্ধারিত ৫ হাজার ।
৬) তিনি কওমি বোর্ডে চাকুরীরত বেতন ১০-১৫ হাজার ।
৭) তিনির ছেলেরা কওমির সাথে আলিয়া ও বেতন অনির্ধারিত ৩০-১৫ হাজার ।
৮) তিনির মেয়ে আলিমের সাথে বিয়ের কথা চুড়ান্ত কিন্তু লন্ডনী চিল এসে নিয়ে গেল । বেতন লাখ ।
৯) কোটি কোটি টাকা তিনি হজে যান না কিন্তু ইউরোপ আমেরিকা মিস হয় না ।
১০) আওয়ামীলীগ, জামাত দু চোখের দুশমন কিন্তু দান খয়রাতে আপনজন ।
একের ভিতর এতো তারপরে ও তিনি দুনিয়া চান না কিন্তু সাথী ভাই জিরো জিরো তার জন্য কওমি মাদরাসায় পড়লে আল্লাহয় খাওয়ায় । এই দেখস না আল্লাহয় আমারে কিলা খাওয়ায় ।
এই এভাবে লিখতাম । তখন কেউ গালী দিত , কেউ বুলি দিত । চলত লড়াই সংগ্রাম । কিন্তু তখনো বুঝতাম না সলিম উদ্দিনের জন্য এক আর কলিম উদ্দিনের জন্য আরেক ।
এখন আন্তরীক বন্ধুরা বলেছেন, প্লিজ, থাম । তাই আমি থেমে গেছি । আমি আর জীবন নষ্ট করতে চাই না । স্বপ্ন ওয়ালাদের দেখলে তাই এড়িয়ে চলি ।
বন্ধুরা,
এই হল, জীবনের কাল অধ্যায়ের কিছু কথা । আশা করি কেউ সে পথে পা বাড়াবেন না । আমার এই আত্মজীবনী আপনাদের জন্য যদি হয় আলোক বর্তিকা তাহলে কমেন্টে একটা শাব্বশী দিবেন ।
আমি এখন কি লিখি,
আমি লিখি লাবিবের বড় ছেলে তাহমিদকে নিয়ে, লুবাবের বড় মেয়ে ইশিতাকে নিয়ে, আলবাবের ছোট মেয়ে নিশিতাকে নিয়ে ।
আপনারা কি লিখবেন,
আপনারা কয়েক বছর শুধু আমার লেখায় লাইক আর কমেন্ট করবেন । তারপর শুরু করবেন । কি শুরু করবেন ?
শুরু করবেন এক দেশে ছিলেন এক Khatib Tajul Islam তিনি জুম্মা পড়াতেন নাম তার কমাশিসা, আরেক দেশে ছিলেন এক Billah Abujarah নাম তার Ansarul Ulama , আরেকজন ছিলেন Rashid Jamil কাম তার আহাফিদের কবর দেওয়া । মাঝে মধ্যে নান্দোলন । আরেকজন সাইমুম সাইমুম সাদী লিখেন তাজা তাজা যেন নাগা মরিচ ।
(২)
জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার ঃ চলছে সেমিনার
প্রিয় কাফেলার ভাইয়েরা,
মজলিসের উপর বার বার আঘাত এসেছে , বার বার মজলিস বাধা গ্রস্থ হয়েছে কিন্তু কোন কিছুই মজলিসের গতি থামাতে পারেনি ।
কিভাবে পারবে ?
শায়খুল হাদিস রাহ এর প্রাণের সংগঠন, প্রিন্সিপাল এর জানের কাফেলা, আহমদ আব্দুল কাদের এর ত্যাগের ফসল আজকের মজলিস ।
এই সংগঠনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা যায় কিন্তু পরাজিত করা যায় না । ভুল বুঝানো যায় কিন্তু হারানো যায় না ।
শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল জামেয়া উদ্যান । সবাই মিনহাজের বক্তব্যে খুশি হল ……………
এবার প্রশ্ন পর্ব ঃ
অতিথির আসন থেকে এগিয়ে আসলেন সাবেক সভাপতি সাইমুম সাদী ।
দর্শকের সারি থেকে একজন প্রশ্ন করলেন,
সাদী ভাই আপনি ত দুই মজলিসের মিলন হবে প্রায় আশা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন । আজ আপনার অনুভতি কেমন ?
ঠিক একদম আশা ছাড়ি নাই তবে আজ ধন্যবাদ দিতেই হয় তারেক বিন হাবিব, সাইফ রাহমান ও …………কে । আমি আজ অভিভূত ।
এবার Ansarul Ulama ‘র সভাপতি Billah Abujarah ………….
