বৃহস্পতিবার, ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ দুপুর ২:১৬
Home / প্রতিদিন / বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য : ভোটে বিশ্বাস হারাচ্ছে মানুষ, নষ্ট হচ্ছে নির্বাচনের সংস্কৃতি

বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য : ভোটে বিশ্বাস হারাচ্ছে মানুষ, নষ্ট হচ্ছে নির্বাচনের সংস্কৃতি

02

অনলাইন ডেস্ক :: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের পর্যালোচনায় নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ব্যাপক সহিংসতা ও অনিয়ম সার্বিক নির্বাচন ব্যবস্থারই নিম্নমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগে এমন চিত্র দেখা যায়নি। তারা বলেছেন, নির্বাচনের সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন মানবজমিনকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে মাঠে সক্রিয় থাকতে হবে ইসিকে। এ রকম নির্বাচন দেখে নিরুৎসাহিত হই। বেশির ভাগ জায়গায় সংঘর্ষ, অনিয়ম, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যে নির্বাচনী সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল, তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে মানুষের মধ্যে শতভাগ বিশ্বাস ছিল। আজ এগুলো হচ্ছে না। আগে শুনতাম ভোট দেয়া হয়ে গেছে। এখনও আবার দেখছি, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে টেবিলে সিল মারছে। প্রিজাইডিং অফিসার অসহায় হয়ে বসে আছেন। খবরের কাগজে তা আসছে। আগেই ভোট শেষ হয়ে যায়। ইসি মাঠে থাকছে না। এটা হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ইসি এগুলো রোধ করছে না। যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে হবে না। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে যে নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে, তা অব্যাহত রয়েছে। অনিয়ম, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, সহিংসতা যে মাত্রায় হচ্ছিল এগুলো অব্যাহত রয়েছে। কোনো উত্তরণ ঘটেনি। এর পরিণতি মঙ্গলজনক নয় বলে তিনি মনে করেন। দ্বিতীয় ধাপের ইপি নির্বাচন সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জানিপপ বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, এই ধাপের নির্বাচনে সংখ্যার বিচারে নিহত কম হয়েছে। কিন্তু ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে একজন শিশু প্রাণ হারিয়েছে। সে কেন ভোট কেন্দ্রে আসলো? নবালক কিভাবে আনলো। ভোটরা বা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ভোট কেন্দ্রে আসবে। অন্যরা ৪০০ গজ দূরে থাকবে। কড়াকড়ি আছে। বিষয়টি অনুসন্ধান প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। আচরণবিধি ঢেলে সাজাতে হবে। বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগে স্থানীয়ভাবে গোষ্ঠীগত আনুগত্য থাকতো। আঞ্চলিকতাবোধ কাজ করতো। সেখানে এবার দলীয় পরিচয়ে নির্বাচন হচ্ছে। অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এটা নতুন যোগ হয়েছে। দলীয় ফেকশন (ভাগ) প্রকাশ্য হয়েছে। ফলে যে কোনো মূল্যে জিতার প্রতিযোগিতা বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, মাঠে সক্রিয় থাকতে হবে। কেন্দ্রে বসে সুফল পাওয়া যাবে না। আমার দেশ অনলাইন।

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...