মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ রাত ৯:০৫
Home / অনুসন্ধান / লাখ টাকার প্রশ্ন কোটি টাকার উত্তর !!!

লাখ টাকার প্রশ্ন কোটি টাকার উত্তর !!!

বেফাকের বৈষম্য -পর্ব ২

কমাশিসা ডেস্ক::

১-বেফাক কর্তৃপক্ষ যা করছে ভালর জন্যই করছে আপনার তাতে মাথা ব্যথা কেন? তারা কি অযোগ্য?

২-আপনি আবার কে কওমি বোর্ড আর বেফাক নিয়ে কথা বলার?

৩-সংস্কার আর হিজরী সনের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা কওমি বিরোধী ?

৪-আপনাদের বলার কিছু থাকলে নেটে কেন ? সরসরি গিয়ে কেন বলেন না?

৫- ওরা শুধু বেফাকের বিরুদ্ধে কেন কথা বলে?

পর্যালোচনা:13048195_683536195121539_400758456587580477_o

সিলেবাস সংস্কার নিয়ে বেফাক কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। বার বার পুস্তাকারে সংস্কারের প্রস্তাব ও রূপরেখা পেশ করা হয়েছে। মহাসচিব ও সহকারি মহাসচিব গণের কথা হলো আমরা সংস্কার করছি হচ্ছে আরো হবে তবে ধীরে ধীরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেফাকের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের ২জন জানালেন যে, আপনার আন্দোলন চালিয়ে যান। আপনারা যতই চাপ প্রয়োগ করবেন তথই আমাদের কাজে গতি আসবে। কারণ আমাদের মাঝে চরম গোঁড়াপন্থী সংস্কার বিরোধী কিছু লোক আছে যাদের আমরা ডিংগাতেও পারিনা এবং কাজও সামনে এগুয়না। বেফাকের হাত পা তাহলে বাঁধা।কিছু লোক বেফাককে কুক্ষিগত করে রেখেছে। যেহেতু উর্দু এবং ফার্সিই হচ্ছে তাদের সম্বল তাই নিজের পদ হারানোর আশংকায় সংস্কারে অমনোযোগী। সত্যিকার অর্থে বেফাক ভাল নেই। বেফাকতো কারো বাপের টাকায় চলেনা। চলে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে। মুসলিম উম্মাহর পাই পাই টাকায় বেফাকের চাকা ঘুরে। তাই প্রশ্নটি অমূলক ও অবিবেচনা প্রসুত। ভারত উপমহাদেশের আকাবিররা বাংলাদেশ সফরে এসে ফার্সি উর্দুর খিসতি খেওড় দেখে হতবাক।বার বার হুশিয়ারি দেওয়ার পরও তাদের টনক নড়েনা। বাংলাদেশের স্বীকৃত চলমান শিক্ষা ব্যবস্থার উল্টোদিকে গিয়ে বেফাক এজাতির জন্য কি ফলাফল বয়ে নিয়ে আসছে? শিক্ষা সিলেবাস উন্নয়ন কল্পে আমরা বেফাককে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছি যে, আপনারা একটি গবেষণা বিভাগ চালু করুন। দেশের সেরা মেধাবীদের একত্রিত করে তাদের কাছ হতে কিছু বের করে এনে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করতে পারেন। কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছেনা।

বেফাকের ২০১৬’র পরীক্ষার সিডিউল ও সিলেবাসভুক্ত কিতাব সমূহ দেখে আমরা হতবাক। ৫ম শ্রেণীর ছাত্রদের জন্য উর্দু ছাত্রীদের জন্য আরবি। আবার তা’লিমুল ইসলাম ৪র্থ খন্ড। ১০বছরের শিশুদের জন্য হায়েজ নেফাস সহবাস মনি মজি ওদির সবক? তাহলে বেফাক শিশুশিক্ষা নিয়ে খুব ভাল গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন! তাইনা? শিশু ও কিশোর উপযোগী একটি ইসলাম শিক্ষার একসেট বই আজও কওমির প্রজন্মরা তৈরী করতে পারলোনা? আফসুস আর কাকে বলে? সেই ষাট বছর আগের উর্দু তা’লিমুল ইসলামকে বাংলা করে কাজ চালানো হচ্ছে? দুর্ভাগ্যই আমাদের। এই সকল বৈপরিত্য কি বেফাক দুর করেছে বা তা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে?

বেফাক নিয়ে কেন আমাদের মাথা ব্যথা?

আসলে কওমি বোর্ড বলতে আমরা বেফাককেই বুঝি। বাকি যারা আছেন এক গন্ডা দুই গন্ডা মাদরাসা নিয়ে বোর্ড খোলে বসে আছেন। তাদের কথা বললেতো এই কলেবরে জায়গাই হবেনা। ঐসব বোর্ড সংশ্লীষ্ট মাদরাসায় এখনো ১০০% পাঠদানের ভাষা হলো উর্দু ।চিঠিপত্র লেনদেন দাওয়াত নামা দেখলে মনে হবে একটুকরো পাকিস্তান। তাই তাদের হিসাবের খাতায় না আনাই উত্তম। বেফাক উদ্যোগ নিলে তারাও উৎসাহিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বেফাকের বিস্তৃতি এবং পরিধি বিশাল থাকায় আমরা বেফাককে নিয়েই স্বপ্নের জাল বুনি।

সংস্কারের কথা বললেই কওমি আর বেফাক বিরোধী তকমা পুরানা কাসুন্দী। তাই ওসব আমাদের গা সওয়া হয়েগেছে। একটি দেশের সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা রসাতলে যাচ্ছে। বানের মতো ধর্মদ্রুহিতা বাড়ছে। আর তখনই আমরা উর্দু থাকবে কি থাকবেনা ?! ফার্সি হারানো ঠিক হচ্ছে কিনা!? কিংবা সরকারি সনদের প্রয়োজন আছে কিনা!? অথবা বাংলা ভাষা খুব একটা দরকার আছে কি!? এভাবে ঝগড়া চলছে হচ্ছে মেধার অপচয়। দয়াকরে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন।প্রজন্মদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিন। নতুবা কালের বিপর্যয় থেকে নিজে যেমন রেহাই পাবেন না তেমনি অপরকেও ডুবিয়ে মারবেন।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...