এ কমপ্লেক্সটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে তুরস্কের ধর্মবিষয়ক কর্তৃপক্ষ। তাদের আশা, এটি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নানা জাতির এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অধ্যাত্মিক চর্চার একটি চমৎকার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এটা মানুষকে এমন ধারণা দেবে যে, সৌন্দর্যের সঙ্গে সহিংসতার কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে না। লোকজনের কথিত অহেতুক ইসলামভীতি দূর করতেও এটা ভূমিকা রাখবে।
ঐতিহ্যবাহী অটোমান স্থাপত্যকর্মের ওপর ভিত্তি করে ৬৪ হাজার ৬০ বর্গফুটের এই স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা করে আছে তুর্কি স্টাইলে বাথরুম, সুইমিং পুল, একটি বহুমুখী হল এবং একটি ইনডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্স।
এই কমপ্লেক্সের মসজিদে দুইটি মিনার ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো মসজিদের আয়তন নয় হাজার ৪৬১টি বর্গফুট। মসজিদ এবং মসজিদ চত্বর মিলিয়ে এখানে একসঙ্গে কয়েক হাজার মুসল্লি সালাত আদায় করতে পারবেন।এ মসজিদ কমপ্লেক্সটি শান্তির বার্তা পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তুরস্কের ধর্মবিষয়ক প্রধান মেহমেদ গরমেজ। তিনি বলেন, এটা শুধু একটা মসজিদই নয়, বরং এটা এটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বা গবেষণা কেন্দ্র। এখানে গবেষণা, সংস্কৃতি ও আর্ট সেন্টারের মাধ্যমে সত্যিকারের জ্ঞানচর্চা করা হবে। এই সেন্টার তার অনন্য ভাষা ও সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হবে। এর প্রতিটি পাথর শান্তি ও সুন্দরের প্রতি মানুষকে আহ্বান জানাবে। সূত্র: আনাদোলু পোস্ট।
Komashisha