একজন প্রশ্ন করলেন,
বিল্লাহ ভাই, আপনি কি কোন দিন ভাব ছিলেন দুই মজলিস এক হবে ?
প্রতি দিন ঘুম থেকে উঠে অপেক্ষায় থাকতাম এই একটা ঘোষণার অপেক্ষায় , মিলে গেছে দুই মজলিস, পালিয়েছে সব ইবলিস ।
এবার ‘আহাফি’র জীবন্ত কবর, নান্দোলনের মহা সচিব Rashid Jamil ……..
একজন প্রশ্ন করলেন,
নান্দোলন, কমাশিসা, দুই মজলিসের মিলন কোনটা আপনার কাছে আজ খুশির কারণ ?
রাজনীতি যদি ও তেমন লাইক করিনা তারপর ও বলতে হয় ; মজলিসের মিলন অনেক অনেক আনন্দের কারণ ।
এবার কমাশিসার রূপকার Khatib Tajul Islam ………
১জন প্রশ্ন করল,
আপনি কমাশিসার রূপকার, নান্দোলনের চেয়ারম্যান ত আজ আপনার অনুভূতি কেমন?
ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা । মজলিসের মত একটা গণ সংগঠনের মিলনে আমি অধম জড়িত হতে পারায় এই মূহুর্তে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মনে হচ্ছে ।
এবার জমিয়তের যুগ্ম মহা সচিব শাহিনুর পাশা চৌধুরী…………
একজন প্রশ্ন করলেন,
পাশা ভাই, আপনি পরিবারের ছোট ছিলেন, টাকা পয়সার অভাব ছিলনা , জমিয়তের জন্য সব বিলিয়ে দিছেন এবার আর রাজনীতি তেমন আগের মত না । এবার টার্গেট দারুল কুর-আন মাদরাসা , এ কথাটাই জাহিদ হাসান ইকবালের পোস্টে কমেন্ট করেছেন, ত কি মনে করে এখানে আসলেন ?
একবার যারা ইমানি আন্দোলনে মজা পেয়ে যায় ; সে ঘরে বসে থাকতে পারেনা । আমি এ বার্তা নিয়ে এসেছি, শুধু দুই মজলিস না আসুন জমিয়ত, মজলিস, শাসন সহ সব কওমি ভাই এক হয়ে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ি ।
পাশা ভাইর কথা এখনো শেষ হয় নাই তার আগেই শ্লোগান শুরু হয়ে ,
আমরা সবাই কওমি ভাই , ঐক্য চাই ঐক্য চাই ।
এবার মজলিসের যুগ্ম মহা সচিব Abdul Quadir Saleh ………..
একজন প্রশ্ন করলেন,
আজকের অনুষ্ঠানে কার শূন্যতা অনুভব করছেন ?
শুধু কাঁদলে আর বললেন,
ছা…… ছা…… আর বলতেই পারলেন না অজ্ঞান হয়ে গেলেন ।
পুরস্কার পর্ব……………….
আজকের সেরা বক্তা মিনহাজ । মূহুর মূহুর শ্লোগানের মধ্য দিয়ে এগিয়ে আসছেন মিনহাজ । পুরস্কার নিবেন সময়ের সাহসী সন্তানদের কাছ থেকে । তার আগে দর্শকের প্রশ্ন আসবে তার কাছে ।
একজন দর্শক প্রশ্ন করল,
মিনহাজ ভাই আপনি আদর্শ সংগঠন বিপ্লবের কর্মী কিন্তু দেখা যায় বক্তব্য কালীন শুধু বাম হাত উত্তোলন করে আমাদের মাঝে চেতনার আগুন জ্বালালেন । ডান হাত তাহলে আল্লাহ দিলেন কেন ?
