কমাশিসা ডেস্ক :: একজন মানুষের কাজের পরিধি কতটুকু হতে পারে? তিনি কি কি কর্মসুচি নিয়ে জীবন ধারণ করেন? এমন বহু প্রশ্ন আমাদের মনে উঁকি মারে, যখন আমরা জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির বাজার মাদরাসায় পা রাখি। একদিকে বিশাল ক্যাম্পাস অপরদিকে বিশাল আয়োজন। নুরানী মক্তব, মুতাওয়াসসিতা, ছানুভিয়া, ফজিলত, দারুল হাদিস, হিফজ নাজারা, হিফজ তাকমিল, ফাতওয়া বা মুফতি বিভাগ, কেজি এন্ড হাইস্কুল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। আর্তমানবতার সেবার জন্য প্রতিষ্ঠা পেল আল-মারকাজুল খাইরী আল-ইসলামী। যেখানে ২৪ঘণ্টা এম্বুলেন্স সার্ভিস, লাশ গোসলখানা রয়েছে। নির্মাণাধীন হাসপাতাল। পাশাপাশি চলছে অসংখ্য কর্মসুচি। দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন খেলাফতে রাশেদার জন্য। মহামান্য আমীর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এভাবে একজন মানুষ যেন বিশাল এক ইউনিভার্সিটি। তিনি হচ্ছেন সকলের প্রিয় ব্যক্তিত্ব, রাহবারে মিল্লাত প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মুহাম্মাদ হাবীবুর রাহমান দামাত বারাকাতুহুমুল আলিয়া।
আজ তাঁরই বাগানে তাঁরই সুযোগ্য সন্তান জামেয়া মাদানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যারন, জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়ার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা সামিউর রাহমান মুসা ও মাদরাসার স্বনামধন্য শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালিক একজন আলেম দ্বীনের হাতে তুলে দিলেন সেলাই মেশিন।
আত্মকর্মসংস্থান কর্মসুচির অংশ হিসেবে বিশিষ্ট মুহাদ্দিস, কমাশিসা আন্দোলনের সফল পরিচালক, সুলেখক মাওলানা শাহ আব্দুস সালাম ছালিকের হাতে দেয়া হলো সেলাই মেশিন।
শাহ আব্দুস সালাম ছালিক সিলেটের জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহে হযরত শাহজালাল রাহ. মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেছেন। দোয়া করি আল্লাহপাক যেন তাকে ও তার পরিবারে স্বচ্ছলতা এনে দেন। আমীন।