কমাশিসা :: মনে অনেক উদ্বেগ ও দুঃখ নিয়ে একটি কথা বলছি। ছাত্রজীবন শেষ হওয়ার পর আমি দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত দ্বীনের কাজ করছি। রাজনীতি কোনো দিন করিনি। নির্দলীয় মানবসেবা ও ঈমান-আমল, ইলম, দাওয়াত, তালীম-তরবিয়্যত ও তাযকিয়ার জগতে আছি। প্রচলিত জ্বালাও পোড়াও ও উশৃংখল আন্দোলনে বিশ্বাসী নই তবে দ্বীনের ক্ষতি হয় এমন কোন সিদ্ধান্তে নীরব থাকতে পারি না। আজ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে কথা বলতে চাই। এ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য দায়িত্বশীলদের প্রতি ঈমানদারদের প্রত্যাশার প্রতিধ্বনি। তারা আকুল আবেদন করছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধানে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার যেন আর ক্ষুণ্ন না হয়। মুসলমানদের যখন নিজস্ব রাষ্ট্র থাকে, যখন তারা আত্মনিয়ন্ত্রণ লাভ করেন, তখন তাদের উপর শরীয়ত সর্বাংশে পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়। মুসলমানদের স্বাধীনতা অর্জনের অর্থ হচ্ছে, নির্বিঘেœ ইসলাম পালনের স্বাধীনতা। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ যা বলেছেন তার সারমর্ম এই- মুসলমানদের যখন আমি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করি তখন তারা সর্বাংশে নামায কায়েম করে, যাকাতের বিধান পুরোপুরি কার্যকর করে, অন্যায় অশ্লীলতা রোধ করে, সৎ কাজের আদেশ দেয় আর অসৎকর্ম প্রতিহত করে। এ হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে মুসলমানদের স্বাধীনতা, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব কতটুকু আছে তা যথেষ্ট ভাববার বিষয়। নিজেদের স্বার্থ দেখার জন্য হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রয়েছে। মুসলমানদের ধর্মীয়, সাংবিধানিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার রক্ষার কোন সংগঠন এদেশে আছে বলে জানি না। কারণ, প্রতিটি শাসকদলের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই এদেশে ইসলামধর্মে বিশ্বাসী। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার দিন থেকে প্রতিটি নির্বাচনের ইশতেহার পর্যন্ত চিরদিনের অঙ্গীকার, কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন তারা করবে না। সুতরাং মুসলমানদের আলাদা কোন বিশেষায়িত সংগঠনের প্রয়োজন আছে বলে তারা মনেও করেন না। শাসকদলের উপর তারা তাদের আস্থা রেখেছেন। ৯৮ ভাগ মুসলমান যেখানে রয়েছেন সেখানে ইসলাম কেন বিপন্ন হবে?
শতকরা ৯২% মুসলমানের দেশে যেকোনো বাহানায় সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিতে পেরে আনন্দিত হয়েছেন, বর্তমান শাসকদলের মধ্যে এমন লোকও আছেন। তারা জনগণের মতামত না নিয়েই সংবিধানে ‘সমাজতন্ত্র’স্থাপন করেছেন যার মূল সংজ্ঞায় নাস্তিকতা রয়েছে। কার্ল মার্কস তার ‘দ্যা ক্যাপিটাল’ বইয়ে লিখেছেন, এদেইজম ইজ দ্যা আনসেপারেবল পার্ট অব মার্কসিজম। অর্থাৎ নাস্তিকতা সমাজতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমাদের সংবিধানে এই নাস্তিকতা ঢুকানো রয়েছে। তারা সংবিধানে সেক্যুলারিজম বা ধর্মহীনতা স্থাপন করেছেন। যার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যার চেতনার সাথে ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার বিন্দুমাত্রও সম্পর্ক নেই (অক্সফোর্ড ডিকশনারী ও এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটেনিকা দ্রষ্টব্য)।
এ ছাড়াও সংবিধানে বহু বিষয় এমন রয়েছে যার সাথে ইসলামী ভাবধারার মোটেও মিল নেই। যুগে যুগে কিছু বিচ্ছিন্ন চিন্তার মানুষ সুকৌশলে সংবিধান রচনা, সংশোধন ও পুনর্মূল্যায়নের কাজ নিজেদের জিম্মায় নিয়ে শতকরা ৯২% মানুষের বিশ্বাস ও চেতনার সাথে মারাত্মক অবিচার করেছেন। বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও জীবনবোধের সাথেও তারা অন্যায় আচরণ করেছেন। তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মপ্রিয় নীতি-দর্শনের সাথেও অসংলগ্ন আচরণ করেছেন। সংবিধানের শুরু থেকে তারা ‘বিসমিল্লাহ’তুলে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী ভেবে আবার রেখে দিয়েছেন। কিন্তু এর বাংলা তরজমা বিকৃত ও ভুলভাবে করে বিসমিল্লাহর সাথে