ইলিয়াস মশহুদ :: জকিগঞ্জের জামিয়া মুহাম্মদিয়া হাড়িকান্দীর মুহতামিম ও সিলেট বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা আবদুল গণী শায়খে হাড়িকান্দী আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে সিলেট নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ নিজস্ব ফ্লাটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ১০ ছেলে, ৭ মেয়ে নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বুধবার দুপুর ২টায় জকিগঞ্জের হাড়িকান্দী মাদরাসা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
শায়েখ আবদুল গণী ১৯৩৮ সালের ১ মার্চ জকিগঞ্জের জামুরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম ইনছান আলী। হাড়িকান্দী মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার সময় তার নাম ছিল তছির আলী। শিক্ষাগুরু মুফতি আবদুল গণী চৌধুরী তাকে স্নেহ করে আবদুল গণী নাম দেন।
১৯৬১ সালে ইছামতি আলিয়া মাদরাসা থেকে ১ম বিভাগে আলিম, জামেউল উলুম গাছবাড়ী মাদরাসা থেকে ১৯৬৩ সালে ফাজিল ও ১৯৬৫ সালে কামিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কর্মজীবনে গাছবাড়ি মাদরাসা, সুজাউল আলীয় মাদরাসা ও বিয়ানীবাজার সিনিয়র মাদরাসায় ১৮ বছর শিক্ষকতা করেন। দীনি শিক্ষার প্রসারে তার অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে এলাকাবাসী ছাত্র জীবনেই তাকে হাড়িকান্দি মাদরাসার মুহতামিম নিযুক্ত করেন। উৎস : কওমীনিউজডটকম।