মিনহাজ বলতে লাগল,
কিন্তু না, পারল না । অশ্রু ঝরা কথামালা গুলা বুঝা যাচ্ছে না । এগিয়ে আসলেন জাউয়ার কবি সম্রাট Emon Sharif । বলতে লাগলেন,
“ক্লান্ত শ্রান্ত বদনে রুমে প্রবেশ করলেন মিনহাজের বাবা । ঘুমিয়ে আছেন বিছানায় । মিনহাজের বয়স তখন ছয় বছর ছয় মাস । বাবাকে ঘুমে রেখেই মাদরাসার সামনের মাঠে ঘুরতে যায় মিনহাজ । গ্রামের দুইটা ছেলে ফুটবল শটাচ্ছে । সাইকেলের পাশে বসা মিনহাজ । হঠাৎ করে জাহিদ নামের ছেলের শট মিনহাজের দিকে এগিয়ে আসে । আত্মরক্ষা করতে গিয়ে উচু জাগা থেকে নীচে পড়ে যায় মিনহাজ । ডান হাতের একটা হাড্ডি ভেঙ্গে দু’টুকরা হয়ে যায় মিনহাজের । ফাইন্যাল চিকিতসার আগেই ফেবুর এক লেখাকে কেন্দ্র করে সরকার তার বাবাকে গ্রেফতার করে । ২ দিন পর তার বাবার লাশ ক্যান্টন মেন্টের ভিতরে পাওয়া যায় । মেডিকেল রিপোর্ট প্রমাণ করে, ভাল্লুকের আক্রমনে তিনি নিহত হন । বুঝতেই পারছেন মিনহাজ কেন বাম হাত দ্বারা বক্তব্য দেন । ”
কবি Emon Sharif ‘র বক্তব্য শোনে কান্নার রুল পড়ে গেল আজকের সেমিনারে । সবাই অবাক হল, মিনহাজ তাহলে চদ্মনাম ব্যবহার করছে ।
জনতার অনেক অনেক ভালবাসায় সিক্ত হল, মিনহাজ । এবার সে একটা সংগীত শুরু করল,
মুসা আর তারেক ভাই প্রিন্সিপালের ধন / জামেয়া মাদানিয়া নবীরো কানন / প্রথম যে দিন পা রাখলাম জামেয়া কাননে / মুছা ভাই চা দিলেন বিস্কুটের সাথে / তারপরে আরেক দিন মামুন ভাইর রুমে / বড় ভাই ছিলেন তখন আমারো সাথে / শোন শোন মজলিস ভাইরা শোন দিয়া মন / আকমরো কারণে বাবা দিলেন জীবন / কমাশিসা মজলিস আর আনসারুল উলামা / শুরুরো অক্ষর দিয়ে আকম হয় মামা / কত স্বপ্ন দেখতেন বাবা আমাদের নিয়ে / দুই মজলিসের মিলন চাইতেন শ্বয়নে স্বপনে / ঘুম থেকে এক দিন উঠে দেখি কাঁদে মা / নাই নাই না ওরে তুদের বাবা / হায়েনা সরকার আজো লাশটি নাহি দিল / তাই আজো কবর জিয়ারত নসিব নাহি হল / বিদায় বেলা একটি কথা বলে যেতে চাই / শহিদ বাবার স্বপ্নে আমরা জীবন দিতে চাই /
নিশিতা দেখল রাবিশ বাবু ও কাঁদছেন ।
আপনি কাঁদছেন?
আমরা নাস্তিক হলে ও মানুষ । আমাদের ও একটা মন আছে ।
তাহলে আপনারা এতো এতো উলামা হত্যা ও তাদের মা বোনদেরকে নির্যাতন করলেন কিভাবে ?
নিশিতা তুমি সব বুঝবেনা । আমরা অনেকেই উলামা নিধনের বিরুধী ছিলাম কিন্তু………
কিন্তু… ?
কিন্তু মানে প্রাশ্চিত করতে চাই ।
এ কি বলছেন , স্যার !
যা সত্যি তাই বলছি । প্লিজ, নিশিতা তুমি আমাকে একটু হেল্প কর ।
নিশিতা সুযোগটা গ্রহণ করল । জ্বি, স্যার আপনি যা বলবেন তাই হবে ।
বিছানায় ছটফট করছে নিশিতা ইসলাম । রাবিশ বাবুর পরিবর্তন তার চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে । তাহমিদকে খবরটা শোনালে অবশ্যই খুশি হত ।
নিশিতা ভাবল, অনেকেই বলে লেখে, কি হয় ? লেখে যদি কিছুই হত না, তাহলে ৫০ বছর আগে খতিব তাজুল ইসলাম রশীদ জামীলকে নিয়ে কিছু লিখে গেলেন, লিখে গেলেন আহমদ আব্দুল কাদির আর সে গুলা কাজে লাগিয়ে তাহমিদ আজ সফলতার দ্বারপ্রান্তে । মূল কথা হল, চিন্তকের আবিষ্কারকে কাজে লাগানোর যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি থাকতে হয় ।
“বাংলা হবে সমরকন্দ” বইটি যতই পড়ি ততই ভাল লাগে, প্রাণ জুড়িয়ে যায় । এ যেন আরেক আহাফি ।
(৩)
হিজাব পরা মেয়ে ঃ শিক্ষকের হাতে লাঞ্চিত
গল্পের শুরু~~
ক)
৩-৪ মিনিটের একটা ভিডিও আমার ওয়ালে ভেসে উঠল । আলতো করে ক্লিক করলাম ।
একটা হৈচৈ চলছে । জিন্সের শার্ট প্যান্ট পরা একটা মেয়েকে একটু ব্যতিক্রমী মনে হচ্ছে ।
সে দু’হাত উঁচু করে হিজাব পরা মেয়ের পক্ষ নিয়ে বলছে,
ঢাবির কোন ড্রেসকোড নেই, আমি যেমন জিন্স পড়ে ক্লাস করছি, তারও বোরখা পড়ে ক্লাস করার অধীকার আছে।
একটা মেয়ে বোরখা পড়ে আসতে পারবেনা সেটা ঢাবি আইনে কোথায় আছে?