জুড়ে দিয়েছেন। শত সমালোচনা ও বিরূপ মন্তব্যের লক্ষ্যবস্তু ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’তারা বাদ দিতে সচেষ্ট ছিলেন। কিন্তু কী ভেবে যেন রেখে দিয়েছেন। যদিও ভাষার মারপ্যাঁচে রাষ্ট্রধর্ম আর এককভাবে ইসলাম নেই। অন্যান্য সকল ধর্মও সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা নিয়ে এখন রাষ্ট্রধর্ম। যদিও ধর্মনিরপেক্ষ মূলনীতি যে সংবিধানে থাকে তাতে রাষ্ট্রধর্ম থাকা আর না-থাকা সমান কথা। যে সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখা হয়নি, সেখানে বিকৃত ও ভুল তরজমার বিসমিল্লাহ রেখে দেওয়াও একরকম অর্থহীন। বর্তমানে এসব বিষয় আলোচনায় আনা খুবই সংবেদনপূর্ণ। যে কেউ ইচ্ছা করলে সংবিধানের মূলনীতি নিয়ে মন্তব্য করার অপরাধে যেকোনো বিশ্লেষক ও আলোচককে আইনের মাধ্যমে হেনস্থা করতে পারেন। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী শতকরা একশ’ জন মানুষের কাছেই নাস্তিকতা, স্রষ্টাদ্রোহিতা, ধর্মবিরোধিতা এবং এসব বিপরীত বিষয়ের অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সমর্থনযোগ্য নয়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধরাও চান না ধর্মীয় জীবনবোধ ব্যক্তিগত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রেখে রাষ্ট্র, সরকার, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থা ধর্মহীন হয়ে যাক। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক মূল্যবোধ ধার্মিকতামুক্ত হয়ে সেক্যুলার হয়ে যাক। আর মুসলমানরা তো এসব চাইতেই পারেন না। তাদের জীবনের সকল অঙ্গনে ধর্মের উপস্থিতি ও সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও বাংলাদেশে ধর্মকে টার্গেট করে সব ধরনের কাজ-কর্ম, নীতি ও উদ্যোগ বিগত ৪৫ বছর ধরেই পূর্ণমাত্রায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, আধুনিক বিশ্বের ৬০টি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪৬টি মুসলিম রাষ্ট্রেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। বঙ্গবন্ধুর ভাষ্যমতে ‘বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম থাকার পথে বাধাটা কোথায় একথা প্রধানমন্ত্রীকে ভাবতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা প্রয়োগ, রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ভয় করতে হবে। আশা করি তিনি অবিলম্বে সংবিধানের মূলনীতিতে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস নতুন করে স্থাপন করবেন। প্রয়োজনে অন্যান্য ধর্মের নাগরিকদের জন্য নিজ নিজ সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনের অপশন রাখা হবে। সংবিধানে নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতার জন্য তৈরী ‘সোশ্যালিজম’ ও ‘সেক্যুলারিজম’ পরিভাষা দুটি বদল করা হবে। এদুটো বিষয় ‘সকল নাগরিকের সমান ধর্মীয় অধিকার’ এবং ‘শোষণ মুক্ত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা’ ধরনের কোন কথা দুটি সংযুক্ত করে বুঝানো হবে। এ কাজটি করলে সরকারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীও আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।
সর্বশেষ সংবিধান মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার বড় বড় অংশগুলো উপড়ে ফেলেছি। আবার সুযোগ পেলে রয়ে যাওয়া ছোট ছোট বিষয়গুলোও শেকড় থেকে উপড়ে ফেলে দেব। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল মন্তব্য করেছেন, আরেকবার সুযোগ পেলে সংবিধান থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের বিষয়গুলো ধোয়া-মোছা করে বিদায় করব। যাতে এসবের নাম-গন্ধও না থাকে। এমতাবস্থায় তাদের দল পুনরায় ক্ষমতায়। জানা নেই এখন তারা কী করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এসব নেতার কথাবার্তা ও ভাবনার বিষয়ে কড়ানজর রাখতে হবে। কেননা, দলের ভেতরকার ভালো মন্দ সকল কিছুর দায় কিন্তু সভানেত্রী হিসেবে তার উপরই বর্তায়।
সংবিধান মূল্যায়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন এমন এক ব্যক্তি যিনি বাহাত্তরের সংবিধানকে সমর্থন করতেন না। তিনি তখন পার্লামেন্টেও ব্যক্তিগতভাবে দ্বিমত পোষণ করে বাহাত্তরের সংবিধানকে নৈতিকভাবে অসমর্থন করেছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জঘন্য মন্তব্য ও কটূক্তি করা চিহ্নিত কিছু ‘অ-আওয়ামীলীগ’ বাম নেতার অন্যতম গুরু ও দার্শনিক এই ব্যক্তি সংবিধান মূল্যায়ন কমিটির কার্যকরি সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তদুপরি তিনি ব্যক্তিগত জীবনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক। আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে লক্ষ লক্ষ খাঁটি আওয়ামীলীগ ও সংবিধানবোদ্ধা শত শত সুযোগ্য মুসলিম লোক থাকা সত্ত্বেও উপরোক্ত পরিচয়ের একজন নেতাকে দিয়েই সংবিধান কাটাছেঁড়া করে এর বর্তমান রূপ দেওয়া হয়েছে। আইনগতভাবে এসব বিষয় আলোচনা করা বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ; তথাপি নীতিগত দায় থেকে মুক্ত হতে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের সুযোগ নিয়ে এসব কথা চিন্তাশীল নাগরিকদের ভাবতে হবে। বিশেষ করে সংবিধান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের নামগন্ধ মুছে দেওয়ার যে ‘আশা’ কিছু মানুষ অন্তরে লালন করছেন এবং উচ্চ আদালতেও এসব নিষ্পত্তি হওয়া বিষয় ২৮ বছর পর রিট আকারে আবার উঠে গেছে, অতএব শতকরা একশ’ ভাগ ধার্মিক মানুষ ও ৯২% মুসলমানের আশা-আকাক্সক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ও দেশের সংবিধানে ইসলাম ও মুসলমানদের নিজস্ব ভাবধারা, চেতনা, বিশ্বাস, শরীয়া, সংস্কৃতি, স্বকীয়তা ও সুন্নাহকে আরও আচ্ছারকম পদদলিত করার মহড়া দেখার অপেক্ষায় থাকা ছাড়া মুসলমানদের মনে হয় আর গত্যন্তর নেই। এরপর কী কী সামনে আসে, বাংলাদেশের শতকরা ৯২% মুসলমানের ভবিষ্যতে আর কী কী দেখতে হয়, সেসব কেবল সর্বশক্তিমান আল্লাহই জানেন। আমরা মুসলিমপ্রধান আওয়ামীলীগ সরকার ও বিশেষ করে ধর্মপ্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেবল সুবিবেচনাই আশা করতে পারি। যে আশঙ্কা প্রকাশ করছি পাশাপাশি আবার যে আশা-ভরসা তুলে ধরছি এসব ব্যাপারেই একমাত্র আল্লাহ নেগাহ্বান। তিনি যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐতিহাসিক এ মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের তৌফিক দান করেন।
ধরে নেওয়া যাক, উচ্চ আদালত সংবিধানের মূলনীতিতে ‘সেক্যুলারিজম’থাকায় ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ তুলে দিল। যদিও বিশ্বের বহু দেশে এ দুটি এক সাথে রয়েছে। এরপর কেউ রিট করলে এই যুক্তিতে ‘বিসমিল্লাহ’ তুলে দিতে হবে। আবার কেউ রিট করলে ‘গণতন্ত্র’ তুলে দিতে হবে। কেননা, ‘সমাজতন্ত্র’ আর ‘গণতন্ত্র’ একসাথে কোনোদিন চলতে পারে না। সংবিধান প্রণয়ন ও মূল্যায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞ লোকেরা দুনিয়ার এত বিপরীত বিষয় কেন, কী উদ্দেশ্যে ৯২% মুসলমানের অধিবাস বাংলাদেশের সংবিধানে ঢুকালেন, আবার খুঁজে খুঁজে একটু একটু করে ধাপে ধাপে ইসলাম, ঈমান, আল্লাহর নাম ও মুসলমানী চিহ্নগুলো ৯২ ভাগ মুসলমানের সংবিধান থেকে বের করে তারা ফেলে দিচ্ছেন, এ বিষয়টি বোঝা খুবই দুষ্কর। তাদের মনের গোপন অভিসন্ধি আল্লাহই ভালো জানেন। এ দেশের আলেম উলামা পীর মাশায়েখ ও সর্বস্তরের ঈমানদার মুসলমানরা বড়ই শঙ্কা ও হতাশায় ভুগছেন। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যার দিকে তাকিয়ে আছেন, অন্তর থেকে দুআ করছেন, যেন তাঁর শাসনামলে মুসলমানের স্বাধীন দেশের সংবিধান থেকে ইসলামের নামটুকুও মুছে না যায়। মুসলমানের বিপুল অস্তিত্বের সাংবিধানিক শেষ চিহ্নটুকুও যেন নিঃশেষে বিলোপ না পায়। যেন এ দেশটি সাংবিধানিকভাবে ইসলামশূন্য না হয়ে যায়। যেন বিপুলতর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার আরও আচ্ছারকম খর্ব ও ক্ষুণ্ন না হতে পারে। রাষ্ট্র, সরকার, প্রশাসন ও বিচারবিভাগে সুমতিশীল সুবিবেচক যারা আছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি ১৫ কোটি অসহায় মুসলমানের এই আকুতি যেন সময়মতো পৌঁছে যায়। ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসা প্রতিটি মানুষের প্রতি আল্লাহ সহায় হোন। আমীন। সূত্র. সময়বার্তা।
লেখক: প্রিন্সিপাল, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা। খতীব, গুলশান সেন্ট্রাল আজাদ মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটি, ঢাকা।