আপনি একজন শিক্ষক, আপনার জন্যে কোন মেয়ে যদি সাফারার হয় সেটা কেমন হয়?”
খ)
প্রতিবাদী মেয়েটার পিছনের সীটে ৭০-৮০ কেজি ওজনের একটা ছেলে বসা তার বাম পাশে ৫০-৬০ কেজি ওজনের একটা মেয়ে বসা । কোন ধরণের প্রতিবাদ করবে দূরেরে কথা বরং প্রতিবাদীর প্রতি যেনো বিরক্তি বিরক্তি ভাব ।
শেষ পর্যন্ত হিজাব পরিহিতার কি হয়েছে ভিডিও টিতে নাই তবে শোনেছি টিচারের হাতে লাঞ্চিত হয়েছে ।
গল্পের শিক্ষা —
একজন টিচার হিজাব পরিহিতাকে ক্লাস থেকে বাইর করে দিতে চাচ্ছেন আরেকজন জোরালো প্রতিবাদ করছে । এতে মেয়েটা নীতি ও ন্যায়ের পক্ষে দ্রোহ প্রমাণ করতে গিয়ে নিজের এবং মা বাবার স্বপ্নকে নষ্ট করে দিচ্ছে ।
কিভাবে ?
ক) ~ ভার্সিটির খাতায় তার নামের পাশে একজন বে-আদব মেয়ে লেখা থাকবে ।
খ) ~ যত যোগ্যতা নিয়ে সে উত্তীর্ণ হউক তাকে ভার্সিটির টিচার নিয়োগ দেয়া হবে না ।
গ) ~ যে কোন সময় মেয়েটি গুম, খুন, ধর্ষনের শিকার হতে পারে ।
কি লাভ হল, প্রতিবাদ করে ? ভবিষ্যত নষ্ট করল ।
কিন্তু ৭০ কেজি আর ৬০ কেজির ছেলে, মেয়ের ভাগ্য খুলে যাবে । ভার্সিটির খাতায় লেখা থাকবে, খুবি নম্র, ভদ্র, মাথা পাতলা না । গুম, খুন, ধর্ষন, বহিষ্কার’র কোন চিন্তা নাই । বলা যায় না চাকুরী ও হয়ে যেতে পারে । আর রেশমার মত মালামাল ও হয়ে যেতে পারে।
কেনো যেনো আমি প্রতিবাদী মেয়েকে সাপোর্ট করে বসলাম যা আমার চিরাচরিত অভ্যাস । আর এই অভ্যাসটাই আমার জীবন ধ্বংসের মূল ।
গল্পটাকে এবার লন্ডন মুখী করে দেই ঃ
Khatib Tajul Islam ‘র কথা হল, এক দলকে প্রয়োজন পরিমান দীন শিখার পর স্কুল কলেজে ছেড়ে দাও ।
যদি এরকম করা হত । আজ যদি ১৫-২০ হাজার মুতাওয়াসসিতা পড়ুয়ারা ঢাবিতে থাকত । থাকতেন যদি কওমি পড়ুয়া কিছু শিক্ষক তাহলে কি এমন ঘটনা ঘটত ?
ঘরবাড়ি সব তাদেরকে দিয়ে দিলাম । তারা ত তাদের মত করেই ঘর সাজাবেই । বাইর থেকে লাফালাফি করব কিছু দিন নিরব থাকবে তারপর যেই সেই ।
কেন আমেরিকায় থেকে ও রশীদ জামীল Rashid Jamil নান্দোলনে পানি ঢালেন ? কেন টাকার বিছানায় ঘুমিয়ে ও কমাশিসার রূপকার কাঁদেন শুধুই কাঁদেন ?
কেন Ansarul Ulama ‘র সভাপতি Billah Abujarah স্কুলের ছাত্রকে ৪-৫ হাজার টাকার গাইড গুড ইত্যাদি দিয়ে সহ যোগিতা করেন ?